চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ জাকির হোসেন (২২) ও মোঃ সোহেল তানভীর (২২) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মির্জাপুর মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন উপজেলার মেরাশানি গ্রামের মোঃ আবুল ফায়েজের ছেলে ও সোহেল তানভীর একই উপজেলার কাশিনগর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মঙ্গলকার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের শরীর তল্লাশী করে ৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে দুই ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ ৮ জুন রবিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত দুলাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে ছোট ভাই রুবেল ও আলমগীরের সাথে দুলাল মিয়ার বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহ তৈরি হতো। ৭ জুন শনিবার দুপুরে কোরবানির মাংস কাটার সময় ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সাথে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগির দুলাল মিয়াকে মারধর করে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সে মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগির পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভিন্ন কৌশলে ভারতে শিশু পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের দিন বেলা ১১টায় দেওয়ান বাজারে আইসক্রিম আনতে গেলে দুই শিশুকে অটোরিক্সা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায় পাচারকারী চক্র। দুই শিশুর নাম সুবর্ণা আক্তার (৯) ও মাফিয়া আক্তার (৮)।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা ও মামুন মিয়ার মেয়ে মাফিয়া। সুবিধাজনক স্থানে শিশু দুটিকে পানিতে ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে পাহাড়পুর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে পাচার করার উদ্দেশ্যে নেয়। সেখানে একটি কুঁড়ে ঘরে তাদের আটকে রাখে। পরে জ্ঞান ফিরলে ভয়ভীতি দেখায়, যাতে চিৎকার না করে।
এদিকে দুই শিশুর বাবা-মা তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে তাৎক্ষণিক বিজয়নগর থানায় জানান এবং এলাকায় মাইকিং ও স্যোশাল মিডিয়ায় শিশুদের ছবিসহ প্রচার করেন।
পাচারকারীর চক্র জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন শিশু দুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। দুই শিশুর বর্ণনা অনুযায়ী অটোরিক্সাকে পাশের সোনামোড়া গ্রামের একটি অটোগ্যারেজে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে চালককে খোঁজ করলে তিনি দৌড়ে পালান এবং লোকজন তাকে চিনতে পারেন।
এ নিয়ে শনিবার ১ জুলাই বিজয়নগর থানায় সুবর্ণা আক্তারের বাবা মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে ওই অটোরিক্সা চালক উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে তকদির হোসেন প্রকাশ তছর আলীর (৪৮) নামে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকদের সম্মিলিত প্রয়াস নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর উদ্যোগে ভেজাল বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার পহেলা রমজানের বিকাল বেলায় উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ বাজারের উক্ত কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
এসময় তিনি উক্ত সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন দোকানের মালিক ও উপস্থিত বিভিন্ন ক্রেতার মাঝে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। এবং মানুষকে ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে তা পরিহার করার জন্য সচেতন করেন।
এসময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খান, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ, কার্তিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলাল উদ্দিন, মোঃ মাহমুদুল হাসান হেলন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম সুজন, মোঃ হাবিব, নাহিদ খাঁন, কাজী সাগরসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন (ওয়াশরুম) উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের নির্মাণকরা ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেনা। আক্তার হোসেন বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে একটি জায়গা রয়েছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়ে সেখানে একটি মুরগীর খামার গড়ে তুলেছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬৯টি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ল্যাট্টিন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনের সাথে একটি সাব মারজিবল টিউবওয়েল রয়েছে।
সর্ব সাধারণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা এবং ২/৩টি বাড়ির মানুষের জন্য একটি করে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ও নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর বাজার থেকে অনুমানিক ১০০/১৫০ গজ দূরে সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জায়গা আছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ভাড়া নিয়ে মুরগির খামার নির্মাণ করেছেন। রাস্তার পাশে থাকা ওই জায়গাটি চারপাশে প্লাষ্টিকের নেট দিয়ে বেড়া দেয়া। এর ভেতরেই নির্মান করা হয়েছে।এর ভেতরে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন। সেখানে মুরগীর খামার থাকায় সাধারণ লোকজন এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি ব্যবহার করতে পারেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ নিজেদের সুবিধার জন্যই সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন সরকারি টাকায় এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নিজের জায়গায় নির্মান করেছেন। ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি যে সাধারণ লোকজনের সুবিধার জন্য করা হয়েছে তা স্থানীয়রা জানেননা। অভিযোগকারীরা বলেন, একজন সাবেক চেয়ারম্যানের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে কে যাবে? একটি সরকারি জায়গায় উম্মুক্ত স্থানে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মাণ করা দরকার ছিলো।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, জায়গাটির আশেপাশে মার্কেট আছে, সিএনজি পাম্প আছে। সকলই এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি আমার জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মান হলেও সাধারণ লোকজন এটি ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, জায়গার সামনে দেয়া প্লাষ্টিকের বেড়া খুলে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সকলের ব্যবহারের উপযোগী করে দিবো। তিনি বলেন, ল্যাট্টিনটি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, ওই জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা আমি জানিনা। আমাকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, আমরা সাধারণত কোন উম্মুক্ত জায়গা বা বাজার এলাকায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন নির্মাণ করে থাকি। আবার গ্রামে ২/৩টি পরিবারের জন্যও ল্যাট্টিন নির্মাণ করে দেই।
তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বস্থ্য করেছেন। তবে এখনো ল্যাট্টিন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। তিনি বলেন, সেখানে যে মুরগীর খামার আছে তা আমার জানা নেই। তবে ল্যাট্টিন নির্মাণ হলে তা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিল থেকে অজ্ঞাত এক মহিলার (২৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে চম্পকনগর ইউনিয়নের মিলন বাজারের পূর্ব পাশের ফনা বিলের উজান থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে চম্পকনগর ইউনিয়নের মিলন বাজারের পূর্ব পাশের ফনা বিলের উজানে এক মহিলার লাশ দেখতে পেয়ে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলার নিচে আঘাতের দাগ রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।