অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালী পৌর সদরে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার আলতাফ হোসেনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছে, তা নাকচ করেছে নিহতদের পরিবার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুধারাম মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, নিহত নূর নাহার বেগমের সঙ্গে আলতাফের অনৈতিক সম্পর্কের জেরেই এই জোড়া খুন হয়েছে। মা নূর নাহারকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন তাঁর মেয়ে ফাতেমা আজি প্রিয়ন্তী।
তবে আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন নিহত নূর নাহারের স্বামী ফজলে আজিম কচি ও ছেলে রবিউল আলম হৃদয়। তাঁরা ঘটনার অধিকতর তদন্ত দাবি করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের ঘটনায় ফজলে আজিম কচি বুধবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মামলা করেন। পুলিশ ধৃত আলতাফ হোসেনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতেই নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে হাজির করে। সেখানে আলতাফ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিন বার্লিংটন মোড় এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, যে দোতলা বাড়িতে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটির গেটে পুলিশের নির্দেশে নিহতদের স্বজনরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী এলাকা লইয়ার্স কলোনির একটি বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন ফজলে আজিম কচি ও তাঁর নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে হৃদয়।
ফজলে আজিম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সন্ধ্যায় যখন পুলিশ সুপার খুনিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে তাঁরা কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের কথা বলতে দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওসির কক্ষে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনেই তাঁদের বক্তব্য নিয়ে হৃদয় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, একজন মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার করা ঠিক নয়। এর জবাবে পুলিশ সুপার তাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আলতাফের বক্তব্য তাঁর মোবাইল ফোনে রয়েছে।
ফজলে আজিম আরো বলেন, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, জনতার হাতে আটকের পর আলতাফ বাড়িতে আরও দুই ব্যক্তিকে দেখার কথা বলেছেন। ওই দুই ব্যক্তি কারা, সেটি বের করা দরকার। তা ছাড়া ঘটনার আগের দিন এক লোক বাসা ভাড়া নিতে এসেছিল। বাড়ির অপর ভাড়াটিয়ার ফোনে সে ব্যক্তির সঙ্গে আমি কথাও বলেছিলাম। তার বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। তিনি তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে হত্যার অধিকতর তদন্ত এবং বিচার দাবি করেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের দিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় তিনজন অংশগ্রহণ করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজনকে জনতা ধাওয়া দিয়ে গণধোলাইর পর পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। পরে অবশ্য পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধৃত আলতাফই এই খুন করেছে।
নিহতদের স্বজনের অভিযোগ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম থানার উপপুলিশ পরিদর্শক প্রমোদ চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাই জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে আরও নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। যদি নতুন কিছু পাওয়া যায় তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সুধারাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আসামি আলতাফের কথায় কোনো মিথ্যা আছে কিনা সে বিষয়টি পুলিশ মাথায় রেখে কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫জন। আর সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জন করে। আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার শহরের পৌর মুক্তমঞ্চে এই সম্মেলন। সম্মেলন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে ভোটে নির্বাচিত হবেন নেতা। আলোচনার বিষয় হচ্ছে সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন। ভোটে নেতা নির্বাচন হবে বলে প্রার্থীরা গত দু’দিন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কাউন্সিলরদের দুয়ারে ছুটেছেন। ৭৮১ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। এনিয়ে সরগরম সদরে বিএনপি’র রাজনীতি। সভাপতি প্রার্থীরা হচ্ছেন এডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা (রিকসা), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটন (মোটর সাইকেল), নুরুল হাসান আলম (গরুর গাড়ি), মো: শামীম মোল্লা (প্রাইভেটকার), শাহআলম (ঘোড়া)। সাধারণ সম্পাদক পদের ২ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন (মোরগ) ও রাহিম উদ্দিন রায়হান (ঘোড়া), সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী মো: সালাউদ্দিন (আনারস) ও শাহানুর ইসলাম (আম)। গত ২৯ নভেম্বর জেলা বিএনপি সদর উপজেলা বিএনপি’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। পরদিন থেকে শুরু হয় মনোনয়ন বিতরণ। ৫ ডিসেম্বর ছিলো প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ। এরপরই গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থীরা দিনরাত এক করে ছুটতে শুরু করেন কাউন্সিলরদের কাছে।
মাছিহাতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাক্তার আবদুর রহমান ভূইয়া বলেন-এডভোকেট তারিকুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন এ দু’জনকেই আমরা আশা করছি। তারাই সবার কাছে জনপ্রিয়। সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজম বলেন, সম্মেলন নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশ। দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর পর আউটডোরে এমন একটা সম্মেলন করার সুযোগ পেয়েছি। আমরা চাই কর্মীরা প্রাণভরে তা উপভোগ করুক। নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন হোক।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আলমগীর হোসেনও নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সভাপতি প্রার্থী এডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা বলেন, দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা নিয়ে জয়ী হব ইনশাল্লাহ।
এডভোকেট রুমা এরআগেও সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। আর আলমগীর সদর উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান সদস্য সচিব।
জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন- সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম অধিবেশন। যদি প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌছে তাহলে আর দ্বিতীয় অধিবেশন হবেনা। আমরা শুধু নাম ঘোষণা করে দেব। সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিম ভূইয়া।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চার দেশ ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ১৪ জুলাই রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. হাছান জানান, এই ৩ হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরো কর্মী নেয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ২০৩২ সাল পর্যন্ত যেন আমাদের পণ্যের জন্য ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্কহ্রাস সুবিধাসহ এখন যে অন্যান্য সুবিধা পাই, সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১১-১২ জুলাই অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমার কাছে আলাদিনের কোনো প্রদীপ নেই, আমি দুর্নীতি, নীতি কোনোটার বিষয়ে তেমন বুঝি না। আমি বুঝি আইন অনুযায়ী, বিধি–বিধান অনুযায়ী কাজ করা। আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করলে কোনো দুর্নীতি হবে না। আর আইন ও বিধি অনুযায়ী যাতে কাজ হয় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আইন কানুন ও বিধি বিধান মেনে যেভাবে কাজ করা যায়, সেভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সিডিএর সঙ্গে বসিনি।
কাজের প্রোগ্রেস নিয়েও বসিনি। আমি কিছু নীতিগত কথাবার্তা বলেছি। আমরা সকলে যেন দেশপ্রেমের সাথে কাজ করি, আইনের বিধান মেনে কাজ করি। কাজের ব্যাপারে গৃহায়ণ গণপূর্ত, সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সংসদ সদস্যসহ সকলের সাথে যেন সমন্বয় থাকে সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
কাজে যেন সমন্বয় থাকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবন্ধতার সমস্যা আমার নজরে থাকবে। এটা সিওর থাকেন চট্টগ্রামে আজকেই শেষ না, বার বার আসব। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই আসব না, অন্য সময়ে এসেও কাজের মনিটিরং করব। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে কি না তা দেখা হবে।’
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দখলদার হটানোর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখলদারের উচ্ছেদের বিষয়টি সিডিএ চেয়াম্যান দেখবেন।’
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহরুল আলম দোভাষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দিনাজপুরে দিনব্যাপী অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর সদর ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একাধিক অটোরাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানীর নির্দেশনা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মিলগেটে চালের দাম কমেছে, যদি খুচরা বাজারেও দাম বাড়ানো হয় তাহলে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আজ ১২ মে সোমবার সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। একটি পোস্টার শেয়ার করেছেন এ উপদেষ্টা। পোস্টারের শিরোনামে লেখা রয়েছে, ‘ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেফতার।
ভেতরে আরো লেখা হয়েছে, নেতাকর্মীরা গোপনে কোথাও বৈঠক, সমাবেশ কিংবা মিছিল করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারবে। বর্তমানে শুধু মিছিল-সমাবেশ নয়, ফেসবুক-ইউটিউবে কেউ আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেও তাকে গ্রেফতার করা যাবে। বিদেশ থেকে যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট দেবেন, কমেন্ট করবেন, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
পোস্টারের ক্যাপশনে আসিফ মাহমুদে লিখেছেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে রেহাই নেই! গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা পোস্ট করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) -সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের আন্দোলনের মুখে ১০ মে শনিবার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১০ মে শনিবার রাত ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
তবে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি এবং জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের আগে রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয় রাজধানীর শাহবাগ থেকে।