চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের মো. মামুন মিয়া কুরবানীর জন্য তার খামারে ব্রাহামা ও শাহিওয়াল জাতের বিশাল দুটি ষাঁড় প্রস্তত করেছেন। এখন গরু দুটি ওজন হয়েছে প্রায় ৩৯ মন। ষাঁড় দুটি উচ্চতায় ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘে ৮ ফুট ৭ ইঞ্চি। ভুষি, খৈল, চিটাগুড়, ঘাস, লতাপাতাসহ দেশীয় নানাজাতের খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হয়েছে তাদেরকে। গায়ের রং অনুযায়ী তাদের নামকরণ করা হয়। আকারে বিশাল বড় এবং গায়ের রং লাল এবং কাল হওয়ার কারণে এদের নাম রাখা হয় লাল বাহাদুর ও কালা বাহাদুর।
খামারি বলেন- লাল বাহাদুরের ওজন প্রায় ১ হাজার কেজি এবং কালা বাহাদুরের ওজন প্রায় ৯শত কেজি এ দুই বাহাদুর কে দেখার জন্য প্রতি দিনই খামারে ক্রেতাসহ লোকজন আসছেন। ন্যায্য মূল্য পেলে গরু দুটি বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দিব।
মামুন মিয়ার সাথে কথা বললে জানা যায়- এক বছর আগে বাইশমৌজা গরুর হাট থেকে ব্রাহামা ও শাহিওয়াল জাতের দুটি বাছুর কিনেন তিনি। সে সময় তিনি একটি গরু দুই লাখ দশ হাজার অন্যটি এক লাখ নব্বই হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। এরপর থেকে মামুন মিয়া এবং তার স্ত্রী সারাক্ষণ গরু দুটি পালনে ব্যস্ত থাকেন।
তিনি আরো বলেন- বাড়িতে যত ক্রেতা আসছে তাতে মনে হয় ন্যায্য মূল্য পাওয়া সম্ভব নয়। দুটি গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লালটি ১৮ লক্ষ ও কালটি ২০ লক্ষ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে কিছু কম মূল্য হলেও বিক্রি করবেন তিনি।
খামারীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন – “আমি এবং আমার স্বামী দুইজন মিল্লা গরু ডি পালি সংসারের কিছু আয় বাড়ানোর জন্য”। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন- “এ সব জাতের এক একটি গরু দুই বছরের মধ্যে প্রায় হাজার কেজি হয়ে যায়- তবে তা নির্ভর করে খামারির লালন- পালনের নিয়মের উপর। মামুন মিয়া ও তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার খুব যত্ন সহকারে গরু দুটি লালন পালন করেছেন”।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জাল টাকা ছড়ানোর অভিযোগে জুরু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার বিকেলে উপজেলা সদরের চালের আড়ত থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে এ সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জুরু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের বেল্লা গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জুরু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি জাল নোট বহন ও বিনিময়ে করে প্রতারণা করে আসছেন। বিকেলে চারটি এক হাজার টাকার জাল নোট নিয়ে তিনি আড়তে চাল কিনতে যান। এসময় দোকানদাররা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাকে আটকের পর আমি ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের দেখে মুখে ঢুকিয়ে তিনি জাল টাকা খেয়ে ফেলার চেষ্টা করেন কিন্তু পারেননি। এ ঘটনায় জুরু মিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাগরিক সংগঠন নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকা’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে৷
রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র অডিটোরিয়ামে নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতি, ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় নবীনগর উপজেলা কল্যাণ সমিতির ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন শেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হোন আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. কবির আহমেদ ভূঞা, সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাকারিয়া সরকার তসলিম, কোষাধ্যক্ষ সামসুদ্দোহা (সারোয়ার), সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ইমাউল হক সরকার টিটু, সদস্য এডভোকেট মোর্শেদ হোসেন কামাল, মেজর জেনারেল (অবঃ) কামরুজ্জামান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনার তীরবর্তী গ্রাম চরলাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা পুলিশ নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যৌথ আয়োজনে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলোতে অপরাধ দমনে এক মতবিনিময় সভা গত ১ মে বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ, নবীনগর (প.) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলি আজ্জম নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার। আরো উপস্থিত ছিলেন মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওসার, বিট অফিসার এস আই মো. মহিউদ্দিন, ওয়ার্ড মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত মতবিনিময় সভায় অপরাধীকে সীমান্তবর্তী এলাকার আত্মীয়-স্বজন হলেও আশ্রয় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় এবং অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর নিকট অনুরোধ করা হয়। যদি পুলিশ ও জনগণ সম্মিলিত ভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করে তাহলে অবশ্যই অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে বলে মতবিনিময় সবাই মত প্রকাশ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাড়িতে মায়ের লাশ রেখে নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিল সাদিয়া আক্তার। চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ওই শিক্ষার্থী।
আজ ৩ মে বুধবার ভোররাতে তার মা জলি আক্তার (৩৭) ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাদিয়া আক্তার পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আকানগর গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। সে মধ্যনগর নানার বাড়িতে থেকে সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।
জানা যায়, জলি বেগম বুধবার ভোররাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার লাশ বাড়িতে আসার পর বাড়িজুড়ে শোকের আবহ তৈরি হয়, স্বজনরা যখন মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, মায়ের মৃত্যুর পর সাদিয়া ভেঙে পড়লেও স্বজনদের কথায় মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখেই এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসে। পরীক্ষা শেষে সাদিয়া বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর আসর নামাজের পর মধ্যনগর গ্রামে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে সাদিয়া আক্তার পরীক্ষার কেন্দ্রে আসে। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় তৃতীয় দিনের ইংরেজি প্রথমপত্র বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।
সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ আলী বলেন, মা হারানো শিক্ষার্থী সাদিয়া খুবই মেধাবী। পরীক্ষার কক্ষে মাঝে মধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা তাকে উৎসাহিত করেছে। তবে মাঝে মধ্যেই তাকে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষার খাতায় লিখতে দেখা গেছে। সাদিয়ার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা সবাই জানতে পেরেছিলাম। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিয়েছি।
সাদিয়া আক্তার জানায়- মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। মায়ের আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক বলেন, পরীক্ষার্থীর মায়ের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। তাকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য কেন্দ্র সচিবকে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উদ্যোগে ‘দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনটি পর্বে বিতর্কের প্রথম রাউন্ডের বিষয় ছিল ‘অভাব নয় সীমাহীন লোভই দুর্নীতির প্রধান কারণ’ এ পর্বে নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে সলিমগঞ্জ আব্দুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় বিজয় অর্জন করে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে বিষয়বস্তু ছিল ‘দুর্নীতিই জাতীয় উন্নয়নের প্রধান কারণ’ এ পর্বে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় বিজয় অর্জন করে।
ফাইনাল রাউন্ডের বিষয়বস্তু ছিল ‘দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব সৃষ্টিতে পরিবারের ভূমিকায়ই মূর্খ্য’ এ বিতর্কে সলিমগঞ্জ আব্দুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় চ্যাম্পিয়ন দলের দলনেতা জারিন তাসমিন।
দুর্নীতি দমনের ছাত্রসমাজের ভূমিকা ‘বিষয়ের উপরে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মাছুমা খন্দকার।
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার সারা।
তৃতীয় স্থান অর্জন করে নবীনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র নওফেল আহাদ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন একাডেমিক সুপার ভাইজার হাসনাত জাহান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ চক্রবর্তী শামল, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি আমেনা বেগম।
সভাপতিত্ব করেন নবীনগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার। বক্তব্য রাখেন, কমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুল মতিন, কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান কল্লোল, শিক্ষক মাদক চক্রবর্তী, শিক্ষক আবু হানিফ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: হোসেন শান্তি।
বিচারক প্যানেলে ছিলেন, প্রভাষক শিউলি পারভীন, আশীষ কুমার গুহ, সাম সাম উদ্দিন।
সঞ্চালনায় ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য আব্বাস উদ্দিন হেলাল।