চলারপথে রিপোর্ট :
সভায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৩৫ কোটি টাকা ৯২ লক্ষ ১০হাজার ৮৭৫ টাকা আয় এবং বিভিন্ন খাতে সমপরিমান ব্যয়ের প্রস্তাব সম্বলিত বার্ষিক বাজেট সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। সভায়, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ এবং নির্বাচিত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট সভাত্তোর এক প্রশ্নের জবাবে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে উন্নয়ন প্রকল্প খাতে গৃহীত বরাদ্দের আওতায় বাস্তবায়িতব্য প্রকল্প তালিকা সহ জেলাপরিষদের বাজেট সম্পর্কে বিশিষ্ট নাগরিক, পেশাজীবী শ্রেণী ও সাংবাদিকদের সাথে শীঘ্রই মতবিনিময় সভা করে বিস্তারিত অভিহিত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী উল্লাস কর ১৩৮তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে “উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি সংসদ” ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে “উল্লাসকর দত্তের সংগ্রামী জীবন ও স্মৃতি রক্ষার আন্দোলন” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আবদুল কুদদূস।
উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ (সিলেট অঞ্চল)-এর সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন উল্লাসকর দত্ত স্মৃতি সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হঠাৎ করে কেউ বিপ্লবী হয় না। বিপ্লবী হতে হলে দেশ এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হয়। বিপ্লবী হতে হলে সাহসী হতে হয়। বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত আজীবন লড়াই করে গেছেন। উল্লাসকর দত্ত ছোটবেলা থেকেই মানুষ এবং মাতৃভূমিকে ভালোবেসেছেন। তিনি ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে নানা লড়াই-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি সশস্ত্র বিপ্লবের পক্ষে ছিলেন।
কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সচতুর ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যেয়ে তিনি মামলার শিকার হন। দীর্ঘদিন কারাগারে অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেও দেশ ও বিপ্লবের চেতনা থেকে তিনি একটুও বিরত হননি।
বক্তারা বলেন, উল্লাসকর দত্ত একটি অখন্ড ভারত চেয়েছিলেন। একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলেন। যে দেশে সকল মানুষ ধর্ম, বর্ণ, জাত-পাতের ভেদাভেদ ভুলে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। উল্লাসকর দত্তের এই মহৎ উদ্দেশ্য আজও সফল হয়নি। তাই উল্লাসকর দত্তের বিপ্লবও শেষ হয়ে যায়নি।
এজন্য উল্লাসকর দত্তের বিপ্লবী ও দেশাত্মবোধের চেতনা আমাদের সবাইকে বুকে ধারণ করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। বক্তারা স¤প্রতি উল্লাসকর দত্তের বসত বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের আওতায় নিয়ে আসায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় তারা উল্লাসকর দত্তের বসভিটা বাঘাবাড়িতে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গত ১ জুলাই হতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশব্যাপী সংঘটিত কোটা সংস্কার এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে নিহত ছাত্র রংপুরের সন্তান শহীদ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, জাহিদুজ্জামান তানভীম, উমর সহ কয়েক শত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিশু, গৃহবধূ, ব্যবসায়ীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, আহতদের সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১০ আগস্ট শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন পরিষদ নেতা শরীফ আহমেদ খান, আরমান উদ্দিন পলাশ, অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, মোঃ বাবুল চৌধুরী, আলী মাউন পিয়াস, আলী হায়দার তুষার, কাজল, ডা. মোফখখারুল ইসলাম ছামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা শেখ জুলফিকার আলী, পূর্ণ, প্রভাষক মোশাররফ হোসেন, কামরুল হাসান নান্টু, রুমানা আক্তার শ্যামলী, শামছুল আলম বাবুন, নিয়ন প্রমুখ।
এদিকে, সকালে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শোকাহত ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. তৌহিদুল ইসলাম মিথিল। অনুভূতি ব্যক্ত করেন শিক্ষক আব্দুস সাকিব ছোটন, বাচিক শিল্পী আল আমিন শাহীন, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম, শহীদ তানভীম ও শহীদ উমরের মা বাবা, আন্দোলকারী ছাত্র জাহিদ হাসান, দূর্জয় প্রমুখ। শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র বাবা মা অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। উভয় অনুষ্ঠানে বক্তারা অতি শীঘ্রই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিশু, নারী পুরুষদের গুলি করে হত্যাকারী ছাত্রলীগ এবং পুলিশদের তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দলের লেজুর বৃত্তিক ছাত্র সংগঠন রাখা যাবে না। সমাজে চলমান বৈষম্য দূর্নীতি দূর করতে হবে। আদালতসহ সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না। উভয় অনুষ্ঠানে আন্দোলনের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় স্থানীয় আলেমগণ দোয়া মোনাজাত পরিচালনার পর তাবারুক বিতরণ করা হয় এবং ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা সরকারি টাকায় নির্মিত শেখ হাসিনা সড়ক নামফলক ভেঙ্গে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ সড়ক” নামকরণ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে তিতাস নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে নিয়োজিত দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়। পরে ড্রেজার ও বাল্কহেডের দুই চালককে দুই মাস করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপাওয়া দুই চালক হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সুভারামপুর গ্রামের ইজাজুল ইসলাম ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান।
আজ ২৭ আগস্ট রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের রাজকৃষ্ণপুর এলাকার তিতাস নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি চক্র। বিষয়টি জানতে পেয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোশারফ হোসেন দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালকসহ ছয়জনকে আটক করেন। পরে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(গ) ধারা লঙ্ঘন করে নদী থেকে বিপণনের উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করায় এবং ড্রেজিং এর কারণে নদীর তীর ভাঙ্গনের শিকার হওয়ায় আইনের ১৫(১) ধারায় আটক দুইজন ড্রেজার ও বাল্কহেড চালককে ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও আটক চারজন শ্রমিককে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। জব্দকৃত ড্রেজার ও বাল্কহেড স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের জিম্মায় দিয়ে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেছেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যুবকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার খুব নির্ভুলভাবে জুলাই অভ্যূত্থানে আহত নিহতদের তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হলে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন এর সাথে প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত জুলাই অভ্যূত্থানে সদর উপজেলার শহীদ পরিবার ও আহত এবং অসমর্থ যুবকদের অনুকুলে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে শহীদ পরিবার, আহত ও অসমর্থ যুবকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পাপিয়া আক্তার এবং আহত ও নিহতদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন অভিভাবক আব্দুল রহিম প্রমুখ। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, আহত যুবক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা। আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য স্নানের মধ্যদিয়ে মেলা শুরু হয়।
প্রতি বছর ১৪ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা। তবে ঠিক কত বছর আগে এ মেলার যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বান্নি মেলাকে কেন্দ্র করে ভাদুঘর এলাকার প্রায় বাড়িতে চলে উৎসবের আমেজ। দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা বেড়াতে আসেন। বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয় নানা ধরনের পিঠা। তিতাস নদীর পাড়ে বসে বিভিন্ন পণ্যের পসরা।
মেলায় আসা আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হলেও ভাদুঘরের বান্নি মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। ছোটবেলায় দেখেছি পরিবারের সদস্যরা বান্নিতে আসতেন। বুঝতে শেখার পর বাপ-দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। এখন আমরা আসি প্রতিবছর। তবে মেলার সেই জৌলুস আর নেই।’
আতিকুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, আগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় লোকে-লোকারণ্য হয়ে যেতো। বাস-ট্রাকে করে মানুষ আসতে দেখেছি।
এখন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকালে স্নানের পর বেশিরভাগই চলে যান। তবে এবার বিকেলের দিকে জমজমাট ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। দিনব্যাপী পুলিশ সদস্যরা মেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।