চলারপথে রিপোর্ট :
জামালপুরের বকশিগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৭ জুন শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার মাস্টার মাইন্ড ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তা খারিজ করে দেন। কিন্তু মামলা খারিজের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চেয়ারম্যান বাবু নিজে উপস্থিত থেকে সাংবাদিক নাদিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কোথায়? সঠিক সংবাদ প্রকাশ করেও সাংবাদিক নাদিমকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিনেও সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতির হত্যার বিচার হয়নি। আমরা জানি না নাদিম হত্যার বিচার হবে কিনা। হত্যাকারী ইউপি চেয়ারম্যান বাবুসহ সব খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাই। পাশাপাশি আমরা সব সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার দাবি করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধনে ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমিন শাহীন, দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুন নূর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ইমজা সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মো. আকরাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান ও প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।
উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী নাদিম বকশিগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে ও বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।
বুধবার (১৪ জুন) রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ, বিনামূল্যে আইন সেবার দ্বার উন্মোচন”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি পালনে আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আদালত ভবনে তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড এর চেয়ারম্যান শারমিন নিগারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সরকারি পিপি এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরামউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. এইচ. এম কামরুল ইসলাম, নারী ও শিশু কোর্টের পিপি এডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, মামলা জট কমিয়ে আনতে ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে অসহায় বিচারপ্রার্থীরা তাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারছে। তাই সকলের সহযোগিতায় লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত করতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইডের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মুসতানসীর হাসান চৌধুরী নকিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরীন আহমেদ হ্যাপী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রকিবুল হাসান রকি।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস. এম. জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা ও ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দীলিপের সভাপতিত্বে সভায় বক্তা রাখেন জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ বাবু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ হায়েনারা আমাদের দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট এর উপরও আক্রমণ করেছে। আর আমরা ঘরে বসে থাকবো না। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। এর আগে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ শনিবার নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দিবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে এবং একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
সন্ধ্যায় গণপূর্তমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন রক তারকা জেমস ও আইনমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আঁখি আলমগীর।
এদিকে দুই মন্ত্রীর সংবর্ধনাকে ঘিরে জেলায় অন্তত দুই শতাধিকের বেশি তোরণ নির্মাণ ও অসংখ্য ব্যানার- পোস্টার সাঁটিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
মহান স্বাধীনতার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪-(কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নতুন সরকারের এই দুই মন্ত্রী শনিবার নিজ নিজ এলাকায় সংবর্ধিত হচ্ছেন। শনিবারের দুই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। তবে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেমসের আগমনের বিষয়টি ব্যাপক হারে প্রচাল হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির আগমনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের আবদুর রহমান খান। সেই হিসেবে প্রায় ৭০ বছর পর র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ায় চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে মোকতাদির চৌধুরী এমপির গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২- (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত মঈন উদ্দিন এমপি, ব্র্র্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ফয়জুর রহমান এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোকতাদির চৌধুরীকে সংবর্ধণা জানাবেন। এরপর সন্ধ্যায় রক তারকা ব্যান্ড নগরবাউলের জেমস, ব্যান্ড আবাস ও সঙ্গীত শিল্পি লায়লা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী জানান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে এবারই প্রথম কাউকে মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে বরণ করতে নেতাকর্মীরা শতাধিক তোরণ নির্মাণ করেছে। তিনজন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে।
এদিকে শনিবার একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের মাঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গণসংবর্ধণা দেয়া হবে। উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে এলাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার বিকাল তিনটায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬- (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন আঁখি আলমগীর পুলক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে সংবর্ধনার পাশাপাশি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুরো আখাউড়া শহরসহ উপজেলায় অসংখ্য তোরণ নির্মাণের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ও ব্যানার সাটিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন স টাস্ক ফোর্স এর উদ্যোগে আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম এর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধ আল মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিযা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সায়মন মাহমুদ।
সভার সভাপতি আল মামুন সরকার আগামী শীতে জেলায় শিশু সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে আগামী দিনে শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মঞ্চ নাটক ”সাজন মেঘ” মঞ্চায়িত হয়েছে। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মঞ্চ নাটক প্রচারের অংশ হিসেবে ৫ জুলাই শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি রচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শান্তুনু কায়সার। নিদর্শনায় ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম শফিকুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শিশির, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান, সংস্কৃতির রাজধানী। এই সংস্কৃতির রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসন সব সময় সংস্কৃতির পক্ষে, শিল্প সাহিত্যের পক্ষে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতি কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে যেতে হবে।
নাটকটির মূল সার সংক্ষেপ ছিল শান্ত-স্নিগ্ধ ছায়া সুনিবিড় গ্রাম “সাজন মেঘ”। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর অযাচিত বর্বরতায় তাদের শান্ত জীবনে নেমে আসে আতংক, ভয়। আক্রান্ত হয় গ্রাম-হাট-ঘাট, প্রান্তর, লোকালয়। সম্ভ্রম হারায় কিশোরী-তরুণী-গৃহবধূ। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের তরুণ, তরুণী, কৃষক, কামার-কুমার, আপামর জনতা। ধর্ম আর সমাজের সংস্কার ভেঙ্গে দেশের জন্য একাট্টা হয়ে লড়ে যায় প্রাণপনে।
নাটকটি নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা বলেন, “সাজন মেঘ” নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ডচিত্র। এই নাটকের মাধমে নাট্যকার সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। সংলাপে গেঁথেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সময়ের বাস্তবতা ও নাট্য নির্মাণের প্রয়োজনে মূল নাটকে কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজের গোড়ামী, কুসংস্কার, কূপমন্ডকতা, ধর্মান্ধতা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যখন শকুনেরা জেঁকে বসেছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মনে জাগ্রত করার প্রয়াসে দেশের সকল জেলায় নাট্যযজ্ঞ শুরু করেছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে ২৩ জন শিল্পী অভিনয় করেন।