চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। ওই স্কুল ছাত্রীকে তার প্রেমিক বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতে বসেই আত্মহত্যা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৫) তার বাড়ির পাশের দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর সাথে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক করে আসছিল। এ সময় ইব্রাহিম মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে।
সম্প্রতি ইব্রাহিম মোল্লার পরিবার তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাত্রী দেখে। এ খবর পাওয়ার পর ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রী ইব্রাহিম মোল্লার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ওই স্কুল ছাত্রী বলেন, গত ৩ বছর ধরে ইব্রাহিমের সাথে প্রেম করছি। এ সময় সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইব্রাহিম আমাকে বিয়ে না করলে এই বাড়িতেই আমি আত্মহত্যা করবো।
ইব্রাহিম মোল্লার চাচি রাজিয়া বেগম বলেন, মেয়েটি ২ দিন ধরে আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে এই ২ দিনে সে কিছুই খায়নি। আমরা তাকে খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছি। এভাবে সে না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। আমরা মেয়ের বাবাকে বলেছি, তিনি যেন তার মেয়েকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।
ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বলেন, ইব্রাহিম মোল্লা যে কাজ করেছে তাতে সমাজে আমার মুখ দেখাবার অবস্থা নেই। আমি চাই ইব্রাহিম মোল্লাই আমার মেয়েকে বিয়ে করুক। আর সে বিয়ে না করলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
ইব্রাহিম ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকছেদ আলী শেখ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে সামাজিক ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করবো।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এ টাকা দেওয়া হবে। পরে যাচাই-বাছাই করে যদি আরও প্রয়োজন হয়, তাও দেওয়া হবে।
তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট মাসে যারা শহীদ হয়েছেন শুধু তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। যারা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আহতদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে একটি দৃশ্যমান উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ নিয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আহত কাউকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। যদি আরও বেশি হয়, আমরা তা করবো।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আবারো স্পষ্ট করা হচ্ছে, আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে বলে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিনা পয়সার চিকিৎসা দেওয়া হবে। তারপরও যারা পয়সা দিয়েছে, তাদের বলে দেওয়া হয়েছে, পয়সা ফেরত দেওয়ার জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ ৮ অক্টোবর বুধবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ’ সরকারি কর্মকর্তারা।
গত ৫ নভেম্বর রবিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শেখ হাসিনা সেখানে আসরের নামাজের পর ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
একই দিন রাতে তিনি মদিনা ত্যাগ করে মক্কায় পৌঁছান। পরে প্রধানমন্ত্রী এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইমেন ইন ইসলাম’ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন। সম্মেলনের ফাঁকে তিনি ওআইসি ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি শেখ হাসিনা উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশও নেন।
৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরব অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে যৌথভাবে সম্মেলনটির আয়োজন করে।
৫ নভেম্বর রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ত্যাগ করেন। তাকে বহনকারী প্লেন বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রিয় দলের পতাকা টানানো যেন খুবই নিয়মিত ও সাধারণ ঘটনা। বিশ্বকাপ শেষে সে পতাকা কেউ নামিয়ে ফেলে; তবে অধিকাংশ পতাকাই নামানো হয় না। যার ফলে তা রোদ-বৃষ্টির কারণে মলিন হতে থাকে। তবে এবার দেশের তরুণদের উদ্যোগে পতাকায় তৈরি হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ‘স্কুলড্রেস’। আর ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে দেশের সবচেয়ে বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ’। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি বলছে, পতাকা থেকে আমরা সেলাই খুলে কিংবা কেটে কাপড় উদ্ধার করি। সে কাপড় দিয়ে তৈরি করা স্কুল পোশাক দেখে কেউ বুঝবে না যে এটা পতাকার অংশ। আর বিদেশে পতাকার ডিজাইনে পোশাক তৈরির প্রচলন সাধারণ বিষয় বলেও জানায় সংগঠনটি। তারা বলছে, এতে কেউ কেউ জাতীয় পতাকার অপমান, কাপড়ের কোয়ালিটি কিংবা টাকার অপচয় বললেও অধিকাংশ মানুষই এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছে।
বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করে জানানো হয়েছে, ড্রেস না থাকায় স্কুলে যেতে না পারা সাজেদার বাবা ট্রাকে কুলীর কাজ করতে গিয়ে পড়ে পা ভেঙে ফেলছেন। তাই স্কুলের খরচ মেটাতে পারছেন না। সেখানে স্কুলের পোশাকের আবদার জানায় কীভাবে? সে সাজেদার স্কুল ড্রেস বানানো হয়েছে ব্রাজিলের পতাকায়। আবার সে স্কুলে যাবে, হাসবে তার সহপাঠীর সঙ্গে। তারা আহ্বান করেছে, কেউ তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে চাইলে পতাকা কুরিয়ার করতে পারবেন। তারা চান শত শত স্কুল ড্রেস বানাতে। সঙ্গে আপনি তাদের সঙ্গে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পারবেন সেলাইয়ের টাকা দিয়েই।
বিদ্যানন্দের জনসংযোগ প্রধান সালমান খান ইয়াছিন বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে পতাকা সংগ্রহের কাজে নেমেছে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা। আমাদের উদ্দেশ্য বিশাল আকারের পতাকাগুলো সংগ্রহ করা। বিদ্যানন্দের অফিসিয়াল নম্বর ০১৮৭৮-১১৬২৩৪ নম্বরে যোগাযোগ করে যেকোনো এলাকা থেকে পতাকা পাঠানো যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আমন্ত্রণে তিন দিনের ভারত সফরে গেছেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আজ ৬ আগস্ট রবিবার বিকেল ৫ টার ফ্লাইটে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের দলটি ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিনা জাহান ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা রবিবার বিকেলে ভারত যাচ্ছি। এটি আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। বিজেপির আমন্ত্রণে আমরা যাচ্ছি।’ আগামী ৯ আগস্ট প্রতিনিধিদলটির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র : বাসস