চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ জুন শনিবার সকালে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকার মহাপরিচালক, প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও ঝিলমিল একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ আবদুর রহিম, উদীচী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
রং-তুলির আঁচড়ে ছবি জীবন্ত করে তুলতে ব্যস্ত ক্ষুদে আঁকিয়েরা। কেউ ক্যানভাসে প্রকৃতি, কেউ বিভিন্ন জাতের পশু পাখি, আবার কেউ গ্রাম-বাংলার মেঠো পথসহ জীবন তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছে।
পুকুর পাড়, বাড়ির উঠোন, মেঠো পথে বসে সাড়ে তিন শতাধিক শিশু শিল্পীর নিখুঁত রং-তুলির আঁচড়ে জীবন্ত করে তুলছে নানা চিত্রকর্ম। ইট-পাথরের শহরে চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকা এসব শিশুদের প্রকৃতির মধ্যে একাকার করে নিতেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম। প্রকৃতির সান্নিধ্যে শিশুরা এই ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিন দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প ঘিরে গ্রাম জুড়ে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। যান্ত্রিক জীবন থেকে দূরে গিয়ে শিশু ও তাদের অভিভাবকরা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পান। ক্যাম্পের উদ্বোধন উপলক্ষে কাঞ্চনপুর মলাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি থেকে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রুহুল আমিন। এতে চিত্রশিল্পী আসাদুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ভূঞা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম কাউসার এমরান, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পি, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলামিনুল পাভেল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।
পরে ৩৬৫ জন শিশু শিল্পী কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে দলবেঁধে ছবি আঁকতে বসে। এ সময় তারা কল্পনার জগত থেকে বের হয়ে প্রকৃতিকে উপলব্ধি করে তাদের চিত্রকর্ম ফুটিয়ে তুলে।
আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিশু শিল্পীরা বলেছে, বাসায় বা শ্রেণিকক্ষে বসে কল্পনার ওপর নির্ভর করে ছবি আঁকতে হয় আমাদের। কিন্তু প্রকৃতির কাছে এসে চিত্রাঙ্কন করতে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। আমরা প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে দেখে আমাদের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছি। তাছাড়া শহুরে জীবন যাপনের কারণে গ্রামীণ জনজীবন সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা ছিল না। কিন্তু এই ক্যাম্পের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির পাশাপাশি গ্রামের জনজীবনের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি।
অভিভাবকরা জানান, ইট-পাথরের নগর আর যান্ত্রিক জীবন শিশুদের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই শিশুদের মানবিক ও কোমল করে তুলতে শিশু নাট্যম যে প্রতি বছর আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে তা প্রশংসনীয়। এই ক্যাম্প শিশুদের মেধা বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শিশু নাট্যমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. খান বিটু বলেন, প্রতি বছরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এই আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করে শিশু নাট্যম। এ নিয়ে ৯ম বারের মত আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে এসে তাদের মানবিক করে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমীন বলেন, আমি মনে করি, এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। প্রকৃতির মাঝখানে ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা আর্টক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে। সারা দেশেই এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’য় মহান বিজয়ের আলোচনা সভা
স্টাফ রিপোর্টার :
দেশের শিক্ষার্থী সমাজকে স্বাধীনতার চেতনায় সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন- ১৯৭১ সালে মৃত্যুর সন্নিকট থেকে ফিরে এসে জীবনের সন্ধান পেয়েছিলাম এই বিজয় দিবসে। এর যে অনুভূতি, তার কোনো তুলনা হয় না। এটা বর্তমান প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করেছি বলে দাবি করি, ২০২৩ সালের মধ্যে অন্যান্য সূচকগুলোকে যদি আমরা প্রতিপালন করতে পারি তাহলে সত্যি সত্যি আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব, ২০৩০ সালে স্থায়ীভাবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব এবং ২০৪১ সালে আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হব।
গত শুক্রবার ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর আয়োজনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি এ কথা বলেন। আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণী ও জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারুক আহম্মদ উল্লাহ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, আমরা এখন বিশ্ব উন্নয়নের অংশীদার। বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অংশীদার আমরা। কিন্তু এটিই শেষ নয় আমাদের আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে হবে। আর এই অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে বই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সুন্দর প্রজন্ম গঠনই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংকল্প’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শহরের দানবীর লোকনাথ রায় ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে দিনব্যাপী (২০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের) ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদলকে ২-০ গোলে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল জয়ী হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান সাজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, মাদক থেকে বিরত রাখতে তারেক রহমানের নির্দেশে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের এই সংকটকালে বিশৃঙ্খলা চলছে। তারেক রহমান বারবার বলেছেন অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচিত দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার যতো শক্তিশালী হোক চাইলেই তারা সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। তাই দ্রুত নির্বাচিত দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, গত ষোল বছরের আন্দোলনের ফলই ৫ আগস্টের অর্জন হয়েছে। ৫ আগস্টের অর্জন কারো একার নয়, কোন দলের নয়। ৫ আগস্টের বিজয় সমগ্র জাতির অর্জনের ফসল। কেউ যদি মনে করে এই অর্জন কোন ব্যক্তির কিংবা কোন একটি সংগঠনের তাহলে সেটা ভুল ধারণা। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপির পাঁচশত লোক নিহত হয়েছে শুধুমাত্র এই ৫আগস্টের আন্দোলনে। এছাড়া গত ষোল বছরে বিএনপির কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদল, সদর, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ছাত্রদল অংশগ্রহণ করে। সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খেলা চলে। সেমিফাইনালে সদর উপজেলা ছাত্রদলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে নবীনগর উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলকে হারিয়ে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদল ফাইনালে উঠে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজুয়ানুল হক শীষ। খেলায় ধারাভাষ্য বর্ণনা করেন সাবেক ফুটবলার ওমর ফারুক আজাদ, সোহেল রানা ও মিজানুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজের সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপি নেতা আলী আজম, জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মনির হোসেন, মাইনুল হোসেন চপল, নিয়ামুল হক, নবীনগর পৌরসভার সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মঈন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ, জেলা শ্রমিক দলের নেতা আজিজুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম চৌধুরী, রাশেদ কবির আখন্দ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর, আশিকুল ইসলাম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মাসুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া, দুলাল আহমেদ, হাফিজ মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ হাফিজুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক ফোজায়েল চৌধুরী, আজহারুল ইসলাম দিদার, সাঈদ আহমেদ সানী, ডিকন রিজুয়ানুল হক শীষ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান দখলে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় দুই কসাই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের আনন্দ বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান মিয়া ও হোসেন মিয়া নামে দুই কসাইকে গ্রেপ্তার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, পৌর এলাকার কাজীপাড়ার তৌহিদ মিয়া আনন্দবাজারে মাংসের ব্যবসা করতো। তার ব্যবসা খারাপ হওয়ায় গত ঈদ-উল আজহার কিছুদিন আগে তৌহিদ মিয়া শহরতলীর বিরাসার গ্রামের সুলতান মিয়ার কাছে তার আনন্দ বাজারের দোকানের দখলটি বিক্রি করে দেন।
এদিকে তৌহিদ মিয়া তার ব্যবসা খারাপ হওয়ায় বিরাসার গ্রামের হোসেন মিয়ার কাছ থেকে তিনশত টাকার অলিখিত জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে দাদনে কিছু টাকা নেয়।
তৌহিদ মিয়া দাদনের টাকা ফেরত দিতে না পারায় হোসেন মিয়া আজ শুক্রবার বেলা ১১টার সময় সুলতান মিয়ার ক্রয় করা দোকানটি দখল করতে যায়। এসময় সুলতান মিয়া বাঁধা দেয়ায় হোসেন মিয়া ও তার সহযোগীরা সুলতানকে বেধরক মারধোর করে।
খবর পেয়ে সুলতান মিয়ার স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসলে দুইপক্ষ গরু জবাইয়ের ছুরি, টাকশাল নিয়ে মুখোমুখী হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতান মিয়া ও হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, সুলতান মিয়ার ক্রয়কৃত দোকান হোসেন মিয়া দখল করতে গেলে সুলতান মিয়া বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান মিয়া ও হোসেন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসি। শনিবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে স্থাপন করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১নং কূপে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মৃতি ফলকটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণীয় করে রাখতেই তার স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডসহ পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শাহাদাত বরণের মাত্র ছয় দিন আগে বঙ্গবন্ধুর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড কেনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তেই সোনার বাংলা গড়ার ভিত তৈরি হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার জন্যই অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব-দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার ও পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
স্মৃতিফলক উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, সকল কূপ থেকেই গ্যাস উত্তোলনের জন্য স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কূপ বন্ধ আছে, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে চালুর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিতাসের নতুন আরও কিছু কূপ অনুসন্ধান এবং বর্তমানে যে স্তর রয়েছে তারচেয়ে আরও গভীরে গিয়ে গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা করছি আমরা।
অনুষ্ঠানে বিজিএফসিএল, পেট্রোবাংলা, গ্যাস ফিল্ডস এবং বাপেক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান শেল অয়েলের কাছ থেকে তিতাস, বাখরাবাদ, রশিদপুর, হবিগঞ্জ ও কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিনটি পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে। আর পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডে বর্তমানে মজুত আছে ৫ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা।