অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুরে একটি বাসায় চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়ার দুইদিন পর স্বামী স্ত্রী মারা গেছে। নিহত স্বামী আব্দুস সালাম মন্ডল (৫৫) ও তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০)।
১২ জুন সোমবার রাতে স্বামী ও ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ পাঁচজন এসেছিলেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস সালাম মন্ডল সোমবার রাতে মারা যান। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে মারা যান বুলবুলি বেগম। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও তিনজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বাড়ির মালিক সোহাগ জানান, দগ্ধ হওয়া একই পরিবারের ৫ জনের মধ্যে স্বামী স্ত্রী মারা গেছে। বাকি অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসীন জানান, সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে স্বামী স্ত্রীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে এমন সংবাদ পেয়েছি।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন সকাল ৮টায় ফতুল্লা কাশিপুর খিলমার্কেট এলাকায় সেলিনা বেগমের বাড়িতে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে আগুন ধরে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা হলেন, আব্দুস সালাম (৫৫), তার স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৪০), ছেলে টুটুল (২০), মেয়ে সোনিয়া (৩০) ও নাতিন মেহজাবীন (৭)।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, অভাবনীয় উন্নয়নের রূপকার, সন্ত্রাস-মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লড়াই সংগ্রামের আপোষহীন যোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান হয়।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিত পাল বাবু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ আজিজুল আলম সঞ্চয় ও কার্যকরী সদস্য মজিবুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, তবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না। তার মানে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে তাকে চিকিৎসার করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার চিকিৎসা করে তাকে সুস্থও করেছেন।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
এর আগে ৬ মার্চ বুধবার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে আবেদন করেন তার ভাই শামীম ইস্কাদার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। এ ছাড়া স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, বুঝলাম না স্থায়ী মুক্তি মানে কী? এছাড়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। আমার কাছে আজকে সচিব ফাইলটা দিয়েছেন। ওনারা (খালেদার পরিবার) কী আবেদন করেছেন, সেটি দেখে ভালো করে বিবেচনা করে আমি অতিসত্বর নিষ্পত্তি করব। মঙ্গলবার নাগাদ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ফাইলটা আজকেই পেয়েছি। আমাকে বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, আমাকে দেখতে হবে। তবে, একটা বিষয় বলতে পারি, সেটি হলো… খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আইনিভাবে কিছু করার নেই। কিন্তু এরপরও প্রত্যেকবার দেখা যাচ্ছে, প্রথম যেভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই তারা আবেদন করছেন। আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে।
সরকারপ্রধান চাইলে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ৪০১ ধারায় সরকারপ্রধান মানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যখন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এখন সেটি পরিবর্তন করার বিধান নেই। এটির পুনঃনিষ্পত্তি করার কোনো অবকাশ নেই। আইনের বাইরে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মানবিকতা দেখাতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মানবিকতা প্রথমবারই দেখিয়েছেন। এই যে বারবার রিনিউ হচ্ছে, সেটাও মানবিক কারণ থেকেই হচ্ছে।
অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে। অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়া কিন্তু দুটি শর্তে (বিদেশে যেতে পারবে না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্ত। চলাফেরায় তাঁর কিন্তু কোনো অনুমতি নিতে হয় না। তাই তাঁকে আবার মুক্তির কথা বলাটা মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে কোনো সংকট নেই। বিএনপি সংকট তৈরির চেষ্টা করছে; কিন্তু পারেনি। বরং তাদের দলের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রয়াত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও সাংবাদিক স. ম. আলাউদ্দীন স্মরণে প্রকাশিত দীপ্ত আলাউদ্দীন সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আলাউদ্দীন তনয়া লায়লা পারভীন সেঁজুতি এবং সাংবাদিক এএইচএম তারেক উদ্দীন মোড়ক উন্মোচন অংশ নেন।
বিএনপির পাশাপাশি ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সমাবেশ ডাকা নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে, সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে আর কেউ সমাবেশ করতে পারবে না, এ নিয়ম তো নেই। দ্বিতীয়ত, বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে, তখন তো মানুষ আতঙ্কে থাকে, সরকারি দল হিসাবে আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা, বিশৃঙ্খলার বিষয়ে সতর্ক থাকা।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল, ভেবেছিল সরকার তিন মাসের মধ্যে পড়ে যাবে। কিন্তু সেই সরকার পাঁচ বছর পূর্ণ করেছে। ২০১৮ সালেও তারা সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকের কাছে নানা দেনদরবার, দেশে-বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে তারা অনেক চেষ্টা করেছিল। তারা কিছুই করতে পারেনি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এখন দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট আছে। কারণ, বিএনপির নেতারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পায় না। তিনি বলেন, বিএনপি এমন একটি দল, যারা জনমানুষের দল বলে দাবি করে, অথচ তাদের নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। এটা তো একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের বহিঃপ্রকাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা বারণ সত্ত্বেও অংশ নিয়েছে, কেউ কেউ জয়লাভও করেছে। তাদের আক্ষেপ আমরা পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। তারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়, দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে নতুন আরও দুটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। ফলে এ ক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে দিনে আরো ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে জেলার বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে কূপ দুটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) জিলুফা সুলতানাসহ অন্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানায়, ‘রশিদপুর-১১ নম্বর কূপ খনন’ প্রকল্পে সরকারের ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে ৯৫ ভাগ এবং বেসরকারি কোম্পানির তহবিল থেকে বাকি ৫ ভাগ অর্থায়নের কথা। তবে এখন এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে।
রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে আগে দিনে ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হত। এখন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে তা হয়েছে ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলা সূত্র আরো জানায়, দেশের পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার গ্যাস উৎপাদন করেছে সরকার। ৪৮ বছর ধরে উৎপাদনের পরও এ গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে অবশিষ্ট মজুদ রয়েছে আরও ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকার গ্যাস।
বক্তারা বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট গ্যাসের অর্ধেকই হবিগঞ্জে। তবে ৪৮ বছরে যদি ৬ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার গ্যাস উৎপাদন হয়ে থাকে তাহলে, ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি গ্যাস উৎপাদন হলো হবিগঞ্জ জেলা থেকেই।