চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুরের পানিতে ডুবে আদিবা আক্তার নামের ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি সৈয়দাবাদ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিশু আদিবা সৈয়দাবাদ গ্রামের আলমগীর মিয়ার মেয়ে।
নিহত শিশুর চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুপুরে আদিবার মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই খাওয়া-দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় সবার অজান্তে শিশু আদিবা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। একপর্যায়ে ঘরের পেছনে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজনের খাওয়া শেষ হলে আদিবাকে না দেখে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে মা-বাবা কান্নাকাটি শুরু করেন।
পরে পুরো মহল্লায় খুঁজেও না পেয়ে বিকেলে লোকজন দেখতে পান পুকুরে হাঁটু পরিমাণ পানিতে ডুবে আছে শিশু আদিবা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আলম খান বেদন পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
এক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার দায়ে ইব্রাহিম মিয়া (২২) নামে এক যুবককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৩০ আগস্ট শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের আতকাপাড়া এলাকায় এ সাজা ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মিয়া, কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে কুটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী কোচিং শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ইজিবাইক চালক ইব্রাহিম মেয়েটির সঙ্গে অশালীন কথা বলতে থাকে এবং শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তার জামা ছিঁড়ে যায়। শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ইব্রাহিমকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ইব্রাহিম দোষ স্বীকার করলে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, এক অটোরিকশা চালককে ইভটিজিংয়ের অপরাধে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নয়নপুর-কসবা আঞ্চলিক সড়কের টি আলীর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে অটোরিকশাটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জানা যায়, দুপুরে উপজেলার নয়নপুর থেকে থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে কসবার দিকে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। পথিমধ্যে টি আলীর মোড় এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ অটোরিকশায় বিকট শব্দ হয়। পরে অটোরিকশায় থাকা চালকসহ যাত্রীরা দ্রুত নেমে যান। এর অল্প সময় পরেই অটোরিকশায় আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহম্মেদ জানান, অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারটি লিক করে থাকতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পারুল আক্তার (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে কসবা পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল আক্তার চড়নাল গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী।
গৃহবধূর স্বামী ইব্রাহীম মিয়া জানান, কয়েক মাস আগে ছোট মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর থেকে প্রায় সময়ই তাকে অন্যমনস্ক বা বিকারগ্রস্ত হয়ে আবোল তাবোল কথা বলতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ ভাল থাকতো আবার কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে নিজের মর্জিমাফিক চলত। এসব সমস্যায় চিকিৎসাও চলছিল। গত বুধবার তাকে কুমিল্লা নেয়া হয়েছিল চিকিৎসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সকলের জন্য নাস্তা তৈরি করে বড় মেয়ের কক্ষে পাঠায়। বড় মেয়ে তার ছোট ভাইকে নিয়ে নাস্তা খাওয়ার সময় রান্না ঘর থেকে গোঙ্গানীর শব্দ শুনে গিয়ে পারুল আক্তারের গলাকাটা পড়ে আছে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গৃহবধূ পারুল। ঘটনার সময় গৃহবধূর হাতে ছিল রান্নার কাছে ব্যবহৃত বটি দা।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, পৌর এলাকার চড়নাল গ্রামে গৃহবধূ পারুল আক্তার গলা কেটে আত্মহত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে মো. আল-আমীন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আল-আমীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পুটিয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কয়েকজন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে বিএসএফ। এতে আহত আল-আমীনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
বায়েক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। তবে কী কারণে গুলি করেছে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। মরদেহ বর্তমানে বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছামিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্তে গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় শুনেছি এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ নিয়ে যায়। পরে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আজ এ বিষয়ে বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তখন বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে।