অনলাইন ডেস্ক :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামীকাল ১৪ জুন বুধবার থেকে। গত ঈদের মতো এবারো সব আসনের টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হবে। তবে বিক্রিত টিকিট এবার ফেরত নেওয়া হবে না ।
জানা গেছে, এই ঈদে দুই ধাপে বিক্রি হবে ট্রেনের টিকিট। পশ্চিমাঞ্চলের সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে আর পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের টিকিট, ১৬ জুন ২৬ জুনের টিকিট, ১৭ জুন ২৭ জুনের টিকিট এবং ১৮ জুন ২৮ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে।
এছাড়া, ঈদ পরবর্তী ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন। সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট পাওয়া যেতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ২২ জুলাই শনিবার বেলা ২টার দিকে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু আলফাজ হোসেন উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আলমের ছেলে।
লালপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সাব্বির আহমেদ জানান, আলফাজসহ তিনবন্ধু শনিবার বেলা ২টার দিকে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামে। কিন্তু আলফাজ সাতার না জানায় নিজের অজান্তেই নদীতে ডুবে যায়। এদিকে দু বন্ধু আলফাজকে না পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে জানায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলফাজকে উদ্ধার করে লারপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলফাজকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।
কাজী নজরুল ইসলাম চিরপ্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলতে পারেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পককে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন?
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নজরুল’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন নাজমুন নাহার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ১৬৭টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন। সর্বশেষ ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ সেন্ট লুসিয়া ভ্রমণের মাধ্যমে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন নাজমুন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ জোসেফ পিয়ের এক বিশেষ সাক্ষাতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ‘সুপার ব্রেভ গার্ল’ আখ্যা দেন।
ভ্রমণের নতুন রেকর্ড গড়ার পর নাজমুন নাহারকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্ট লুসিয়ার অন্যতম প্রধান পত্রিকা ‘দ্য ভয়েস’। খ্যাতনামা সাংবাদিক মার্বেলা অ্যান্থনির লেখায় তাঁর স্বপ্ন, সংগ্রাম ও বিশ্ব অভিযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে। নাজমুন নাহার দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে এভাবেই গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের সূচনা হয়। এর পর থেকে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশ। এই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১ জুন ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের ওপর। ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন আফ্রিকার দেশ সাওতমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে তিনি এবার অভিযাত্রা শুরু করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম ও গায়ানা থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গ্রেনাডা, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, বার্বাডোস ও সেন্ট লুসিয়া পর্যন্ত।
২২ বছর ধরে এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিভিন্ন জনপদের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরছেন নাজমুন নাহার। এ ছাড়া তিনি পরিবেশ রক্ষা ও বাল্যবিয়ে বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেন। নাজমুন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু ও তরুণদের উৎসাহিত করেন।
বেশিরভাগ দেশ সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন নাজমুন। ২২ বছরের বিশ্ব অভিযাত্রার মাঝে তিনি বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। মৃত্যুমুখে পড়েছেন বহুবার। তবুও একের পর এক দেশ ভ্রমণ করছেন লাল-সবুজ পতাকা হাতে। শিরোনাম হয়েছেন বিশ্ব গণমাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদরে জন্ম নেওয়ায় নাজমুন নাহার সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এশিয়ান স্টাডিজ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এশিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। নাজমুন নাহারের আশা, বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের সব দেশে যাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামাতের চরিত্র হলো দুর্নীতি করা, অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করা।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে গণভবন থেকে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের (সন্দ্বীপ) আওয়ামীলীগ আয়োজিত ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ৭ জানুয়ারি দুর্বৃত্তপরায়নতার জবাব দিতে হবে ব্যালেটের মাধ্যমে। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনা, তারা দেশটাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
তিনি ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই পরিবেশ করে দেয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রতি আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনতার জয় হবে। নির্বাচনটা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্নভাবে মানুষ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দেবেন। এখানে কেউ কাউকে বাঁধা দিতে পারবেন না। কোন প্রকার সংঘাত আমি চাইনা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫- (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারকারী শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস নাছিমা মুকাই আলী ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক এবং ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
সভাপতির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি কৃষি কলেজ ও একটি মর্ডাণ স্টেডিয়াম করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান।
নির্বাচনী জনসভায় নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোটার জান্নাতুল ফেরদৌস মীম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের একজন ছাত্র বক্তব্য রাখেন। এর আগে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ও বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকরা নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। বিকেলের আগেই কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। জনসভায় নারীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। কর্মী-সমর্থকদের নৌকা-নৌকা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ।
চলারপথে ডেস্ক :
করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আরো কর সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে কর প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধু রাজধানী বা শহরে নয়, সারা দেশে কর দিতে সক্ষম যারা, দয়া করে আপনার কর পরিশোধ করুন। সরকার আপনার পরিষেবা ও কল্যাণে আপনার অর্থ ব্যবহার করবে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে। কাজেই আমাদের সেগুলোর (অর্থনৈতিক মন্দা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার) মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যত বেশি ট্যাক্স সংগ্রহ করব, ততই এটি অতিক্রম করা সহজ এবং সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী করের পরিমাণ বাড়ানোর পরিবর্তে করদাতার সংখ্যা সম্প্রসারণে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে এবং জনগণকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যাতে রাষ্ট্র চালাতে পারে বা মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, ভর্তুকি আমরা আর কত দিতে পারব? তাছাড়া আমাদের উন্নয়নকাজগুলো যাতে ব্যহত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি যান, যে পরিবর্তন হয়েছে গত ১৪ বছরের সেই পরিবর্তনটা আপনারা দেখতে পাবেন। এখন আর কেউ কুঁড়ে ঘরে বাস করে না, ভূমিহীন-গৃহহীন প্রত্যেককে তাঁর সরকার বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দিচ্ছে। আর্থিক সহায়তা দিয়ে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগও করে দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছে যেখানে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের তৃণমূল পর্যায়েরও উন্নয়ন নীতির কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও অর্থনীতির গতিশীলতা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি যে, গত ১৪ বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে। করদানের সক্ষমতা কিন্তু আমাদের উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও রয়েছে। সেখানে আমরা যদি একটু প্রচার-প্রচারণা ভালোভাবে চালাই তাহলে মানুষ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসবে। কারণ তারাতো সেবা পাচ্ছে। এই সেবাটা পাওয়ার জন্যই তারা করবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এবং সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার।
অনুষ্ঠানে এনবিআরের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নবনির্মিত ১২তলা রাজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন। ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনও করেন। সূত্র : বাসস