চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার কথা বলায় ট্রেনের চালককে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছেন কয়েক জন যুবক। এতে ট্রেনের একটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।
নরসিংদী রেল স্টেশনে সিলেটগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনটি ঢাকার বিমানবন্দর রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে চান নরসিংদীর পাঁচ তরুণ যাত্রী। ট্রেন চালক তাদের ইঞ্জিন থেকে নামিয়ে দিয়ে যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট বগিতে ভ্রমণ করতে বলেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। একপর্যায়ে তারা ইঞ্জিন থেকে নেমে যান। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতি দেয়। ওই সময় পাঁচ তরুণ ট্রেন চালকের সঙ্গে পুনরায় বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা রেল লাইনের পাথর কুড়িয়ে চালক বরাবর ছুড়ে মারেন। এতে চালক বেঁচে গেলেও ট্রেনটির ইঞ্জিনের একটি জানালা ভেঙে গেছে। পরে তরুণরা পালিয়ে যায়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণ করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে চালকের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেন পাঁচ তরুণ। রেলওয়ে পুলিশ দৌড়ে তাদের ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদী রেল স্টেশনের মাস্টার ইমন খান বলেন, সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় ২০ মিনিট ট্রেনটি থেমে ছিল। পরে ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি আবার গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধদের মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৪ জানুয়ারি রবিবার সকালে রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাসরিন বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নাসরিন বেগম রংপুর নগরের তাজহাট এলাকার বাসিন্দা।
এর আগের দিন শনিবার সকালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা আমেনা বেগম (৬০) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি উপজেলার গোয়ালু গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং সার্জারি, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে ৪২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, কনকনে শীতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে ৪৪ জন দগ্ধ রোগীর মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরসহ আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে এসব দগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অগ্নিদগ্ধ দুজন রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম থেকে তাকে নিয়ে হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতে পালানোর সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে আটক হন চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের ওই সংসদ সদস্য। অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেয়।
ওই মামলায় রাতেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরে চট্টগ্রামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারের সুপার শহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় ফজলে করিম কারাগারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যান। পরে পুলিশের তত্ত্বাবধানেই তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার স্টেডিয়াম থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) শতভাগ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক/দপ্তর সংস্থার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এমন কাজ করতে হবে। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অহেতুক বিলম্ব করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতীয় গড় থেকে বেশি হলেও তা যথেষ্ট সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ৩০ জুনের আগেই প্রত্যেক দপ্তর/সংস্থার এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সকল দপ্তর/সংস্থার চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি (ভৌত ও আর্থিক) তুলে ধরে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩০.২৮%। গতবছর একই সময়ে এই অগ্রগতির হার ছিল ৩৮.১০%। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২৭. ১১%।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজি ওয়াছি উদ্দিন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া পিএএ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লাহ খান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে হওয়া এ আন্দোলনে নিহত হয়েছেন ৮৫৮ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৫১ জন। আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার প্রথম ধাপের এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্পেশাল সেল। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত স্পেশাল সেলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহিদ বা আহত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ৬৪ জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহিদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট (musc.portal.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই অথবা সংশোধন বা চূড়ান্ত করতে শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ওয়ারিশ অথবা প্রতিনিধিদের মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন বা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসঙ্গত কোনো তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ই-মেইলে (muspecialcell36@gmail.com) অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এর আগে, শুক্রবার গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ৮৫৮ জন শহিদের ভেরিফাইড তথ্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে পেয়েছি। এটা চূড়ান্ত নয়। এ ব্যাপারে কাজ অব্যাহত আছে। এদিন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে। তবে এ তালিকা সর্বশেষ তালিকা নয়। এখনো তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। পরে আরো তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও আমরা তালিকায় এনে ক্যাবিনেটে পাঠাবো।
২০২৪ সালের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে। এর পরই জুলাইয়ের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলন পুনরায় জোরদার হয়। কয়েক সপ্তাহ বিক্ষোভের পর ১৫ জুলাই আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উত্তেজনা বেড়ে যায়। পরবর্তী দিনগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর ফলে আন্দোলনকারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পথচারী, শিশুসসহ অসংখ্য মানুষ নিহত হন। আগস্টের শুরুর দিকে এই সহিংসতার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এত প্রাণহানির দায় অস্বীকার ও সহিংসতার জন্য অন্যান্য কারণকে দায়ী করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এসব ঘটনার জেরে কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে লাখো ছাত্র জনতা। সেই পরিস্থিতির মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পালিয়ে যান অনেক মন্ত্রী-এমপি-নেতা। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে চালানো গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের এমপি-মন্ত্রী-আমলা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পলাতক মন্ত্রী-নেতা, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জন্য উপহার হিসেবে ৫০০ কেজি হিমসাগর আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি কার্টনে করে আমগুলো ত্রিপুরায় পাঠানো হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ উপহারের আমগুলো গ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেবেন।
আমগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস ক্লিয়ারিংসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী এমন উপহার পাঠিয়ে থাকেন। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই নিদর্শন এটি। আমি আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। এ উপহারের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. আল আমিন এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।