নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে পৌর মেয়র বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা

জাতীয়, 21 June 2023, 707 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকাকে হারিয়ে মেয়র হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবদুল জলিল খন্দকার। দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

জানা গেছে, তালোড়া পৌরসভায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রেই বিজয়ী হয়েছেন আবদুল জলিল খন্দকার। জগ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট।

আজ ২১ জুন বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

তালোড়া পৌরসভার মোট ১৬ হাজার ৭৬ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ২২৮ জন ভোটার ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কোনো ভোট বাতিল না হওয়ায় ১৬ হাজার ৭৬টি ভোট বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল জলিল খন্দকার জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৪ ভোট, এস এম সাহিদ লাঙল প্রতীকে ৪৯২ ভোট, কামরুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে ১৩৯ ভোট, মোছা. আউলিয়া খন্দকার ইস্ত্রি প্রতীকে ১৮৩ ভোট, আবু হোসেন সরকার নারকেল গাছ প্রতীকে ১৫৬৩ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচিত আবদুল জলিল খন্দকার পৌর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ জুন তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।

Leave a Reply

আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান…

অনলাইন ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর Read more

বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহনশীলতায় বিশ্বাস করে, শান্তিপ্রিয় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটদের বিশেষ সাধারণ সভা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও Read more

আখাউড়ায় মাকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মাকে দেখামাত্র অসুস্থ Read more

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইকুয়েডরকে হারাল ব্রাজিল

অনলাইন ডেস্ক : ইকুয়েডরের বিপক্ষে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে জয়ের দেখা Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের…

চলারপথে রিপোর্ট : বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, জেলা ছাত্রদল, যুবদলের Read more

মালয়েশিয়ায় একদিনে অভিযানে ২২২ বাংলাদেশি আটক

অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ২২২ জন Read more

নবীনগরে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী…

চলারপথে রিপোর্ট : উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি ‘সুরসম্রাট’ খ্যাত Read more

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ৬ সেপ্টেম্বর ‘সুরসম্রাট’ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর Read more

জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে উদীচীর…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে Read more

সালমান শাহকে হারানোর আজ ২৮ বছর

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বাঁক ঘোরানো তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা Read more

দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত প্রায়…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের Read more

ঘোড়া দিয়ে হাল চাষ

জাতীয়, 14 December 2023, 380 Views,

বিশেষ প্রতিনিধি :
একসময় রাজা-বাদশাহদের বাহন ছিল ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ি। যুদ্ধক্ষেত্রেও তার ঘোড়া ব্যবহার করতো। যদিও এখন এই বাহন হিসেবে ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ি বিলুপ্তির পথে। পাশাপাশি সেই আদিকাল থেকেই কৃষিকাজে ঘোড়ার ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে ঘোড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজে গরু-মহিষও ব্যবহার হতো। কৃষকরা গরু-মহিষ দিয়ে হালচাষ করতো। কিন্তু কালের বির্বতনে ঐতিহ্যবাহী গরু-মহিষের হাল আজ বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে কৃষকরা পশু দিয়ে চাষাবাদ না করে উন্নতমানের যান্ত্রিক প্রযুক্তির সাহায্যে জমিতে হালচাষ করছেন। এতে কম খরচে স্বল্প সময়ে অধিক জমি চাষ করা সম্ভব।

যান্ত্রিক সভ্যতার এ যুগে যখন গরু দিয়ে হালচাষ বিলুপ্তির পথে তখন ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন মো. হানিফ (৫০) নামের এক কৃষক।

দীর্ঘকাল ধরে রণক্ষেত্রের পাশাপাশি মালামাল ও মানুষ পরিবহনে ঘোড়া ব্যবহৃত হয়ে আসলেও কালের পরিক্রমায় তা আজ বিলুপ্তির পথে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ঘোড়া দিয়ে জমিতে হালচাষ করা এক বিরল ঘটনা এমনটাই বললেন স্থানীয়রা।
হানিফ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউপির উত্তর পলাশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার বিকালে সরজমিন দেখা যায়, ঘোড়া দিয়ে জমিতে হালচাষ করছেন কৃষক হানিফ। হালচাষ দেখতে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ পথ চলতে চলতে থমকে দাঁড়ান।

কৃষক হানিফ জানান, বর্তমান বাজারে এক জোড়া হালের গরুর দাম কমপক্ষে এক লাখ টাকা। সেই তুলনায় বর্তমান বাজারে গরুর চেয়ে ঘোড়ার দাম কম। কিছুদিন পূর্বে তিনি মাত্র ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে দুটি ছোট সাইজের ঘোড়া কিনেছেন। এ ঘোড়া দুটি দিয়ে তিনি প্রতিদিন এক থেকে দেড় বিঘা জমি চাষ করছেন। তিনি নিজের জমি ছাড়াও গত ৩ বছর ধরে অন্যের জমিতেও টাকার বিনিময়ে ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করছেন।

তিনি আরো জানান, গরুর চেয়ে ঘোড়া হাঁটে-চলেও অনেক বেশি। ফলে গরুর হালের চেয়ে একই সময়ে ঘোড়া দিয়ে তিনগুণ বেশি জমি চাষ করা যায়। ঘোড়া দিয়ে তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেড় থেকে দুই বিঘা জমিতে হালচাষ করতে পারেন। তিনি জমি চাষ করতে বিঘাপ্রতি ৬০০ টাকা করে নেন। এতে তার প্রতিমাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। ঘোড়া দুইটির খাদ্য বাবদ দৈনিক ১০০ টাকা করে খরচ হয়। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে পরিবারের ৫ সদস্যের খরচ চলে। এ ঘোড়ার হাল দিয়েই তিনি ঘোড়াচ্ছেন তার জীবিকার চাকা। ঘোড়ার হাল দিয়ে অন্যের জমি চাষ করে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই তিনি সংসারের চাহিদা পূরণ করছেন। হালচাষ বা জমিতে মই দিয়ে যা পেয়ে থাকেন তা দিয়েই সংসার ভালোভাবেই চলে।

কৃষক নুরুল আলম, হেলাল জানান, ঘোড়া দিয়ে জমিতে হালচাষ করলে মাটি গভীরভাবে খনন হয়। মই দেয়ার সময় জমির উঁচু-নিচুও ভালোভাবে সমান হয়। এতে জমিতে পানি সমানভাবে ধরে রাখা সহজতর হয়। একদিনে অনেক জমিতে হালচাষ করা যায়। ফলে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়। তাই এলাকায় হানিফের ঘোড়ার হালের বেশ চাহিদা রয়েছে।

চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, কৃষকরা এখন যান্ত্রিক উপায়ে জমি চাষ করেন। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘোড়ার গাড়িও উঠে গেছে। ঘোড়া দিয়ে হালচাষ করা দুর্লভ একটি বিষয়। এটা পারসেনট্রিনের মধ্যে পড়ে না। কৃষি বিভাগ আধুনিক মানের যন্ত্র ব্যবহার করে চাষাবাদ করার জন্য কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে।

চায়না জাল ধ্বংস

জাতীয়, 8 September 2023, 526 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুরের রাজৈরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টেকেরেহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিস থেকে এসব চায়না দুয়ারী জব্দ করা হয়। পরে রাজৈর উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে এসব দুয়ারী ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, পাবনা থেকে অপূর্ব নামের প্রেরক টেকেরহাট বন্দরের সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কার্তিক নামক প্রাপকের কাছে চায়না দুয়ারীর ২৪ টি প্যাকেট পাঠায়। যাতে ২৪০ পিচ দুয়ারী রয়েছে। যাদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।

পাবনা থেকে টেকেরহাট বন্দরে চায়না দুয়ারী আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক শুক্রবার দুপুরে সওদাগর কুরিয়ার সার্ভিসের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এই বিপুল পরিমাণ দুয়ারী জব্দ করেন্। পরে রাজৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাদিজা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এসব দুয়ারী পুড়িয়ে ধ্বংস করেন।

রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মানিক মল্লিক জানান, এটাই রাজৈর উপজেলার চায়না দুয়ারীর সবচেয়ে বড় চালান ছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল হক রিমান্ডে

জাতীয়, 4 September 2024, 17 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পৃথক হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদিদোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। অন্যদিকে রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এ ছাড়া শিশু আলিফ অপহরণ মামলায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল কাফীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এসব আদেশ দেন। প্রত্যেক আসামির ক্ষেত্রেই ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।

আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা শক্ত হাতে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার আরেক আসামি ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন। মামলার ৩ নম্বর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনসহ অন্যরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলার ৫ নম্বর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিন চান তাঁর আইনজীবী। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শহীদুল হকের রিমান্ডের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে শহীদুল হকের জামিন চান তাঁর আইনজীবী। শুনানিতে শহীদুল হক বলেন, তিনি কোনো হত্যার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি নিরপরাধ। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সম্প্রতি শিশু আলিফ অপহরণের অভিযোগে রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় আবদুল্লাহিল কাফীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হককে গ্রেপ্তারের কথা গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়, শহীদুল হককে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন সেনা হেফাজতে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তিনি সেনা হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাতে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই সরকারে আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। সরকার পতনের পরদিন তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফীকে গত সোমবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করার কথা জানানো হয়। তখন অবশ্য বলা হয়েছিল, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল কাফীর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জেলায় ব্যালট পেপার যাবে ২৫ ডিসেম্বর থেকে

জাতীয়, 19 December 2023, 425 Views,
ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
২৫ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পৌঁছাবে । এখন ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ চলছে।

আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ কথা জানান।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শেষ হবে। এর আগেই ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলায় জেলায় পৌঁছানো শুরু হবে পেপার।

১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি, সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান। বিজি প্রেসের তিনটি প্রেসে ব্যালট পেপার প্রিন্ট হচ্ছে। যে সব নির্বাচনী আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে, ওই সব আসনে পরে ছাপানোর কাজ শুরু হবে।

৪০টির বেশি আসনে মামলা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট মুদ্রণ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চাই। যে সব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেখানের পেপার আগে মুদ্রণ হবে। যে সব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে, হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে, কারও প্রার্থিতা চলে যেতে পারে, সেসব এলাকায় আগে মুদ্রণ করলে পুনরায় মুদ্রণ করতে হবে। আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে যেসব আসনে প্রার্থিতা নিয়ে মামলা রয়েছে সেসব আসনে মুদ্রণ পরে হবে।

ব্যালট পেপার মুদ্রণে সুনির্দিষ্ট বাজেট নেই জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বিজি প্রেসের চাহিদার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তাদের ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছি। যে ভোটার আছে, তত সংখ্যক ব্যালট ছাপানো হবে। ২৫ তারিখের পর জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো শেষ হবে সেগুলো আগে চলে আসবে। ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে যাবে। তারপর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংরক্ষিত হবে। কেননা ভোটের দিন জেলা থেকে উপজেলায় এগুলো পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিনের জন্য মালামাল ও ব্যালট বাছাই করতে হয়। সেগুলো আগেই করতে হবে।

ব্যালট ও নির্বাচনী সামগ্রীর নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিরাপত্তা কীভাবে দেবে সেটা নিরাপত্তা বাহিনী ঠিক করবে। নিরাপত্তার মাধ্যমে ব্যালট পেপার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাবে। ইসি তো কোনো স্পেসিফিক বাহিনীকে বলে দেবে না, যে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সব নিরাপত্তা সামগ্রী পেয়ে গেছি। স্ট্যাম্পটা নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছায়নি। অন্যান্য সামগ্রী আগেই পৌঁছে গেছে। ২-৩ দিনের মধ্যে স্ট্যাম্প পৌঁছে যাবে।

তিতাস নদী পরিদর্শনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 April 2023, 1745 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী ও বিসিক শিল্পনগরীর খাল এবং পুকুর পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।

আজ ৫ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন কারখানা, পুকুর ও খাল এবং দুপুরে দুপুরে তিনি তিতাস নদীর মেড্ডা শ্মশান ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ছোট নৌযানে করে তিতাস নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা মৎস্য অফিসার তাজমহল বেগম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনজুর রহমান, বিআইডব্লিউটি’র উপ-পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল কুদদুস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান প্রমুখ।

সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তিতাস নদী ঐতিহাসিক নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে গল্প-উপন্যাস চলচ্চিত্র রচিত হয়েছে। কিন্তু দখল দুষনের কারণে নদীটির অস্তিত্ব বিলীনের পথে। মানুষ এখানে বর্জ্য ফেলে। প্রশাসন বার বার বলার পরও মানুষ শুনছেনা। এটি খুবই হতাশাজনক।

শুধু প্রশাসন কাজ করলে হবেনা। প্রশাসনের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ নদী আমাদের প্রাণ। এটিকে রক্ষা করার জন্যই আমরা কাজ করছি। নদী দখল করে মাছ চাষের ব্যাপারে তিনি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দখল ও দুষনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেন।

তিনি বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্য শোধানাগার (ইটিপি) যথাযথ বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এখানে সংগতি করার মতো কিছুই নেই। শিল্প বর্জ্য উৎপাদন হয় এখানে, কিন্তু বর্জ্য শোধানাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা কমিশন এসে এখানে হতবাক হয়েছি। এখানে শুধু মাত্র কেমিক্যাল নয়, এখানে পয়ঃ বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর এখানে কাজ করছে না। এখানে নাকি মাঝে মাঝে জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানা করে এখানে কোনো কিছুই করা যাবেনা। আমরা আশা করি জনগণের স্বার্থে শিল্প মালিকদের শুভ বৃদ্ধির উদয় হবে।

সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।