চলারপথে রিপোর্ট :
চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে রক্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক যুবক। নিহত ওই যুবকের নাম মো. ইয়ার হোসেন (৩৩)।
গতকাল ১৭ জুন শনিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা নামকস্থানে ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়ার হোসেন কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার পাকদেওড়য়া গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে। ইয়ার হোসেনকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিক্সাটি সড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ‘রোলার গাড়িতে’ ধাক্কা লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
কসবা থানা, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, ইয়ার হোসেন একজন নিয়মিত রক্তদাতা ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়নের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে খাড়েরা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
নিহত ইয়ার হোসেনের কাছে ব্লাড ব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের আইডি কার্ড রয়েছে বলেও জানান তারা।
চলারপথে ডেস্ক :
কসবায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মোঃ রানা নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকসাই গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রানা মিয়া উপজেলার মনকশাইর গ্রামের মোঃ চুন্নু মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। রানার কাছ থেকে ২ টি রামদা, ১ টি লোহার চকিু, ১টি লোহার তৈরি কোরাবাড়ী (পিন তোলার যন্ত্র) উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা-আখাউড়া উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারসহ ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও উপজেলা বিএনপির পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গত ছয় দিনে বহিষ্কৃতরা হলেন, কসবা উপজেলা বিএনপির বর্তমান সদস্য এবং সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মেহাম্মদ ইলিয়াস, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য আশরাফ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মোহাম্মদ আলমগীর, বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, ছিদ্দিকুর রহমান ও সদস্য নাদিরুজ্জামান ভূইয়া, কসবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন এবং আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ ভূইয়া ও বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নাদিরুজ্জামান।
তবে মোহাম্মদ ইলিয়াস উপজেলা বিএনপি ও পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সদস্য। তাকে দুই পদ থেকেই বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও গত ছয় দিনে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন, খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সানু মিয়া, কায়েমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান আহ্বায়ক প্রার্থী খাজা আহমেদ, বায়েক ইউনিয়ন যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু ইউসুফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খুরশেদ আলম (মাইক), খোরশেদ আলম, কসবা ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফুল মিয়া, তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, পৌর শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল মিয়া, রাজু আহমেদ, মো. অপু আলম, শিমুল মিয়া, এন আপেল, মো. হাফিজ উদ্দিন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন, কসবা টি আলী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সজিব শ্রাবন।
বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীরা বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর কসবা উপজেলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমানের জনসভা ও ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ও উপজেলা বিএনপির কোনো কমিটিতে কবির আহমেদ ভূঁইয়ার কোনো পদ নেই। কিন্তু তিনি এই আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে মাঠে সরব রয়েছেন। তাই মুশফিকুর রহমানের জনসভায় যোগ দেওয়ায় কবিরের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি, জায়গা ও দোকান দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তাদের আঁতাত রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও দলীয় সভা-মিছিলে তারা ছিলেন না। তাই কারণ দর্শানোর আওতায় আনা হয়েছে। উত্তর না দিলে তারা বহিষ্কৃত হবেন। আমরা কি চাইব দলের সক্রিয় কর্মীকে বাদ দিতে। মুশফিকুর রহমানের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে অভিযোগ সত্য না।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১২৫ কেজি গাঁজাসহ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কসবা থানা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। এর সকালে উপজেলার পৌরশহরের ইমামপাড়া এলাকা থেকে মাদকগুলো জব্দ করা হয়।
কসবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের আভিযানিক দল পৌরশহরের ইমাম পাড়া এলাকার একটি সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারী ১২৫ কেজি গাঁজা ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ জুলাই সোমবার বিকেলে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের। এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী শামীমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আব্দুর রশিদ মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং মুসলিম মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের বলেন, মেহারী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সম্প্রতি সহিংসতা হয়। সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন, সেখানে ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ অন্যতম আসামি। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে তিনি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ৯ আগস্ট শনিবার ভোরে তার নিজ গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আজ দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য রতন মেম্বার মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ডেভিল হান্টের আওতায় ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খাড়েরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, কামরুজ্জামান রতন নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি রাতে বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিযাপন করতেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।