অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কখনোই বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করবে না।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত বিশেষ দরবার (সমাবেশ) অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সূত্র : বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করব না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।’
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ‒ একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশ অর্জন করেছি।’
বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সাথে বৈরিতা নয়’ নীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গুরুত্বপূর্ণদের সাথে বন্ধুত্ব করতে কাজ করছে। দেশের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা করছে।
তিনি বলেন, অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বারবার প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছে, কিন্তু সফলতার সঙ্গে সেগুলো কাটিয়ে উঠেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও অনেক বাধা এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। কারণ একটি দেশ যখন দ্রুত অগ্রগতি করে, তখন অনেকেই তা সহ্য করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ঝামেলা শুরু করে।’
একটি স্বাধীন ও বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দেশের সকল মানুষকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো (বাধা-বিপত্তি) নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এসএসএফ এবং এর কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সংকলিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭৫টি বাণী সম্বলিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর উক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৮৬ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, যা পরবর্তী সময়ে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর ১৯৯১ সালে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামে নামকরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপতি যেখানেই থাকুন না কেন এবং ভিআইপি, রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান বা সরকার কর্তৃক ভিআইপি হিসেবে ঘোষিত যে কোনও ব্যক্তিসহ উভয় ভিআইপিকেই ‘শারীরিক নিরাপত্তা’ প্রদানের উদ্দেশ্যে এই বাহিনী গঠন করা হয়।
সংসদীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর এটির প্রাথমিক কাজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য ভিআইপিদের সুরক্ষা দেওয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে অভিযান চালিয়ে বাড়তি দামে খেজুর বিক্রির দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে আদালত পরিচালনার সময় ফল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন জালিয়তির বিষয়টি ধরা পড়ে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, রাজস্ব ও শুল্ক ফাঁকি দিতে উন্নত জাতের খেজুরকে নিম্নমানের খেজুর দেখিয়ে আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সে খেজুর আবার ফলমণ্ডিতে তিন থেকে চারগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছিলো। ফলমণ্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টরা সিন্ডিকেট করে বাড়তি দরে খেজুুরসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করছেন।
অভিযানের সময় আমদানি নথি যাচাই করে দেখা যায়, ফলমণ্ডিতে ১২ জন আমদানিকারক গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করেছেন। এগুলো কেজিপ্রতি গড়মূল্য ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা। এরমধ্যে আমদানিকারক ‘আল্লাহর রহমত স্টোর’ গত চার মাসে ৩৩টি এলসির মাধ্যমে ২ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা ১৪ পয়সা দরে। ‘আলী জেনারেল ট্রেডিং’ ১৬৮ মেট্রিক টন খেঁজুর কেজিপ্রতি ১০৪ টাকা দরে আমদানি করে।
অথচ ফলমণ্ডির ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে প্রতি কেজি আজওয়া ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, মাবরুম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, মরিয়ম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, জাহিদি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, মেজডুল খেজুর ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও আলজেরিয়া খেজুর ২৫০ থেক ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।
অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্টন থানায় দায়ের করা বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেরা মাহবুব আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে এই আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেনএ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার সাবেক উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। ওই হত্যা মামলায় তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মকবুল হত্যা মামলায় আসামি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অন্যদিকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর আইনজীবী রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাঁর জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তাঁকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও মকবুল নামের বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার এজাহারে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নাম রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন পুলিশ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় আসামিরা বিএনপির কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাব, কম্পিউটার, নগদ অর্থ ও মুঠোফোন লুট করে নিয়ে যান। যার আনুমানিক মূল্য ৪৭ লাখ টাকা। অভিযানে বিএনপির কার্যালয় ও এর আশপাশে থাকা দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। একই সাথে সেদিন মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করা হয়।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সংসদ সদস্য পদ হারান।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়টি হত্যাসহ অন্তত নয়টি মামলা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ২৫ জুন বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। বিএনপির করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজী হাবিবুল আউয়ালকে খুঁজছিল বলে জানা যায় । তাকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানায় ডিবি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর অন্তরালে অবস্থান করছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় অপর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেফতারের পর আলোচনায় আসে তার নাম।
নূরুল হুদার কমিশন আলোচনায় ছিল ২০১৮ সালে ‘দিনের ভোট রাতে’ সম্পন্ন করে। আর কাজী আউয়ালের কমিশন বিতর্কিত ছিল ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে। এছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনা হবে কিনা? এমন প্রশ্নে তার বেশ কিছু নেতিবাচক বক্তব্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘রোববার রাতে বসুন্ধরা এলাকায় আরেকটি অভিযান চালিয়ে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু হাবিবুল আওয়ালকে ধরতে একই এলাকায় অভিযান চালানো হয়, এ কারণে অনেকেই মনে করেছিল আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তবে তাকে গ্রেফতারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যখনই পাওয়া যাবে, তখনই তাকে গ্রেফতার করা হবে।’
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ‘আমি-ডামি ভোট’ উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন তত্কালীন কমিশন। ওই কমিশনের বেশির ভাগ কার্যক্রমই ছিল বিতর্কিত। ভোটের হার নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার ৪০ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন সদস্যদের আসামি করে রোববার মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের সাবেক চারজন আইজিও।
রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলায় সোমবার কে এম নূরুল হুদার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নূরুল হুদা এবং হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ছাড়াও কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ ও তার নেতৃত্বাধীন কমিশন সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের লোকসংগীতের জায়গাটি অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের বাউল ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুদিনব্যাপী লোকসংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগেরকার দিনে লোকসংগীত তথা বাউলদের অনেক কদর ছিল। যা হারিয়ে গিয়েছিল। নরওয়ের নাগরিক ওয়েরা সেথার আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে আবার উজ্জীবিত করেছেন। যা আবার আমাদের জগতে ফিরে এসেছে। তিনি লোকসংগীত চর্চায় প্রতিষ্ঠা করেছেন মায়ের তরী। যা দেখতে এসেছি।
কিশোর বয়সের স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে কিশোর বয়সে লোকসংগীতের আসর বসত। বসত গীতিকার সুরকার ও শিল্পীদের আড্ডা। তখন এসব আসরে ছুটে যেতাম। মাঝে এসব হারাতে বসেছিল। যা আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। সেই পুরনো বাদ্যযন্ত্র আজ এসেছে অনুষ্ঠানে। সেই তবলা, দোতরা, হারমোনিয়াম…। বাউলদের আসল জিনিস দোতরা। দোতারায় বাউলের সুর ওঠে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ তথা আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে তার উৎকর্ষ সাধনে যিনি কাজ করছেন। নরওয়ের নাগরিক সেই ওয়েরা সেথার চাইলে আমরা তাকে সানন্দে নাগরিকত্ব দেব ইনশাআল্লাহ।
৭ মার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের হৃদয়ের মাস। যে মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়, আমাদের মুক্তির ভাষণ দেন। আমাদের স্বাধিনতার মাস। কীভাবে নিরস্ত্র বাঙালি একটি ভাষণ শুনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে হানাদার মুক্ত করেন। আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ দিনে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যা শুনে নিরস্ত্র বাঙালিরা দেশকে হানাদার মুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৭ মার্চ শুধু ভাষণ নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণাও। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাষণ শুনে আমাদের আর পেছনে ফিরতে হয়নি।
মায়ের তরীর প্রতিষ্ঠাতা নরওয়ের নাগরিক লোকসংগীত গবেষক ওয়েরা সেথারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার কবির, বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান মানিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিন, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর ই আলম সিদ্দিকী ও কবি সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা বিউটিসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর গাড়ির সামনে দাঁড়ালেও এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন সাতদিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামান, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শিপ্রা রানী মণ্ডলের উপস্থিতিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
যুগ্ম সচিবকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করার দাবি জানান। এর উত্তরে যুগ্মসচিব বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হবে, এমন আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা আন্দোলন সাত দিনের জন্য স্থগিত করছি। মন্ত্রণালয় যেসব আশ্বাস দিয়েছে তা বাস্তবায়নে কার্যকর অগ্রগতি না দেখলে আগামী সপ্তাহে আমরা আবার আন্দোলনে নামবো। পরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে মিছিল, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, স্মারকলিপি প্রদান, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। তবে সম্প্রতি এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।