চলারপথে রিপোর্ট :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। আজ ১৯ জুন সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রায়গ্রাম ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এসব মানুষকে কামড়ে জখম করে কুকুরটি। এর মধ্যে ১৭ জন কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে রায়গ্রামে সাদা রঙের একটি পাগলা কুকুর একের পর এক পথচারী, দোকানি, স্কুলছাত্রী, শিশুদের কামড়াতে শুরু করে। স্থানীয়রা কুকুরটিকে ধাওয়া করলে সেখান থেকে দৌড়ে হেলা, বলিদাপাড়া ও পৌরসভার নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে কামড়ে আহত করে। এক পর্যায়ে কুকুরটি ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আজগর আলী বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকজন রোগী এসেছে। আমরা তাদের ভ্যাকসিনসহ চিকিৎসা দিয়েছি। কামড়ে দু’জনের আঘাত বেশি গুরুতর হওয়ায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস। সাদাছড়ি বহনকারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিরাপদে পথ চলতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।
এবারের সাদাছড়ি দিবসের স্লোগান হিসেবে ঠিক করা হয়েছে- ‘দৃষ্টিজয়ে ব্যবহার করি, প্রযুক্তিনির্ভর সাদাছড়ি’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাদাছড়ি বিতরণ, আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের হিসাবমতে, বিশ্বে ২৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ পুরোপুরি ও আংশিকভাবে চোখে দেখে না। এসব দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ চলাচলের জন্য হাতে সাদাছড়ি ব্যবহার করে। যাতে যারা চোখে দেখে তারা তাদের চলাচলে সহযোগিতা করে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই দিবসটি পালন শুরু হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। তাই আঞ্চলিক মহাসড়কে ন্যূনতম হারে হলেও টোল আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে মানুষের মধ্যে টোল দেওয়ার সংস্কৃতিও গড়ে উঠবে।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলাপকালে আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার কথাও জানান।
আজ ১৪ আগস্ট বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নিজের একটি ছবি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান আনোয়ার ইব্রাহিম নিজেই।
তিনি পোস্টে লেখেন, ‘গতকাল আমার পুরনো বন্ধু প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে ফোনে কথা হয়েছে, তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাম্প্রতিক নিয়োগের জন্য ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
তিনি আরো লেখেন, মালয়েশিয়ার সাথে প্রফেসর ইউনূসের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা পুনর্গঠন ও পুনঃস্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য ও সমর্থন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সংখ্যালঘুসহ সব বাংলাদেশি নাগরিককে সুরক্ষা ও সমান অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
অধ্যাপক ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশ সফর করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে, সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে, এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে।
তিনি বলেন, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন, সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
অনলাইন ডেস্ক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের লোকসংগীতের জায়গাটি অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের বাউল ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুদিনব্যাপী লোকসংগীত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগেরকার দিনে লোকসংগীত তথা বাউলদের অনেক কদর ছিল। যা হারিয়ে গিয়েছিল। নরওয়ের নাগরিক ওয়েরা সেথার আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে আবার উজ্জীবিত করেছেন। যা আবার আমাদের জগতে ফিরে এসেছে। তিনি লোকসংগীত চর্চায় প্রতিষ্ঠা করেছেন মায়ের তরী। যা দেখতে এসেছি।
কিশোর বয়সের স্মৃতিচারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে কিশোর বয়সে লোকসংগীতের আসর বসত। বসত গীতিকার সুরকার ও শিল্পীদের আড্ডা। তখন এসব আসরে ছুটে যেতাম। মাঝে এসব হারাতে বসেছিল। যা আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে। সেই পুরনো বাদ্যযন্ত্র আজ এসেছে অনুষ্ঠানে। সেই তবলা, দোতরা, হারমোনিয়াম…। বাউলদের আসল জিনিস দোতরা। দোতারায় বাউলের সুর ওঠে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ তথা আমাদের লোকসংগীতকে ভালোবেসে তার উৎকর্ষ সাধনে যিনি কাজ করছেন। নরওয়ের নাগরিক সেই ওয়েরা সেথার চাইলে আমরা তাকে সানন্দে নাগরিকত্ব দেব ইনশাআল্লাহ।
৭ মার্চ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস আমাদের হৃদয়ের মাস। যে মাসে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়, আমাদের মুক্তির ভাষণ দেন। আমাদের স্বাধিনতার মাস। কীভাবে নিরস্ত্র বাঙালি একটি ভাষণ শুনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে হানাদার মুক্ত করেন। আজ সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ দিনে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। যা শুনে নিরস্ত্র বাঙালিরা দেশকে হানাদার মুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ৭ মার্চ শুধু ভাষণ নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণাও। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ভাষণ শুনে আমাদের আর পেছনে ফিরতে হয়নি।
মায়ের তরীর প্রতিষ্ঠাতা নরওয়ের নাগরিক লোকসংগীত গবেষক ওয়েরা সেথারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার কবির, বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান মানিক, স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টিএমএ মমিন, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর ই আলম সিদ্দিকী ও কবি সাহিত্যিক ফেরদৌস আরা বিউটিসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর গাড়ির সামনে দাঁড়ালেও এড়িয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।