চলারপথে রিপোর্ট :
বরিশালে পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে দিয়েছে সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আজ ২৪ জুন শনিবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নগরীর কালীজিরা এলাকায় সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের তিনশ’ অতিথি আপ্যায়ন করেন আয়োজকরা। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহ ধরে উৎসবের আমেজ ছিল কেন্দ্রটিতে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের জেলা সমাজসেবা বিভাগের প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ জানান, শনিবার ওই কেন্দ্রে পুনর্বাসিত মেয়েদের ১৭ ও ১৮ তম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আশ্রিত রহিমার (১৯) বিয়ে হয়েছে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাগুয়া এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর রাসেল হোসেনের সঙ্গে। অপরদিকে তামান্নার (২১) বিয়ে হয়েছে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি এলাকার মুদি দোকানি ফরিদ হোসেনের সঙ্গে। রহিমা ৮ বছর এবং তামান্ন ওই কেন্দ্রে ৪ বছর ধরে বসবাস করছিলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুলিশের মাধ্যমে এই কেন্দ্রে আশ্রয় হয় তাদের। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রহিমার বাড়ি পিরোজপুরে এবং তামান্নার বাড়ি জেলার মেহেন্দিগঞ্জ বলে তারা জানিয়েছেন।
সাজ্জাদ পারভেজ আরো জানান, সামাজিকভাবে কথা পাকাপাকি করে তাদের বিয়ে হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশে। বিয়ের পোশাক কেনা, পুনর্বাসন কেন্দ্র সাজসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গায়ে হলুদসহ বিয়ের আয়োজনে কমতি ছিলো না। অনুষ্ঠানে উভয় বর ও কনেকে সেলাই মেশিন, লেপ-তোষক, ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদ পারভেজ। আশ্রিত হওয়ার পরও ব্যাপক আয়োজনে পরম মমতায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করায় খুশী বলে জানিয়েছেন তামান্না ও রহিমা।
তামান্নার বর ফরিদ হোসেন ও রহিমার বর রাসেল হোসেন জানান, এর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এই কেন্দ্রে এসে ওই তরুণীদের বিয়ের জন্য পছন্দ হয় তাদের। এরপর পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এতে খুশি তাদের পরিবারের সবাই।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দুই অনাথ তরুণীর বিয়ে হওয়ায় ওই কেন্দ্রের সকলে খুশি। আমাদের মেয়েরা যাতে ভালো থাকে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে প্রশাসনের। ভবিষ্যতেও তাদের খোঁজ খবর রাখা হবে। তাদের স্বাবলম্বী করার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া হলো লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার।
আজ ২২ জুন শনিবার সকাল ৯টার দিকে নয়াদিল্লির ফোরকোর্টে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এর পরে শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
এদিকে, আজ মোদি-হাসিনা শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি দিনভর রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
মোদি-হাসিনা বৈঠকের পর ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক মউ (সমঝোতাপত্র) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আজ শনিবার হাসিনার সম্মানে একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে হাসিনার।
আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেটে অবস্থিত কমার্শিয়াল সেন্টারের আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে এই সেবা উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। তার কাছ থেকে ১ জন নবজাতক ও ২ জন তরুণ বাংলাদেশির আবেদন স্লিপ নেওয়ার মাধ্যমে এই সেবার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এ পাসপোর্টে রয়েছে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা কোড। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু করা হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবার মান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ন্যায় স্মার্ট ও দ্রুততর হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট সেবায় গুনগত পরিবর্তন আসবে। এ পাসপোর্টের মাধ্যমে উন্নত দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিরাও শিগগিরই নিজে স্ক্যান করে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। সংখ্যার বিচারে যা সৌদি আরবের পর বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে ক্রমান্বয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন। যা বাস্তবে এখানে একটি বড় দাবিতে পরিণত হয়েছিল।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরুস ছালাম, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) বন্দীদের নিয়ে মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধু প্রিজন কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ৪ অক্টোবর বুধবার বিকালে টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল শেখ সুজাউর রহমান, ডিআইজি প্রিজন ঢাকা বিভাগ, এস এম ফজলুল হকসহ কারাগারের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ময়দানে মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধু প্রিজন কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বঙ্গবন্ধু প্রিজন কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মোট ১০টি দল অংশগ্রহণ করবে।
এদের মধ্যে ৯টি দল কারাগারে থাকা বন্দীদের নিয়ে গঠন করা। এছাড়া আরও একটি দল কারা স্টাফদের নিয়ে গঠন করা। এই মোট ১০টি দল মাসব্যাপী এই টুর্ণামেন্ট খেলবেন। এছাড়া তিনিও এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান অতিথি মাশরাফি বিন মর্তুজা সহ আগত অতিথিবৃন্দ ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে কারাগার ত্যাগ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
‘অগ্নিদুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর করণীয়’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৬ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ (সাবেক মহাপরিচালক), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান (সাবেক মহাপরিচালক), অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান (ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলেন্স, ঢাবি), অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট), স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব (সহসভাপতি, বাপা), মো. নিয়াজ আলী চিশতি, সভাপতি, ইসাব প্রমুখ।
স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে এবং চিহ্নিত ভবনের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার সাথে সাথে নির্দিষ্ট ভবনের সামনে তা প্রকাশ্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট করতে পারে এ জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিত। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য/বিরোধ দ্রুত সমন্বয় করা প্রয়োজন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহম্মেদ খান বলেন, ‘শহরকেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ ফায়ার সার্ভিসকে দুর্ঘটনার ধরনভেদে স্পেশাল টিম তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া রাজউক, সিটি করপোরেশন বা ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরির পরামর্শ দেন তিনি।
অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ফায়ার সার্ভিসের স্থগিত বিধিমালা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটিতে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে, এমন বিধান তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া বিএনবিসির কিছু ধারা যুগোপযোগী করা উচিত।’ অগ্নিনির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন।
নিয়াজ উদ্দিন চিশতী বলেন, ‘শুধু অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম কিনে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করলে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে না। অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কি না, তা যাচাই করতে হবে, যেন তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’
গোলটেবিল বৈঠকে অতিথিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। গোলটেবিল বৈঠকে কি নোট পেপার প্রেজেন্ট করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা একটি বদ্ধমূল সমস্যা এবং এর প্রভাব অনেক বেশি বিস্তৃত। লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবার, সম্প্রদায় ও সামগ্রিকভাবে জাতিকে প্রভাবিত করে। এই সহিংসতা কেবল শারীরিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে, পারিবারিক কাঠামোকে ব্যাহত করে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়।
আজ ২২ জুলাই শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স বেঞ্চ বুক লঞ্চ’’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে ইউএসএআইডি’র প্রোমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাকটিভিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ‘জুডিসিয়াল বেঞ্চ বুক অন অ্যাড্রেসিং জেন্ডার-বেইজড ভায়োলেন্স ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল বেঞ্চ বুক অন দ্য প্রিভেনশন অব অপ্রেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যাক্ট, ২০০০’ নামে দুটি বেঞ্চ বুক লঞ্চ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা ও প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদালত এই ধরনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যাতে তারা প্রতিকার পায় এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ক মামলার জটিল বিষয়গুলোর সহজ সমাধানে বিচার বিভাগীয় বেঞ্চ বুক দুটি বিচারকদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সকল স্তরের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক পরিসরে আইনি, প্রশাসনিক এবং নীতিগত সংস্কার করেছে।
আনিসুল হক বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সু-দৃষ্টি দিয়েই শেখ হাসিনার সরকার ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেছে। ২০১২ সালে পর্নোগ্রাফি (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করেছে। এই আইনগুলো সহিংসতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুরা মানব পাচারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এই ঘৃণ্য অপরাধ দমনে কৌশলগতভাবে সাতটি বিভাগীয় সদরে সাতটি মানবপাচার বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী ১০১টি বিশেষায়িত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দূরদর্শী পদক্ষেপগুলো নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, ইউএসএআইডি’র ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর সোনজাই রেনোল্ডস-কুপার, প্রোমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যাকটিভিট‘র চিফ অব পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।