চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন খামারে চলছে গরু মোটাতাজাকরণ। খৈল, ভূষি, ঘাস, খড়, বন, লালিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় কোরবানি যোগ্য অতিরিক্ত পশু মজুদ রয়েছে উপজেলায়।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৬২০টি খামার ছাড়াও অনেকেই পারিবারিক ভাবেও কোরবানির পশু পালন করছেন। তার মধ্যে ষাঁড় গরু ২৫৫৭টি, বলদ গরু ১৩৭৪টি গাভী গরু ২৩৬৬ টি এবং মহিষ ৮৭৯ টি ছাড়াও ছাগল রয়েছে ৩২৯৫ টি ও ভেড়া ২১৫১ সহ মোট ১২৬২২ টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তার বিপরীতে উপজেলায় কুরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১০৫০০ টি পশু।
খামারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি খামারের শ্রমিকরা পশুগুলোর পরিচর্যায় ব্যস্ত। কেউ গরুকে গোসল করাচ্ছেন, কেউ আবার খাওয়াচ্ছেন, কেউ বা পরিচ্ছন্ন করছেন।
কথা হয় খামার মালিক সেন্টু মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আমাদের খামারে বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। সবনিম্ন লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকারও গরু রয়েছে। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
আরেক খামার মালিক মোঃ হাবিব শাহীন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমার খামারে গরুর পরিচর্যা করা হচ্ছে। মোটাতাজা করতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে এবার বাজারজাত নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছি। শুনছি চাহিদার চেয়ে পশু উৎপাদন বেশী।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আরিফুর ইসলাম বলেন, উপজেলায় দীর্ঘ একটি বছর আমাদের পরামর্শে ৬২০ টি খামারের স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে সর্ব মোট ১২৬২২ পশুর উৎপাদন করা হয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক ভাবে যারা পশু লালনপালন করেছে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বাজার গুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সার্বক্ষণিক দুইটি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
ডেস্ক রিপোর্ট :
কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের শত শত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকঢোলসহ মিছিল নিয়ে হাজির সভাস্থলে। উচ্চ শব্দে বাজতে থাকে মাইক। পাশের তিনটি বিদ্যালয়েও এর শব্দ ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক পাঠদান। শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে জানালা-দরজা বন্ধ করে ক্লাস নিয়েছেন। এ সমাবেশ চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে এভাবে চলেছে ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশ। ২২ জানুয়ারি রবিবার উপজেলার চম্পকনগর উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজসহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবহূত মাঠে এ আয়োজন করা হয়। কলেজ ছাড়াও চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে মাঠটি।
কর্মী সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন দত্তের সভাপতিত্ব ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মী সমাবেশে হৃদয় আহমেদকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জানা গেছে, সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক শব্দদূষণ ও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ব্যাহত হয় তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পাঠদান। এতে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তিবোধ করে। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, শব্দদূষণের কারণে তাঁরা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারেননি। বেশি শব্দ হওয়ায় শিক্ষকরা দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন।
মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাঠে সমাবেশ হবে জানা ছিল তাঁদের। আয়োজক কমিটি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি ভাবেনি। সরকারি দলের হওয়ায় তারা ছিল অসহায়। নিয়ম রক্ষার কারণে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হয়েছে। তবে ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান দস্তগীর দাবি করেন, ক্লাস নিতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয়নি।
কলেজ খোলা অবস্থায় মাঠে কর্মী সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার সরকার বলেন, ‘ফোনে এ ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। সরাসরি এসে দেখা করেন।’ এ সময় তিনি কল কেটে দিলে পরে চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
চম্পকনগর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাহেলা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশের অনুমতি নেওয়া হয়নি। দরজা-জানালা বন্ধ করে ক্লাস নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা এভাবে প্রোগ্রাম করি না। কিন্তু এটা হয়ে গেছে।’ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না।
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ‘সহকারী প্রধান হিসেবে আমি বক্তব্য দিতে পারি না। আপনি প্রধানকে কল দেন।’ তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জলিলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জুলফিকার হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও পাঠদান চলার সময় মাঠে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমোদন দেওয়া ঠিক হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৪১ বোতল ফেন্সিডিল ও ২৭ কেজি গাঁজাসহ মো. আইয়ান ইসলাম রনি (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। মো. আইয়ান ইসলাম রনি নবীনগর উপজেলার আমতলি গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ খ্রি : এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধনকে সুসংহত করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা, বিজিবির সহকারী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুর রহমান মান্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণী, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবির উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, এ.এম শামীউল হক চৌধুরী শামীম, বিজয়নগর উপজেলা মডেল মসজিদ মসজিদের খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুমার ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকল ধর্মের এবং বর্ণের লোকজনকে একসাথে মিলেমিশে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুসংহত করতে হবে।
সমাবেশে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের উপর হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ূব নূর (৫৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয় এবং পুলিশের একজন এস.আইসহ ১০জন পুলিশ আহত হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের গাবানিমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব নূর গাবানিমোড়া গ্রামের মন্তু মিয়া প্রকাশ মস্তু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায় নিহত মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। হামলার সময় নিহত আইয়ূব নূরের ছেলে আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের পরিবারের সবাই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বিজয়নগর থানায় আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে মাদকের ৫টি, তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ৫টি ও তার ভাই তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ালে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা। তারা আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে আইয়ূব নূর, সালামা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এস.আই সাঈদুল, এ.এস.আই সেলিম, এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। তিনি বলেন, আমরা আইয়ূব নূরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।