নদীর তীরে ঘুড়ির মেলা

জাতীয়, 16 June 2023, 1065 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী সন্যাসীতলায় মন্দিরের পাশে বসে দুই দিনব্যাপী ঘুড়ির মেলা। গ্রামীণ এ মেলা সন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও জনশ্রুতি রয়েছে, সন্যাসী পূজাকে ঘিরে দুশ বছরের অধিক সময় আগে মেলাটির উৎপত্তি ঘটে। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। মেলায় আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটে।

banner

জয়পুরহাটের এই সন্যাসতলীতে হিন্দু ধর্মের লোকজন মন্দিরে সন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উদযাপন করলেও এটি মূলত হিন্দু-মুসলিমের একটি মিলন মেলা। বিকেলের পর সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেলায় মানুষের ঢল নামে। মেলাকে ঘিরে জামাই এবং স্বজনদের আপ্যায়ন চলে মেলা সংলগ্ন আশপাশের কয়েক গ্রামে। রং বেরংয়ের ঘুড়ি মেলার আকর্ষণ হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি আকৃষ্ট করে মেলায় আসা দর্শকদের। মেলায় বাঁশ কাঠ ও লোহার তৈরি সংসারের বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে মানুষের। শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র এবং কসমেটিক্স এর দোকানও বসে দুইদিনের এ মেলায়। জামাই-মেয়ের পাশাপাশি স্বজনদের আপ্যায়নের রীতি এলাকায় চলে আসছে এ মেলাকে ঘিরেই। স্থানীয় মহব্বতপুর গ্রামের আনিছুর রহমান, দেওগ্রামের জেমিয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বাবা-দাদারা এই মেলা করতে এসেছিল, আমরাও এই মেলাতে কেনাকাটা করতে আসি।

এ মেলাকে ঘিরে আশে পাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলাতে আসা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফারুক হোসেন, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিতাই চন্দ্র, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা আলিফ হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সন্যাসতলী মেলাতে আসি আমরা শুধু ঘুড়ি কিনতে। ঘুড়ি ছাড়াও এখানে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয় যায়।

সন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছে সন্যাশতলী মেলা এই মেলা প্রায় দুশ বছরের পুরাতন মেলা। এ মেলা হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করে থাকি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায় আসেন।

ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, এই সন্যাসতলী মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন: আইনমন্ত্রী

আখাউড়া, জাতীয়, 17 May 2024, 1065 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।

banner

আজ ১৭ মে শুক্রবার সকালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি সকালে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে করে ঢাকা থেকে নিজ সংসদীয় এলাকায় আসেন।

এদিকে দুপুরে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার আলবদরদের সাথে নিয়ে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করত। এখন যে সময়ে জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ হয়েছে।’ বিএনপির আমলে ঋণ খেলাপির তালিকা সবচেয়ে বেশি ছিলো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভূইয়া, গোলাম সামদানি ফেরদৌস, আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা বন্ধ করতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

জাতীয়, 4 December 2024, 323 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্টে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা।

banner

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতের শাসক গোষ্ঠী ‘সংখ্যালঘুর বিষয়টিকে’ সামনে এনে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বিবৃতিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন অভিজাতরা বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনীতি ও বাংলাদেশ বিরোধী ভাষণে লিপ্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের সাথে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তারা আমাদের স্টেকহোল্ডার। বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনকালে কলকাতা ও দিল্লি থেকে ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ভারতের এই গণতন্ত্র প্রেমী মানুষ গুলো আমাদের বন্ধু।

ভারতের শাসক অভিজাত ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই ধরনের গণতান্ত্রিক সম্পর্ক ও সম্প্রীতি চায় না। তারা বাংলাদেশের উত্থান ও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক জাগরণকে হুমকি মনে করে। ফলে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা বৃদ্ধি করছে। ‘সংখ্যালঘু নিপীড়ন’ বর্ণ ব্যবহার করে, দিল্লি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও জাতি-পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।

আমরা শুরু থেকেই জোর দিয়ে আসছি যে ভারত সরকারকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের লেন্স দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা বন্ধ করে দিতে হবে এবং সমতা, ন্যায্যতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের উপর ভিত্তি করে একটি নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পূর্ণ নাগরিকত্ব অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘুরা চরম নিপীড়নের শিকার অথচ দিল্লি নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। ভারত যখন তাদের নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা আওয়ামী লীগকে আশ্রয় ও সহায়তা দিয়েছে, একটি দল যারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছিল এবং বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।

গণহত্যা ও শিশু হত্যার জন্য দায়ী একজন পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখে ভারত সরকার যৌথ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করার ঝুঁকি নিচ্ছে। ভারত ভুলে গেলে চলবে না যে তার স্থায?িত্ব ও অখণ্ডতা বাংলাদেশের স্থায?িত্ব ও অখণ্ডতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।

বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা হলে ভারতের দেশীয় রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। বাংলাদেশ বিরোধী ও মুসলিম বিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থ সাধন করবে না বা তার ঐক্যতে অবদান রাখবে না। সুতরাং, আমরা ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্রের প্রতি সম্প্রীতি ও সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

পদ্মায় ধরা পড়ল ১৭ কেজির কাতল

জাতীয়, 27 April 2023, 1401 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ১৭ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। মাছটি ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

banner

আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাহিরচর এলাকায় দৌলতদিয়া ইউনিয়নের জেলে কুব্বাত হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জেলে কুব্বাত হালদার বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে আমিসহ আমার চারজন সহযোগী ট্রলারে পদ্মায় মাছ ধরতে যাই। পদ্মায় বর্তমানে মাছের আকাল পড়েছে। রাতে পদ্মার বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বাহিরচর এলাকায় জাল তুলতেই বড় কাতল মাছটি জালে আটকা পড়ে। পরে স্থানীয় আড়তে আমি মাছটি ২০ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করি।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে আমি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ২০ হাজার ৪০০ টাকায় মাছটি ক্রয় করেছি। পরে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি।

নির্বাচন উপলক্ষে দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন

জাতীয়, 2 January 2024, 750 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

banner

আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পর শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩-১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বা স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করবে।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলোর এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে। সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে।

সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে; এ ছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭ উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চার উপজেলায় কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় দুটি জেলাসহ (ভোলা ও বরগুনা) সর্বমোট ১৯ উপজেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে, যা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।

লাশের স্তূপের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ বাহিনী সংস্কারের বিষয়ে যা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

জাতীয়, 1 September 2024, 455 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশের সংস্কার আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

banner

আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি পুলিশের যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেই ভিডিও দেখার পর পুলিশ বাহিনীকে কোনোভাবেই সংস্কার সম্ভব কি না, কিংবা মানুষের আস্থা ফেরানো সম্ভব কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসবে, আপনি যদি তাদের কার্যপরিধি দেখেন, সেখানে উল্লেখ আছে এই ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেজন্য সিকিউরিটি রিফর্মস কি কি নিতে হবে সেগুলোর ব্যাপারেও তারা আমাদেরকে বলবে। এছাড়া একটা পুলিশ কমিশনের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে যা ঘটে গেছে সেটা তো আমরা আনডু (ফিরিয়ে নেওয়া) করতে পারব না। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

তিনি আরো বলেন, আমরা ছোটবেলায় পড়েছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশ দেখলে ভয় পায়, কিন্তু আমরা এমন একটা সমাজে বাস করেছি যে ভালো লোকেরাই পুলিশকে দেখলে ভয় পায়। পুলিশ যে মানুষের বন্ধু-এটা প্রমাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। পুলিশ হয় এই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে, না হয় ওই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশ আর তাদের হয়ে ওঠা হয়নি। পুলিশের মধ্যেও কিন্তু পরিবর্তনের একটা বিশাল তাড়া আছে। তারা বুঝতে পারছে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে অনেক কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আপনি ১৮৬১ সালের ব্রিটিশ আমলের পুলিশ আইন দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ চালাচ্ছেন। ব্রিটিশরা কি বাংলাদেশে এসেছিল জনমুখী একটা পুলিশ দিতে? তা তো তারা আসেনি। সবকিছুই আলোচনা হয়েছে, পুলিশ কমিশন যখন হবে, যখন জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো আমরা পাব, সবাইকে নিয়ে আলোচনা করে কেমন করে একটা জনমুখী পুলিশ গড়ে তুলতে পারি সেটাই আমাদের ইচ্ছা।