অনলাইন ডেস্ক :
মত প্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি বরং সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ১৯ জুন সোমবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে তিনি একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারী দলের মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচাররাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ মে ২০২৩ পর্যন্ত সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালসমূহে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫টি।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙার প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের বিধি অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়য়াদি আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রার পদ নিবন্ধন অধিপ্তদের আওতায় থাকাই যৌক্তিক। সাব-রেজিস্ট্রার পদগুলি আইন ও বিচার বিভাগ হতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার ব্যাপারটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়।
তিনি জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে নিজ নিজ প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ১০ জুন হতে ২০২৩ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৭৮ হাজার ১৯৫টি দলিল ই-রেজিস্ট্রশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। এর ফলে ভূমি শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসন্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।
সরকারি দলের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে কর্মরত নকলনবিশের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৫৬ জন। বর্তমানে কর্মরত অধিকাংশ নকলনবিশ তালিকাভুক্ত আছেন। অবশিষ্ট অ-তালিকাভুক্ত নকলনবিশদের তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নকলনবিশদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সারা দেশে (৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত) এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭৬টি। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৪০টি। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা নেই।
বিচারকগণ এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। দ্রুত নিষ্পত্তির কারণেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা তুলনামূলক কম উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত চক্র) সরকারকে ব্যর্থ করতে নেমেছে। তারা কীভাবে সরকারকে পতন করবে? গোপন হামলার মাধ্যমে? চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে সরকারের পতন করা সম্ভব হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে এখানে নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন উপলক্ষে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
সমাবেশ শুরুর আগে নরসিংদীবাসীর জন্য উপহার উল্লেখ করে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
তাঁর সরকার সাক্ষরতার হার ৪৪ ভাগ থেকে ৭৬ দশমিক ৬ ভাগে ভাগে উন্নীত করেছে এবং খালেদা জিয়াসহ জিয়া পরিবারের ব্যক্তিগত শিক্ষা-দীক্ষার ইতিবৃত্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা চায় না যে মানুষ শিক্ষিত হোক। ওরা চায় না আমাদের ছেলে-মেযেরা লেখাপড়া শিখুক। তাই, আজকে এই নভেম্বর মাস, সামনে ইলেকশন। আগেভাগে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। সে ব্যবস্থা যখন নেওয়া হচ্ছে বিএনপি দিচ্ছে অবরোধ, হরতাল আর পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। সামনে আসার সাহস নাই। অলি-গলি থেকে বের হয়ে বাসের ভেতর, স্কুটারে, অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিচ্ছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করছে, এমনকি অন্তস্বত্তা মহিলা যে অ্যাম্বুলেন্সে সেটাও পুড়িয়ে দিচ্ছে।
পুলিশের ওপর হামলা ও পিটিয়ে পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা এবং পুলিশ, হাসপাতালে হামলা ও অগ্নিসংযোগকে তিনি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে তিনি একে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন এবং নিরীহ নারী ও শিশু হত্যার সঙ্গে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, এই বিএনপি’র সন্ত্রাসি কর্মকান্ড আপনারা যুগ যুগ ধরে দেখেছেন, কিভাবে মানুষের ওপর তারা অত্যাচার করে। ২০১৩ ও ১৪ সালে করেছে নির্বাচন বানচালের জন্য এখন আবার একই উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। মানুষ জন হাট বাজার দোকান পাট যানবাহন ব্যক্তিগত সম্পত্তি কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
তিনি অগ্নিসন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এ অগ্নিসন্ত্রাসি যাকে যেখানে পাবেন তাকে আগে ধরেন। কেউ যদি অগ্নিসন্ত্রাস করতে যায়, বাসে আগুন দিতে যায় ঐগুলোকে ধরে ঐ আগুনেই ফেলে দেবেন। তাহলে যদি ওদের শিক্ষা হয়, তাছাড়া ওদের শিক্ষা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা বন্ধ করা ছাড়া তারা এই অবরোধ করে আর কি করতে পারবে? সরকার হঠাবে! কিভাবে হটাবে? এই চোরাগুপ্তা হামলা করে সরকার হঠানো যায় না। মানুষ সাথে না থাকলে আন্দোলন হয় না।
‘২/৪টা চোরাগুপ্তা হামলা করে আর মানুষ মেরে ওরা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসি দল আর জামায়াত হচ্ছে যুদ্ধাপরাদীদের দল। তাদের কথা এদেশের মানুষ শোনে না।
এক সময় এদের কথায় কিছু লোক আস্ফালন করে বেড়ালেও বিএনপি’র নেতৃত্ব শূন্যতার দিকে ইঙ্গিত করে তাদের নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টার কারণও সামনে আনেন তিনি।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মস্যাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে। যাকে তিনি পরিবারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে দয়া করে নিজস্ব ক্ষমতাবলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছেন। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা এবং মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আর রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আগামী নির্বাচনে যাকে প্রার্থী করা হবে তার পক্ষে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট প্রত্যাশা করেন। এ সময় উপস্থিত লাখো জনতা দুই হাত তুলে সমস্বরে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেয়।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান প্রমুখ।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী। সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘোষিত প্যাকেজ অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় হজের খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে হজের প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়।
সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজের মূল্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর ফি ক্যাটাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরির ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হজের প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাবুর অবস্থান ও অন্যান্য সুবিধা সরকারি প্যাকেজের মতো নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগের বছর হজের প্যাকেজ ছিল দুটি। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ এর খরচ ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। সেবারও হজের খরচ আগের বছরের চেয়ে ৫৯ হাজার টাকা বেড়েছিল।
এবার হজে যেতে সরকারিভাবে একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতবারের প্যাকেজ-১ এর তুলনায় এ বছর ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা বেশি খরচ হবে। আর প্যাকেজ-২ এর তুলনায় খরচ বেশি হবে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
এদিকে গত বছর বেসরকারিভাবে হজের খরচ পড়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ কত হবে, বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন (হাব)।
অনলাইন ডেস্ক :
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। আজ ২১ এপ্রিল সোমবার নির্বাচন কমিশন সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, একটি চিঠির মাধ্যমে এ তালিকাভুক্ত ১০ জনের এনআইডি লক করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান এবং এখনও সেখানেই অবস্থান করছেন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে আবেদনও জানিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অফিসে যাওয়ার পথে চার পোশাককর্মীকে পিষে মারলো বাস। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১০ জন।
আজ ১১ অক্টোবর বুধবার সকাল আটটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চেলেরঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন জানান, সকালে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাটে চাকা পাংচার হলে বাসের যাত্রীরা অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সকাল আটটার দিকে সেখানে একটি পোশাক কারখানার বাস রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। এসময়ে পেছন থেকে একটি বাস দ্রুত গতিতে ওই বাসকে ধাক্কা দিলে সেটি যাত্রীদের ওপর উঠে যায়। এতে বাসের চাপায় চারজন নিহত হয়। আহত হয়ে আরো ১০ জন।
ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাদেকুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন মহিলা। আহত ১০ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর সিরিজের নম্বর ০৫৪৪২২২। আজ ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা বিজয়ী হয়েছে ০২৪১৭৬৮ নম্বর।
তৃতীয় পুরস্কার এক লাখ টাকা করে দুটি। এগুলো হলো ০৯৬৪০৫২ ও ০৫৫৩৮৪৫। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী নম্বর দুটি হলো ০১৯৭১৪২ ও ০০৫৪৩৮২।
প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮২টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যা এবারে পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
একক সাধারণ পদ্ধতিতে অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বরে এই ‘ড্র’ পরিচালিত হয়। এগুলো হলো-কক, কখ, কগ, কঘ, কড়, কচ, কছ, কজ, কঝা, কঞ, কট, কঠ, কড়, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খথ, খগ, খঘ, খ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ্, খট, খঠ, খড়, খঢ়, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গত, গচ, গাছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক ঘখ, ঘগ এবং ঘঘ।
উপরের সিরিজসমূহের অন্তর্ভুক্ত সাধারণ সংখ্যা পুরস্কারের যোগ্য বলে ঘোষিত হয়। যেমন—প্রাইজবন্ডের যে সংখ্যা প্রথম পুরস্কারের জন্য ঘাষিত হয়েছে সেই সংখ্যার প্রাইজবন্ড উল্লেখিত প্রতিটি সিরিজের প্রথম পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
একইভাবে ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম পুরস্কারের জন্য ঘোষিত সংখ্যাও তাদের মান অনুযায়ী প্রতিটি সিরিজের ক্ষেত্রে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
ড্র-এর নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে (বিক্রির তারিখ ধরে এবং ড্র-এর তারিখ বাদ দিয়ে) যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এই ড্রয়ের আওতায় আসবে। আয়কর আইন ২০২৩-এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাইজবন্ড পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে।
এ ছাড়া পঞ্চম পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পাবেন মোট ৪০ জন। তাদের নম্বরগুলো হলো ০০০৬৭৫৪, ০০৩১২৯৬, ০০৫৩৮১১, ০০৬৭৫৬৬, ০১০৪৩৩৪, ০১১১৩৭১, ০১৪৯৯৯২, ০১৬৪৬০৬, ০১৯৩৩৫৪, ০২২২০৯৫, ০২৫৪৯৪০, ০২৯৮২৬৬, ০৩২৩৩৬২, ০৩২৮১২২, ০৩৭৬৪২৩,০৪০৩৬৩৫, ০৪১৯৬১৪, ০৫২৪৯৩৫, ০৫৪১৭৩৪, ০৫৮২৯৮৬, ০৬১৩৭০৪, ০৬২৯৬৩৮, ০৬৫৭৭৩৪, ০৬৫৭৯৯৪, ০৬৬৫৭৫৭, ০৬৭৪৫২৪, ০৬৮৯৪১৯, ০৭০২৬৯৬, ০৭০৮০৩৩, ০৭৩৫১০২, ০৭৫১১৬৫, ০৭৫৫৭২৪, ০৭৭২৫৮০, ০৮২৪৯৮৮, ০৮৪১৫০৩, ০৮৪৮১৩৭ ও ০৮৭০২২২।