অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়াসহ তিনটি দেশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : গালফ নিউজ
ইন্দোনেশিয়ার কোথাও পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই ২৯ জুন দেশটিতে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মালয়েশিয়া সরকারও ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘোষণা করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেক দেশ ব্রুনেইতেও রবিবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই সে দেশেও ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।
বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে সোমবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক রয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় এ বৈঠক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা রাজ্যে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
২৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশন কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ও মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য কোরআন তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া করা হয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনার্থেও। মোনাজাত পরিবেশ করেন মিশন প্রধান আরিফ মোহাম্মদ।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং মিশনের প্রথম সচিব আল আমীন প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন ।
সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ড. দেবব্রত দেব রায়, রাজ্যের শিক্ষাবিদ ড. মুজাহিদ রহমান, ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, ড. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ-ভারত সম্মননাপ্রাপ্ত সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু।
অনুষ্ঠানে একাত্তরের গণহত্যার ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। পরে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার ব্যাপকতার ওপর আলোকপাত এবং ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে আটক করা দুই বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী কারাভোগ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ৯ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
দেশে ফেরা তরুণ তরুণীরা হলেন, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুব্রত ভট্টাচার্য্য (২১) ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা জান্নাত আক্তার (১৯)।
ভারতের ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় আখাউড়া-আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সজিব মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম, বিজিবির আইসিপি পোস্ট কমান্ডার মো. রুহুল আমিনের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা মো. ওমর শরীফ।
এসময় গণমসাধ্যমকে সুব্রত ভট্টাচার্য্যের মা বলেন, ‘আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ বিধায় ছেলেকে একটা আশ্রমে পড়াশোনা করার জন্য দেওয়া হয়। একদিন রাতে ফোন আসে আমার ছেলে ভারতে। ফোন পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে যাই। সে ওখানে থাকার প্রায় দশ মাস আমি পাগলপ্রায় ছিলাম। আমার স্বামীও অসুস্থ। কোথায় যাবো, কী করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এতোদিন পর ছেলেকে পেয়ে আমি আনন্দিত।’
দেশে ফেরা সুব্রত ভট্টাচার্য্য জানান, তিনি দশ মাস আগে রামগড় সীমান্তপথে পুরোহিত বিদ্যার্জনে ভারত যান। সেখানে তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন।
এদিকে জান্নাত আক্তার জানান, পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য দালালের মাধ্যমে তিনি ভারতে যান। সিলেটের খোয়াই সীমান্তপথে তিনি গিয়েছিলেন। দেশে ফিরতে পেরে তিনি খুব খুশি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। মঙ্গলবার লুকাশেঙ্কোকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে বেলারুশের সরকারি গণমাধ্যম।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াগনারপ্রধানকে যে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আমি দেখছি, প্রিগোজিন এই উড়োজাহাজে রয়েছেন। হ্যাঁ, তিনি আজ বেলারুশে এসেছেন।’
ওয়াগনার বাহিনীর খরচে প্রিগোজিন বেলারুশে থাকবেন বলে জানান লুকাশেঙ্কো। তিনি বলেন, ওয়াগনারের যোদ্ধাদের জন্য কোনো ক্যাম্প নির্মাণ করছে না বেলারুশ। তবে তারা যদি চান, তাহলে বেলারুশে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
ওয়াগনারের যোদ্ধাদের জন্য বেলারুশে কোনো নিয়োগকেন্দ্র খোলা হবে না জানিয়ে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘পরিত্যক্ত একটি সামরিক ঘাঁটিতে আমরা ওয়াগনারের যোদ্ধাদের থাকার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের কাছে সবকিছু আছে। আপনারা নিজেদের তাঁবুগুলো খাটিয়ে নিন।’
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বেল্টার খবরে বলা, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে লুকাশেঙ্কো বলেন, তিনি যুদ্ধ থেকে ওয়াগনার গ্রুপের নেওয়া অভিজ্ঞতা শুনতে চাইবেন এবং তাদের কাছ থেকে শিখতে চাইবেন। লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘যদি তাদের কমান্ডার আমাদের কাছে আসেন, আমাদের সহযোগিতা করেন…আমাদের বলেন, আমাদের জন্য এখন কী গুরুত্বপূর্ণ…এটা অমূল্য। ওয়াগনারের কাছ থেকে আমাদের এটাই নেওয়ার আছে।’
ওয়াগনারের উপস্থিতির কারণে তার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো। বেলারুশ কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর সতর্ক নজর রাখবে।
বিদ্রোহ থেকে পিছু হটার দুই দিন পর সোমবার এক অডিও বার্তা দেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তাতে তিনি বলেন, রাশিয়ার সরকারকে উৎখাত করতে তিনি বিদ্রোহ করেননি। তার বিদ্রোহ ছিল রুশ সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। রুশ সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের দাবিতে পরদিন শনিবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি ও ওয়াগনার যোদ্ধারা। পথে বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণে নেন তারা। পরে সেদিন রাতে লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
বিদ্রোহ থেকে সরে আসা নিয়ে প্রিগোজিনের সঙ্গে ক্রেমলিনের একটি সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী, বিদ্রোহের জেরে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়া হবে। ওয়াগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর প্রিগোজিনকে বেলারুশে ‘নির্বাসন’-এ যেতে হবে।
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ওয়াগনার সদস্যরা। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত শহরে যুদ্ধে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তারা। তবে অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতিসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রিগোজিন। সর্বশেষ শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে ওয়াগনার যোদ্ধাদের ওপর হামলা হয়েছে – এমন অভিযোগের পর বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি।