অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে রেল দুর্ঘটনা যেন আর পিছু ছাড়ছে না। উড়িষ্যার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে লাইনচ্যুত হয় একটি মালগাড়ি। এই পথেই ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে আন্তর্জাতিক মিতালী এক্সপ্রেসসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। এদিন এই ঘটনার জেরে ডুয়ার্সে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল দীর্ঘক্ষণ। প্রায় ৪ঘণ্টা পরে বিকেলের দিকে লাইনচ্যুত মালগাড়িটিকে সরিয়ে ফেলা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজ ১৪ জুন বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে একটি মালগাড়ি ডুয়ার্সের দমদমের দিকে যাচ্ছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি যাওয়ার কথা ছিল ওই পণ্যবাহী মালগাড়িটির। কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুই কিলোমিটার যাওয়ার পরেই লাইন থেকে নেমে পড়ে ওই মালগাড়ির একটি বগির পেছনের চাকা। বেগতিক বুঝে চালক জরুরি ব্রেক কষে মালগাড়ির সমস্ত র্যাক থামান। এরপরেই খবর যায় রেলের উত্তর বঙ্গের ডিভিশনাল রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে। তড়িঘড়ি উদ্ধারযান পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। যদিও এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
লাইনচ্যুত মালগাড়ির বগিকে ফের লাইনে প্রতিস্থাপন করা ও ক্ষতিগ্রস্ত রেল লাইন সারাতে কেটে যায় বেশ কয়েক ঘণ্টা। ফলত ওই লাইনের ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পণ্যবাহী বাংলাদেশগামী মালগাড়িটিকে বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্ত পার করানো সম্ভব হবে বলে রেল সূত্রে জানা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ২৩ মে বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০ মে সোমবার ইরানের সামরিক কর্মকর্তার মাধ্যমে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে বলে জানিয়েছে মেহের নিউজ এজেন্সি।
ইরানের আধাসরকারি নিউজ এজেন্সিটি জানিয়েছে, প্রতিবেদনে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার নতুন তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দাবি করা হয়েছে, গুলি বা বোমা ছুড়ে রাইসির হেলিকপ্টারটিকে ভূপাতিত করা হয়নি। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছে, মাটিতে আঘাত করার পরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। কারণ হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষে গুলি বা বোমার আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তদন্তে আরো জানা গেছে, পথে সব সময়ই অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে উড়ছিল রাইসির হেলিকপ্টার। এটি কখনই পথ হারায়নি, নির্ধারিত ফ্লাইট পথ ছাড়া অন্য কোনো দিকে যায়নি। কারণ বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় দেড় মিনিট আগেও হেলিকপ্টারটির পাইলট বহরের অন্য দুই হেলিকপ্টারের পাইলটদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
তাদের কথোপকথনের মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি বলেও তদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ তদন্ত আরও চলবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। আকাশের ঘন কুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ায় হার্ড ল্যান্ডিং করতে গিয়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয় বলে সে সময় জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫০০ কেজি আনারস শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।
২৩ জুন রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি বক্সে করে কিউভেরাইটি জাতের আনারস বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ভারতের ত্রিপুরার হর্টিকালচাররের সহকারী পরিচালক ড. দীপক কুমার বৈদ্য বাংলাদেশে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় হাই কমিশানারের এএসও সজীব চক্রবর্তীর নিকট আনারসগুলো হস্তান্তর করেন।
আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্টে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার দীপক হাজিজা, ৪২ বিএসএফ এর ইনচার্জ সন্তোষ কুমার, আখাউড়া কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, আখাউড়া আন্তজার্তিক ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলমসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘ঢাকার রিকশা’ ও ‘রিকশা চিত্র’।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জামদানি, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের পঞ্চম বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঢাকার রিকশা ও রিকশা চিত্র এ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।
উল্লেখ্য, গত ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। গত বছর (২০২২) পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
বাংলাদেশের রিকশা চিত্র ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
এ স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্ট মহল বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসেবে অভিহিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার বিকেলে পেঁয়াজবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে পেঁয়াজগুলো বন্দর থেকে খালাস করবে বলে জানা গেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বিডিএস কর্পোরেশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে একটি ট্রাকে করে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ২৫০ মার্কিন ডলার। ধাপে ধাপে এলসির বাকি পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে প্রায় তিন মাস পর আবারও সচল হলো আখাউড়া স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি বাণিজ্য। সর্বশেষ গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৩৮ টন ভাঙা পাথর আমদানি হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন বাংলাদেশি প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানে বাংলাদেশি ছাড়াও ৫ জন চীনা ও ১ জন ভারতীয় নাগরিক আটক হয়েছে।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কেদাহ রাজ্যের কুলিমে বিদেশি কর্মী নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা প্রদানকারী অফিসে সমন্বিত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিদজুয়ান মোহাম্মাদ জেইন বলেন, ‘কেদাহ জিআইএম এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড অপারেশনস ইউনিটের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ২২৮ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে ২২২ জন বাংলাদেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানের সময় তদন্তে দেখা গেছে, জড়িত কর্মসংস্থান সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের পরিষেবা দিয়ে আসছিল।
এজেন্সিটি সব সেক্টরে কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আসছিল। আটকদের ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আলোর সেতার ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের আরও সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কেদাহ ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর বলেন, ‘কোনো কর্মসংস্থান সংস্থা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ওই সংস্থাটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত কি না তা নিশ্চিত হয়ে সেখানে যেতে হবে।