চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেতু থেকে তিতাস নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।
২২ জুন বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, রাতে সেতু থেকে তিতাস নদীর পানিতে এক যুবক ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই যুবককে নদী থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
সি জানান, নিহত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তার পরিচয় জানতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অবগত করা হয়েছে। তারা এসে সার্ভারে যুবকের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করবেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে নিয়াজ মুহাম্মদ হাই স্কুল সম্মেলন কক্ষে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলার উপজেলা স্কুলের ৯টি টিম। আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,কসবা খেউড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বিজয়নগর মুকুন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া (সদর) অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও চান্দপুর স্কুল এন্ত কলেজ।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী (অতি.) নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভীন।
বিতর্কিত প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন, মো. শরীফুল ইসলাম (সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট), আসমা বেগম সহকারী শিক্ষক নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, রূপক মিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কসবা খেউড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয় টিমকে হারিয়ে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় টিম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তারা বলেন, বিতর্কের বিষয় ছিল জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার, হাত ধোয়ার অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯ টি উপজেলার আন্তঃস্কুল ৯টি টিম অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তারা বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সালাম ভাটপাড়া মাদরাসার ২০০১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মোট ২৪ বছরের ফারেগীন ছাত্রবৃন্দের পুণর্মিলনী উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসার মিলনায়তনে সকাল ৮টা থেকে তিলাওয়াতে কুরআনের মাধ্যমে শুরু হলে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা ইমরান খাঁন (শাহপরান) ও হাফেজ মুফতি বেলায়েতুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে শত শত হাফেজের উস্তাদ হা. বেলাল হোসাইন বলেন, আজ তোমাদেরকে এভাবে একত্রে এক প্লাটফর্মে দেখে আমি অনেক আনন্দিত, অনেক উৎফুল্ল। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা যেমন আনন্দিত হয়, আমি তারচেয়েও বেশি আনন্দিত আজ। সময়ের পালাবদলে যদিও তোমরা বিদায় নিয়ে দেশের দিগন্তে ছড়িয়ে আছো,কিন্তু তোমরা সবসময় আমার মন মস্তিস্কে বসবাস করো। তোমাদের সফলতার কথা শুনলে, জানলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। তোমাদের আজকের আয়োজন আমাকে খেদমত জীবনের স্বার্থকতা উপলব্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে দাওয়াতি মেহমান, ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য বৃন্দ ও ছাত্র সহ অত্র জামিয়ার সকল উস্তাদগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রায় দেড় শতাধিক ফারেগীন হাফেজদেরকে পাগড়ি ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। অত্র মাদরাসার সকল উস্তাদদেরকেও হাদিয়া প্রদান করা হয়েছে।
সবশেষে উস্তাজুল হুফফাজ হা. বেলাল হোসাইনকে সকল ছাত্রদের পক্ষ থেকে উমরাহর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মজলিশপুর ইউনিয়নের প্রাইমারি ২০২২ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের ও খেলাধূলায় কৃতিত্ব অর্জনকারীকে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব- নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা।
মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও মৈন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গাফারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার (তদন্ত) অফিসার অফিসার সুমন ভৌতিক, মজলিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বাকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, মৈন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মোঃ হায়দার, মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,আজকের শিক্ষার্থীর আগামী দিনের দেশের কর্ণধার, তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে,তারাই এদেশের নেতৃত্ব দিবে,তাই শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী নয় মানবিক ও আলোকিত শিক্ষার্থী হিসাবে গড়ে উঠতে হবে। বক্তারা সন্তানের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্যদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া ও প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, এসএসসি জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, খেলাধুলায় কৃতিত্ব অর্জনকারী ২ শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্রের ৫জন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৯। এসময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯টি আসনের ৫৯টি অনলাইন টিকেট, ৭টি মোবাইল ফোন ও টিকেট বিক্রয়ের ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে (র্যাব-৯) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলো শহরের উত্তর মোড়াইল এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম (৩৫) মোঃ জাকির হোসেন (৪৮), মোঃ রুবেল মিয়া (৩২), মোঃ শাহিন মিয়া (৪০) ও মোঃ সাজ্জাদ মিয়া (২৮)।
এর আগে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
(র্যাব-৯) এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল জানান, টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম থামাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে অভিযান চালায়।
এ সময় বিভিন্ন ট্রেনের ১২৯ টি আসন বিশিষ্ট ৫৯ টি টিকেট, কালোবাজিরর কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৮হাজার টাকাসহ ৫ কালোবাজারিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।