চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় পুকুর থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে এই বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুইয়াপানিয়া গ্রামের খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালিয়ে ৭টি বস্তায় ভরে পানিতে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যান্ডের ১২০ বোতল বিদেশী বিয়ার উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে ৬জন আসামি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মোঃ সবুজ মিয়া (২৬), মোঃ রাকিব (২৬), কামাল মিয়া (৪০), রিপন (২৬). বাহারম (২৭) ও ফারুক (৩২) নামে ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি কুইয়াপানিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোকন মিয়ার বাড়ির পিছনের পুকুরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পানির নিচে থাকা সাতটি বস্তায় ভর্তি ১২০ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসায়িরা কৌশলগত কারণে এসব মদ পানির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা রেলওয়ে স্টেশনে সিগন্যাল যন্ত্রে শর্ট সার্কিট হওয়ায় পাঁচদিন ধরে অচল হয়ে আছে সিগন্যাল ব্যবস্থা। গত ২০ ডিসেম্বর রাত থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন ঢুকতে না পারায় যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রী সাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আগামী দু’দিনের মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সিগন্যাল যন্ত্রের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনের দু’পাশে থাকা সকল সিগন্যাল বাতি। সিগন্যাল কাজ না করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় সরাসরি লাইনে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করে ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখা হয়। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন আসতে না পারায় যাত্রীদের ওঠানামায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুর রহমান জানান, সিগন্যাল লাইন হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। ঘটনার পরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে টেকনিশিয়ান টিম এসে ত্রুটি খুঁজে বের করে। বর্তমানে মেরামত কাজ চলছে। আগামী দু’দিনের মধ্যেই সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ৭ আগস্ট সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন ও নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অটোরিক্সাসহ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও ১ ভড়ি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে ডিভোর্স দেয় সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়িতে থাকার সময় রাসেল সুমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদি হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন দুই মাসের মধ্যে একই বছর ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে, সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার রাসেলকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। তবে হত্যাকান্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী ছিল না।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় বেগম খালেদা জিয়া দন্ডিত হওয়ার পরে তার দন্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে দুইটা শর্তে মুক্ত করা হয়েছে। তিনি সেই দুই শর্ত মেনে নিয়ে মুক্তি পেয়েছেন এবং আজকেও তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন।
তিনি আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে কসবা উপজেলা সদরে হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাই স্কুলের চারতলা বিশিষ্ট ভবনের প্রথমতলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বেগম জিয়া এখন বিদেশে গেলেই তার অবস্থা ভালো হবে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু আমি এইটুকু বলতে পারি আইন যা বলে তাতে তার যে দরখাস্ত সেটি আগেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন নতুন করে আর কিছু করার নেই। সে জন্যই তিনি এখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সেই চিকিৎসাই তাকে গ্রহণ করতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে জিএম কাদেরের মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জিএম কাদের সাহেব হঠাৎ বলে বসলেন, সাইবার সিকিউরিটির নাকি জনগণের কন্ঠরোধ করা হয়েছে।
জিএম কাদেরকে সাইবার সিকিউরিটি আইনটি পড়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তিনি দুটি জিনিস দেখতে পারবেন, একটি হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে বাংলাদেশ পেনাল কোর্ট সেই অপরাধ গুলো আছে। আর টেকনিক্যাল অপরাধগুলো যোগ করা হয়েছে। আর সবগুলো পেনাল কোডের অপরাধ গুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে।
এখানে এমন কোন কথা নাই যেখানে গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে। এই আইন শুধু করা হয়েছে যারা শুধু সাইবার ক্রাইম করে, যারা কম্পিউটারকে মানুওষর মান-ইজ্জত হরণ করার জন্য ব্যবহার করে। এই সব অপরাধকে বন্ধ করার জন্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভ‚ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. আমিমুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, জেলা পরিষদ সদস্য এম.এ. আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের। এমরান উদ্দিন জুয়েল পৌরসভার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। পট পরিবর্তনের পর জেলায় ও কসবা থানায় রুজুকৃত দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে তাকে।
জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর গ্রেফতার হয় অনেক মন্ত্রী, এমপি। গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপনে চলে যায় সারা দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীরা। গ্রেফতার হন কসবা-আখাউড়ার সাবেক সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সারাদেশের ন্যায় কসবা উপজেলার নেতা-কর্মীরাও আত্মগোপনে চলে। এদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী পাড়ি দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশে। কেউ কেউ আবার আত্মগোপনে ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আত্মগোপনে থাকা তাদেরই একজন সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। ডেভিল হান্টে কসবায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সহ ১০ জন। এছাড়াও কসবা থানায় রুজুকৃত মামলায় দেশের অন্যন্য থানায় গ্রেফতার হয়েছে আরো ৬ জন। গত ৪ আগষ্ট কসবায় ছাত্র-জনতার সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হামলার অভিযোগে ১৭ নভেম্বর কুটি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ইমু বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ২৩ নং আসামী। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হওয়া একটি মামলার আসামীও তিনি।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, বুধবার রাতে তাকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তার তথ্য হাতে এসে পৌঁছেনি।