চলারপথে রিপোর্ট :
চার দিন আগে হালকা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতায় সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে নগরবাসী বারবার আকুতি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের ঘোষিত নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পায়নি এই সমস্যা।
এই খাতে এক দশক ধরে যেভাবে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, ঘোষিত বাজেটেও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়েছে। খাল, ছড়া, নালা, নর্দমা রক্ষণাবেক্ষণসহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে বাজেটের মাত্র দেড় শতাংশ। যদিও নগর পরিকল্পনাবিদরা নিয়মিত খাল-নালা পরিষ্কারের পাশাপাশি নানা উদ্যোগের কথা বলে আসছেন। অপ্রতুল বরাদ্দে তা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন তাঁরা।
নগরের আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবন মিলনায়তনে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এর মধ্যে খাল, ছড়া, নালা, নর্দমার রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) এই খাতে ২৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও খরচ হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকা।
নগরে খাল রয়েছে ৫৭টি ও নালা ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। প্রকল্পটির আওতায় ৩৬টি খাল ও ৩০০ কিলোমিটার নালা খনন ও সংস্কার করা হবে। নগরের বাকি ২১টি খাল ও ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার নালা নিয়মিত পরিষ্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এই অপ্রতুল বরাদ্দ দিয়ে তা রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। এটি তাঁর তৃতীয় বাজেট। তিন অর্থবছরের বাজেটে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে বিশেষ কোনো বরাদ্দ রাখতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে তিনি বলছেন, খাল-নালাগুলো সংস্কারে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কমছে বাজেটের আকার
২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার বরাদ্দ ২৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা কমেছে। এর আগের অর্থবছরেও ৩২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কমিয়ে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল।
সরকারের অনুদান কমছে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাজেটে সরকারের অনুদান ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে উন্নয়ন অনুদান প্রত্যাশা ৮৯৪ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে প্রত্যাশা ছিল ১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। বিপরীতে মিলেছে ৬৪১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নিজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে আয় ধরা হয়েছিল ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট অনুসারে সিটি করপোরেশনের আয় হয়েছে ৫০৬ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দেশের যে কোনো বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের যে কোনো বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
২০১২ সালের সৌদির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মাম ও মদিনা বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনা করা যেতো। আজকের চুক্তির পর শুধু এই চারেই সীমাবদ্ধ থাকলো না আকাশপথ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সৌদি আরবের পক্ষে সৌদি জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ আল দুয়াইলেজ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
নতুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পরিচালিত ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪৯টি যাত্রীবাহী এবং কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। নতুন চুক্তিতে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন শিল্প বিকশিত হয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে সারা দেশে বিমান পরিবহন অবকাঠামোর যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধি, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের এভিয়েশন খাত উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে অন্যতম এভিয়েশন হবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ফলে দুই দেশের এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো বৃদ্ধি পাবে। এটি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটন মহা-পরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সৌদি আরব বাংলাদেশের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করলে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্ব অত্যন্ত দৃঢ়। সৌদি আরবে একটি বড় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে, যারা দুই দেশের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছেন। নতুন সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বিমান চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দেশই এর সুফল পাবে।
সৌদি আরবের মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের আন্তরিক আতিথেয়তা এবং চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এ দেশের পর্যটনের বিকশিত হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। যেকোনো পর্যটক বাংলাদেশের আতিথেয়তাকে আজীবন মনে রাখবে। সৌদি আরব ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউজান আল রাবিয়াহ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুলাইহান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
চলতি বছরের হজের জন্য নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন ১৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে। যেসব হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরবের ভিসার জন্য কেবল তাদের বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ ১২ এপ্রিল বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সব জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ কমপ্লেক্স, ঢাকা ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় এবং আশকোনার হজ অফিসে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ সময় পাসপোর্ট জমা দিয়ে রশিদ নিতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে হজ এবং ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি ভিসা পেতে হলে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক নিবন্ধন (আঙুলের ছাপ ও মুখমণ্ডলের ছবি) সম্পন্ন করার নিয়ম চালু করে সৌদি সরকার। এজন্য ‘সৌদি ভিসা বায়ো অ্যাপ’-এর মাধ্যমে বায়োমেট্রিক ডেটা দিতে হবে। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে এটি ডাউনলোড করা যাবে। এই অ্যাপে নিবন্ধন ও বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ছাড়া ভিসা মিলবে না।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তরুণদের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ধ্বংসের শিক্ষা দিচ্ছেন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিক্ষা দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘বুধবার চট্টগ্রামের জামালখান এলাকার রাস্তায় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামে অমর ভূমিকা রাখা মাস্টারদা সূর্যসেন, মাওলানা মনিরুজ্জামান থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং স্বযত্নে রক্ষিত ম্যুরালগুলো বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যাওয়ার পথে তারা ভাঙচুর করেছে। এর অর্থ বিএনপি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কোনটাই মানে না এবং ধ্বংস করতে চায়। আমার প্রশ্ন তারা তরুণদের কি শিক্ষা দিচ্ছে? এই ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাসের শিক্ষা দিচ্ছে!’
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোথাও রাস্তার পাশে এতো সুন্দরভাবে ইতিহাস, ঐতিহ্যের প্রদর্শনী নেই, যেটি চট্টগ্রামের জামালখান এলাকায় করা হয়েছে। প্রায় শতাধিক বিভিন্ন চিত্রকর্ম সেখানে স্থান পেয়েছে। এই দৃষ্টিনন্দন দেয়ালে আমাদের পুরো ইতিহাস তুলে আনা হয়েছে এবং সেগুলো তারা ভাংচুর করেছে। এ অপরাধের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যখন বক্তৃতা করে তখন মনে হয় ভেতরে ভেতরে উনি ‘এফআরসিএস’ পাস করেছেন, উনি এখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও বটে। কারণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, আর মির্জা ফখরুল সাহেব গলা ফাটিয়ে বলেন উনি জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে। এখন ডাক্তারদের কথা ঠিক না ফখরুল সাহেবের কথা ঠিক, এটাই হচ্ছে প্রশ্ন।’
‘বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য একজন মানুষের স্বাস্থ্যকে রাজনীতিকরণ করার উদাহরণ’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা বেগম জিয়াকে রাজনীতির পণ্য বানিয়েছে। এটা তার জন্য প্রচণ্ড অবমাননাকর। বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা এবং সম্মান রেখে আমি তাদের অনুরোধ জানাবো, দয়া করে বেগম জিয়াকে বা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যকে রাজনৈতিক পণ্য বানাবেন না।’
সাংবাদিকরা এ সময় প্রশ্ন করেন- ছয় জন মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে নির্বাচন বিষয়ে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেওয়ার খবর, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রায় দুইশত বাংলাদেশির প্রতিবাদ লিপি দেওয়া এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কংগ্রেসম্যানদের চিঠি না পাওয়ার খবর বেরিয়েছে, এ বিষয়ে আপনার মত কি? এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি তো ইতিপূর্বে কংগ্রেসম্যানদের নামে ভুয়া চিঠিও প্রকাশ করেছিল। যেখানে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে তারা চিঠি পায়নি, সেখানে কংগ্রেসম্যানদের চিঠির যথার্থতা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে কংগ্রেসম্যানরা এ রকম চিঠি দিতেই পারে। শতশত কংগ্রেসম্যানের মধ্যে ৬ জন কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছে -এগুলো বাংলাদেশেই খবর হয়, অন্য কোনো দেশে খবর হয় না।’
এর আগে বিএসপি সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু এবং বিএসপির সাধারণ সম্পাদক জি এম কিবরিয়া তাদের বক্তৃতায় সংবাদপত্র পরিষদের পক্ষে নিউজপ্রিন্টের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা, বিগত অর্থ বছরগুলোর ক্রোড়পত্রের বকেয়া বিল পরিশোধ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে বিএসপি সদস্য অন্তর্ভুক্তি, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান ব্যবস্থা কেন্দ্রীকরণসহ কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আর আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যয়িত কয়েক কোটি টাকা আমরা চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে দেওয়ার প্রস্তাব করেছি, যাতে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারে। আর দেশে যখন এক-দেড়শ’ পত্রিকা ছিলো তখন বিজ্ঞাপন কেন্দ্রীয়ভাবে ছিল। এখন সাড়ে ১২শ’ পত্রিকা আর বিজ্ঞাপন এতো বেশি যে বাস্তবতার নিরিখে এগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।’
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো দেশ স্যাংশন দিলে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৩ মে শনিবার রাজধানীর রমনায় ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬০তম কনভেনশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আরেকটা সিদ্ধান্ত আমি নিতে বলেছি, এখন আবার ওই স্যাংশন দেওয়ার একটা প্রবণতা, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের ওপর স্যাংশন, আমি বলে দিয়েছি যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিচ্ছু কিনবো না। ’
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ওড়না নিয়ে বউ সেজে খেলা করতে গিয়ে পেঁচিয়ে পুকুরে ডুবে সাফা নামে দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৭-জুলাই সোমবার উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পুতিন্ন্যার পাড়া এলাকায় এ পানি ডুবির ঘটনা ঘটে। সাফা ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
জানা গেছে, সাফা নিজ ঘরে পাশে ওড়না নিয়ে বউ সেজে খেলা করছিলো। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত ওড়না পেঁচিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলী আকবর ইউনিয়নের পুতিন্ন্যার পাড়া এলাকায় সাফা নামে এক শিশু খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।