অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে একমাত্র টেস্টে ব্যাটে-বলের নৈপুণ্যে রেকর্ড জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
টাইগারদের ছুড়ে দেওয়া ৬৬২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় আফগানিস্তান অলআউট মাত্র ১১৫ রানে। ৫৪৬ রানের রেকর্ড জয় পায় বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে রানের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ জয়।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে লন্ডনের ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬২ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। ৮৯ বছরের ইতিহাসে বিশাল ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
টেস্টে এটি বাংলাদেশের ১৮তম জয়। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে এ নিয়ে অষ্টম দলের বিপক্ষে জয় পেলেন টাইগাররা।
গত দেড় বছরে তিনটি দলের বিপক্ষে টেস্টে প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর নিউজিল্যান্ড, আর এ বছর আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
চতুর্থবারের মত গ্র্যামি জয় করলেন জনপ্রিয় কলম্বিয়ান সংগীতশিল্পী শাকিরা। ‘লাস মুজেরেস ইয়ো না লোরান’ অ্যালবামের জন্য সংগীতশিল্পী শাকিরা এই পুরস্কার পেয়েছেন। আর এর সাথেই একটি বড় সিদ্ধান্ত নিলেন গায়িকা! জানালেন, তার এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছেন অভিবাসী ভাইবোনদের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে প্রতিবারের মতো এবারও বসে গ্র্যামির আসর। ৬৭ তম আয়োজনে বিশ্বখ্যাত তারকাদের দ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এই অনুষ্ঠান। এদিন সংগীতশিল্পী শাকিরার হাতে পুরস্কার তুলে দেন মার্কিন তারকা জেনিফার লোপেজ। সে সময় দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রীর দুই সন্তান মিলান এবং সাশা।
পুরস্কার হাতে নিয়ে রীতিমতো আবেগি হয়ে পড়েন গায়িকা। এরপর বক্তব্যের শুরুতে আমেরিকার ভয়াবহ দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এরপর তার পাওয়া পুরস্কার ‘অভিবাসী ভাইবোন’দের উৎসর্গ করেন শাকিরা। বলেন, আমি আমার পুরস্কার অভিবাসী ভাইবোনদের উৎসর্গ করছি। তারা ভালোবাসার যোগ্য। তাদেরই এটা প্রাপ্য। আমি সবসময় তাদের লড়াইয়ের পাশে আছি।
এ সময় বিশ্বের প্রতিটি কর্মজীবী নারীর পরিশ্রমকেও কুর্নিশ জানান শাকিরা।
শাকিরার এই অর্জনে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন লাস্যময়ী গায়িকা। পুরস্কার নেয়ার পর সংগীতশিল্পী শাকিরা পারফর্মও করেন। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই বাকরুদ্ধ দর্শকরা।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান ক্রিকেট দল কখন কি করে তা যেমন বলা যায় না, তেমনি এবার তাদের নারী ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রেও এই প্রতিয়মান হলো। যে নারী ক্রিকেট দল বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারলো সেই দল এবার হারিয়ে দিয়েছে নিউজজিল্যাণ্ডের মতো শক্তিশালী দলকে।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দল। যেটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিউেইদের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম জয়। এবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তানের মেয়েরা। এতে করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে তারা। এখন লক্ষ্য শেষ ম্যাচে পরাজিত করে নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয়া।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান মুনিবা আলীর ৩৫ ও আলিয়া রিয়াজের ৩২ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে গিয়ে থেমে যায়। এতে করে পাকিস্তান ১০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
২০১৮ সালের অক্টোবরের পর দেশের বাইরে এটিই পাকিস্তানি মেয়েদের প্রথম সিরিজ জয়। এশিয়া ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে পাকিস্তানি মেয়েদের প্রথম সিরিজ জয়ও এটিই। অথচ ইতিহাস গড়া এই পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এ সময় ৭ রান করে ফেরেন সাওয়াল জুলফিকার। দলীয় ৫৬ রানে ওপেনার মুনিবা আলীর ২৮ বলের ৩৫ রান করে ফেরেন। ৮৪ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক নিদা দার। তবে আলিয়া রিয়াজ ২২ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেললে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয়।
জবাবে পাকিস্তানের মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কিউই মেয়েরা। স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে নিউজিল্যান্ড। এরপর দলীয় ৬২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় কিউইরা। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গিয়ে থামে তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন হান্নাহ রোয়ী।
পাকিস্তানের মিডিয়াম পেসার ফাতিমা সানা ৩টি ও বাঁহাতি স্পিনার সাদিয়া ইকবাল ২টি উইকেট নিয়েছেন। এ ম্যাচে চোট নিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ২০ রান খরচায় ১ উইকেট নেন পাকিস্তান অধিনায়ক নিদা দার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩০ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়ার মেগান শাটের সঙ্গে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক এখন পাকিস্তান অধিনায়ক।
উল্লেখ্য, শনিবার সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে কুইন্সটাউনে। এরপর হবে ওয়ানডে সিরিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
অনলাইন ডেস্ক :
বিচ্ছেদের পরও বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলেছেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও। বাসস্থান আলাদা হলেও এখনো তাদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে ছেলে আজাদের জন্য। আজাদের ওপর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিলো কিনা তা নিয়েই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন কিরণ রাও।
আরও পড়ুন
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অ্যাঞ্জেলিনা জোলি খুলে দিয়েছেন বাড়ি
বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম থেকেই খোলাখুলি কথা বলেন সাবেক আমিরপত্নী। কিরণ বলেন, বিচ্ছেদ মানে কোনো দড়ি কেটে ফেলা নয়; বরং দড়িতে গিঁট পড়লে সেটি ছাড়ানোর নামই বিচ্ছেদ। তিনি বলেন, আমাদের খুব সহজভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছিলো। তার কারণ আমরা বিচ্ছেদের জন্য ততোদিনে প্রস্তুত ছিলাম। বিবাহিত থাকাকালীন আমাদের মধ্যে সব ঠিকই ছিল। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও আমরা ভেবেচিন্তেই নিয়েছিলাম। কখনই আমরা ঝগড়া করিনি। তর্ক করেছি, যা ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত আমাদের বাবা-মায়ের সাথেও হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন
তরুণীর গায়ে মদ ঢেলে তারকার টক্সিক জন্মদিন!
আমির ও কিরণ বরাবর সতর্ক থেকেছেন, আজাদের যাতে কোনো কিছুতে খারাপ না লাগে। সন্তানের এ প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছুই ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি, যাতে একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা
বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্ব নিয়ে সাবেক আমিরপত্নী বলেন, আমরা বিবাহিত হয়ে থাকতে চাই না ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয়, আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি না। সঙ্গীর বহু জিনিসই অপছন্দ হতে পারে, তার জন্য ঝগড়াও হতে পারে। কিন্তু এমন কারণও থাকে, যার জন্য সঙ্গীকে আপনি ভালোবাসবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন আমির ও কিরণ। ২০২১ সালে তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গত বছর প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। চলতি সফরে ওয়ানডেতেও ১ম জয় পেয়েছে টাইগাররা। তাসমান সাগর পাড়ের এই দেশটাতে এতদিন টি-টোয়েন্টিতেও জয়হীন ছিল বাংলাদেশ। আজ সেই আক্ষেপ ঘুচেছে। ৫ উইকেটের জয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ শুরু করেছে টাইগাররা।
আজ ২৭ ডিসেম্বর বুধবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান এসেছে জিমি নিশামের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। জবাবে ১ ওভার ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। এলো-মেলো ব্যাটিংয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন রনি তালুকদার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মিলনেকে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০ রান।
তিনে নেমে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটে এসে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন তিনি। কিন্তু থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৯ রান করে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সৌম্য। ওয়ানডের ফর্মটাই যেন টি-টোয়েন্টিতে টেনে এনেছেন তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ঝোড়ো শুরু করেছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নবম ওভারে বেন সিয়ার্সের ‘ইউ মিস আই হিট’ টাইপের বলে লাইন মিস করেন সৌম্য, বল আঘাত হানে সরাসরি স্টাম্পে। সৌম্যের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ২২ রান।
সৌম্য ফিরলে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দেখে-শুনে ব্যাটিং করেন লিটন দাস। প্রয়োজনীয় রান রেট বজায় রেখে ব্যাটিং করছিলেন তারা। ক্রমশই ম্যাচ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলেন কিউইদের। ১৪তম ওভারে হৃদয়কে ১৯ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। পরের ওভারেই ফেরেন আফিফ হোসেনও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই চাপ পাকা হাতে সামাল দেন লিটন। শেখ মেহেদি তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। শেষ পর্যন্ত লিটন অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৪২ রান করে। আর মেহেদির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৯ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কিউই ইনিংসের প্রথম ওভারেই আঘাত হানে বাংলাদেশ। চতুর্থ বলে টিম সেইফার্টকে সাজঘরের পথ ধরান শেখ মেহেদি। অফ স্টাম্পের ওপর খানিকটা খাটো লেন্থে সোজা বল করেছিলেন এই অফ স্পিনার, টার্নের আশায় খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সেইফার্ট।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে রীতিমতো আগুন ঝরান শরিফুল। ওভারের দ্বিতীয় বলটি লেন্থ ডেলিভারী ছিল এই বাঁহাতি পেসারের। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন ফিন অ্যালেন।
পরের বলেও উইকেট পান শরিফুল। এই বাঁহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপর করা বল ভেতরের দিকে ঢোকার সময় ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল আঘাত হানে তার প্যাডে। তবে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফিলিপস ফিরে গেলে ১ রানেই ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলিং ইউনিটের অসাধারণ এক পারফরমেন্স!
শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান। কিন্তু টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি মিচেলও। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন মেহেদি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৪ রান।
ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পান এই লেগ স্পিনার। রিশাদের ফুল লেন্থের বলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ কভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দেন চ্যাপম্যান।
এরপর স্যান্টারকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির পথে এগোচ্ছিলেন নিশাম। ১৫তম ওভারে স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল। অবশ্য সেখানে বড় অবদান সৌম্যের। মিড উইকেটে সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন তিনি। খালি চোখে আম্পায়ার বুঝতে পারেননি, আসলে কী ঘটেছে। এরপর থার্ড আম্পায়ার বেশ কয়েকবার দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও কিউইদের আশার আলো হয়ে এক প্রান্তে জ্বলছিলেন নিশাম। ৪৮ রানে তাকে ফেরান মুস্তাফিজ। নিশাম ফেরার পর রানের গতি কমে যায় স্বাগতিকদের। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।