চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দুই-গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল হাসান ও সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। দুই মামলায় ৮২জন নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়।
এস.আই রাকিবুল হাসানের দায়েরকৃত মামলায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ ওরফে ভিপি শামীম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল, সাবেক সদস্য সচিব মহসীন মিয়া, যুবদল কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম (ভিপি তাজু), জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর কাউছার মিয়া, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রুমেল উদ্দিন, আশুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আলমগীর খাঁ, সদস্য সচিব সেলিম পারভেজ, সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শেখ জামাল হোসেন লস্কর ও যুগ্ম আহবায়ক শেখ জুনায়েদ আহমেদ উল্লেখযোগ্য। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৩০ থেকে ১৫০জনকে আসামী করা হয়েছে।
এস.আই সাইফুল ইসলামের দায়েরকৃত মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল, সাবেক সদস্য সচিব মহসীন মিয়া, বর্তমান আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, যুবদল নেতা তাজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির আহাম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মোহাম্মদ আরিফ, আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মারুফ আহম্মেদ ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাঈম, আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আরাফাত উল্লেখযোগ্য। এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৫০-৬০জন নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদ মর্যাদা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমান শাহীনকে আহবায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ৫জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। এরা হলেন এলভিন লস্কর, সাজিদ আহমেদ, রেজাউল হক শীষ, আবদুল গাফফার রিমন ও সাইফুল ইসলাম ফাহিম।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। কমিটিকে আগামী ১ মাসের মধ্যে আহবায়ক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ কমিটি করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেয়া নির্দেশ দেয়া হয়।
আহবায়ক কমিটিতে পদ পাওয়া ছাত্রদলের নেতারা সবাই লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রহমান ওরফে সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারী। কবির আহমেদ ভূইয়া সদর উপজেলার বরিশল গ্রামের বাসিন্দা।
গত রবিবার রাতে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোমবার সকাল ১০টা শহরের লোকনাথ উদ্যানের সামনে (টেংকেরপাড়) সদ্য ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের কমিটি আনন্দ মিছিল ও সদ্য বিদায়ী কমিটি সীমাহীন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পাল্টা-পাল্টি কমিটির ঘোষনা হওয়ায় সোমবার সকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) মোতায়েন থাকায় সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিরাসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরাও সেখানে এসে জড়ো হয়।
পরে সেখান থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়ার সময় বেলা ১১ টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির আহবায়ক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েলের নেতৃত্বে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ শুরু করে। তখন সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সদ্য ঘোষিত কমিটির অনুসারীরা পুনরায় জড়ো হয়ে বিক্ষুব্ধদের ধাওয়া করে। সেখান থেকে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পুনরায় খৈয়াসার-বিরাসার সড়কে আসার পর আবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পুনরায় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটাতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পরে জেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি, জেলা কৃষক দল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা শহরের মধ্যপাড়ার শান্তিবাগ এলাকায় একটি আনন্দ মিছিল বের করে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি নিয়ে সোমবার নতুন কমিটি ও আগের কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবারের ঘটনায় নতুন করে আরো দুটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত মামলার ৭ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মোঃ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ‘মুসলিমদের চরম শত্রু হচ্ছে ইহুদিরা। তারা সারা বিশ্বের অশান্তির কারণ। ইসরাইল ৭০-৮০ বছর ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা আল-আকসাকে রক্ষা করতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে। আফগানিস্তান থেকে যেভাবে রুশ বাহিনী পলায়ন করেছে ফিলিস্তিন থেকেও ইসরাইল পলায়ন করবে।
তিনি ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনতার পক্ষে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি আয়োজিত সংহিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মোবারক উল্লাহর সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে জামিয়া ইউনুসিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যখন যানজটে অনেকটাই নাকাল অবস্থা শহরবাসী। তখন তারা এই অবর্নীয় দুর্ভোগ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চান এবং তার জন্য প্রশাসনের কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে “যানজট নিরসনে নাগরিক প্রস্তাবনা শীর্ষক” গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহবান জানানো হয়। মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এই গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেতা আবু কাউছার, তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নেত্রী শামীমা বাছির স্মৃতি ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, কুমিল্লার বিভাগীয় রেজুওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার। সাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি, অ্যাডভোকেট খালেদা আক্তার মুন্নী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক, ইয়াং ফেলো সাঈদ হাসান সানি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমির চক্রবর্তী।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রচুর মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আসেন। বর্তমানে শহরের একটি প্রধান সমস্যা যানজট। শহরের অবৈধভাবে রিকসা ও অটোরিকসা চলাচলের কারণে শহরে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই যানজটকে আরো দুর্বিসহ করে দেয় দিনের বেলা শহরে পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে।
বক্তারা শহরের যানজট নিরসনে অবিলম্বে অবৈধ রিকসা ও অটোরিকসার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়ানো, ফুটফাত গুলো হকার মুক্ত এবং শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানের ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের দোকানের মালামাল রাস্তায় না রাখেন, দিনের বেলায় যাতে শহরের ট্রাক বা ভারী কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মরণানুষ্ঠান ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপমহাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আরিফের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ মিলনায়তন তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক সুজন সরকারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক উত্তম কুমার দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশিষ্ট সংস্কৃতিসেবী অ্যাড. নাসির মিয়া, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আবদুর রহিম, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার সভাপতি কবি আমির হোসেন, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পার্থ তলাপাত্র, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি আবুল বাসেত, টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান, কবি শৌমিক সাত্তার, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন, সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসীর।
এসময় হাসান আরিফ, তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি মো আতিকুল ইসলাম, আবৃত্তিশিল্পী শরীফ মুহাম্মদ সাঈম, কন্ঠশিল্পী জুমানা কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ২১ মে বুধবার আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া “তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ” বিষয়ক আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফে মোহাম্মদ ছড়া।
প্রধান অতিথির রাফে মোহাম্মদ ছড়া বক্তব্যে বলেন-জীবনের একেকটা পর্যায়ে একেকটা কাজ সম্পাদিত হয়। কোন কাজ কখন করা উচিত তা আমাদের জানতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। “Time is more valuable than money”. তাই সময়কে যথাযত গুরুত্ব দিতে হবে। তোমরা এখন তরুণ, তাই তোমাদের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে সর্ব ক্ষেত্রে। যারা আমাদের শিক্ষক, যারা আমাদের গুরুজন তাদের কাছ থেকে সব সময় পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কারণ তারাই আমাদের সব সময় ভাল চায়। তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার কথা মান্য করতে হবে।।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমীন, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ, আশুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.এইচ.এম শাহরিয়ার রসুল, আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মশিউর রহমান।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বৈষমহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব ও এসডিজি বিষয়ক সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া – এর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হাবিলদার ইকবাল, হাবিলদার শামসুল আলম, হাবিলদার ফয়েজ, সৈনিক মোহাম্মদ আলী খান, প্রয়াত সৈনিক বদিউল আলম এর স্ত্রী রুবিনা আলম প্রমুখ।