চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় তছনছ করেছে চোরেরা। গত শনিবার বিকেলে শহরের হালদারপাড়ায় অবস্থিত জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অফিসের কেয়ারটেকার দীপ্ত চক্রবর্তী ওরফে জনি বাদি হয়ে শনিবার রাতে সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিস ত্যাগ করার পর বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা চোরেরা অফিস কক্ষের পেছনের বারান্দার গ্রীলে থাকা এসএস পাইক ফাঁক করে অফিসে প্রবেশ করে। পরে চোরেরা পিছনের দরজার ছিটকারি ভেঙ্গে বিভিন্ন রুমে প্রবেশ করে ও কার্যালয়ে থাকা সভাপতির কক্ষ ( সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী) কক্ষ তাঁর ব্যক্তিগত ড্রয়ার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ করে।
এ সময় কার্যালয়ের ৪ নম্বর কক্ষে থাকা অফিসের কেয়ারটেকার ভেতরে থাকা দীপ্ত চক্রবর্তী ওরফে জনি ও অফিসের পিয়ন মোঃ ছাদেকুল ইসলাম শব্দ পেয়ে সভাপতির কক্ষের দিকে গিয়ে দেখেন কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ। তখন অফিসের পিয়ন পেছনের বারান্দায় গিয়ে দেখতে পান গ্রীলের এসএস পাইপ ফাঁক। পরে তারা অফিসের বিভিন্ন রুম ঘুরে জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান।
পরে তারা বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে জানালে সভা শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে অফিসে এসে অফিসে জিনিসপত্র তছনছ অবস্থায় দেখতে পান ও সদর থানার পুলিশকে বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে জিজিতে থাকা স্বাক্ষী ও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্ত বলেন, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ও সভাপতির কক্ষের জিনিসপত্র ও মালামাল তছনছ করা হয়েছে তবে কোন কিছু চুরি হয়নি। কারা এমন কাজ করেছে সেখানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, অভিযোগটি কিছু সংশোধন করে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হারানো ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তার শিশু সন্তানকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের আল খলিল হাসপাতাল থেকে সাউদা হোসেন সারা নামে চার বছরের ওই শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক নারী। নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বাড়ঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে আল খলিল হাসপাতালে যান শিশুটির মা স্মৃতি চৌধুরী ও নানী সাহানা আক্তার। তাদের সাথে স্মৃতি চৌধুরীর মেয়ে সাউদা জাহান সারাও ছিলেন। সেখানে স্মৃতি চৌধুরীর একটি ব্যাগ হারিয়ে গেলে তা খুঁজে দেয় অজ্ঞাত এক নারী। এরপর তাদের সাথে ওই নারী সখ্যতা গড়ে তোলেন। কথা বলার একপর্যায়ে শিশু সাউদাকে দেখে রাখার কথা বলে তার মা ও নানীকে ডাক্তারের কক্ষে যেতে বলেন। ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে বেরোনোর পর তারা সাউদার খোঁজ পাচ্ছিল না।
পরে সিসিটিভি ফুটেজে অজ্ঞাত ওই নারীকে শিশুটিকে তার সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে রাত পৌনে আটটার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে আনিস মিয়া নামে এক অটোরিক্সা চালক।
অটোরিক্সা চালক আনিস বলেন, ‘ওই নারী আশুগঞ্জ থেকে আমার অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে নিয়ে আসে। সেখানে তিনি নেমে যান এবং বাচ্চাটিকে আল খলিল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে আমি শিশুটির সঙ্গে কথা বলি সে ওই নারীকে চেনে কি না। কিন্তু বাচ্চাটি ওই নারীকে চেনে না বলে জানায়। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসে তার পরিবারের লোকজনদের কাছে বুঝিয়ে দেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই মাঝে একজন অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার এবং ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাওঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুবের পরিচালনায় মজলিশপুর ইউনিয়নের উলামা মাশায়েখদের এক আলোচনা সভা ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখের মাওঃ হারুন আল হাবীব, মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ আল আমিন মামুন, মাওঃ মুশাহিদুল ইসলাম, মাওঃ উসমান গণি, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওঃ ইসহাক, মাওঃ জাকির হোসাইন, মাওঃ দেলুয়ার, মাওঃ মুফতী বিল্লাল, মাওঃ সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, মাওঃ এমদাদ, হাফেজ শফিক, হাফেজ আনোয়ার, মাওঃ নাসির, মাওঃ মুক্তার, মাওঃ ফয়সাল আহমেদ সুলতান, মাওঃ ইলিয়াস, মাওঃ শামিম, মাওঃ হাফিজ, মাওঃ মাহমুদ, প্রমুুখ।
আলোচনা সভায় সকলের পরামর্শ ক্রমে মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী কে সভাপতি মাওঃ আল আমিন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুব কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য ইত্তেহাদুল উলামা ত্বলাবা ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “সর্বজনীন পেনশন স্কীম” সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখেন কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সভায় বলা হয়, ২০১৫ সালে প্রনীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা হয় এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ৪ নং আইন) প্রনয়ন করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে রয়েছে “প্রবাস” “প্রগতি” “সরক্ষা” ও “সমতা” নামের ৪টি ব্যবস্থা।
“প্রবাস” স্কীমে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে ফিরে আসার পর সম পরিমান টাকা দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা সহ প্রয়োজনে স্কীম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কীমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় টাকায় পেনশন পাবেন।
এই আইনের অধীনে চাঁদাদাতাগন অনলাইন প্লাটফরমে রেজিষ্ট্রেশন করে যে কোন একটি পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পারবেন।
“প্রগতি” স্কীমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্নিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার কর্মচারীগনের জন্য এই স্কীমে অংশ গ্রহনের ক্ষেত্রে স্কীমের চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকী ৫০% প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ গ্রহণ না করলেও উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সুরক্ষা” স্কীমে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমনঃ- কৃষক, শ্রমিক, রিকসা চালক, কামার, কুমার, জেলে তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগন নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সমতা” স্কীমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রকাশিত আয় সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র সীমার নি¤েœ বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগন তফসিলে হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং সমতা স্কীমে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে সমপরিমান অর্থ জমা দিবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম। এটি সরকারের সর্বোত্তম কাজ। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী। যারা সরকারি চাকুরী করেন বা অন্য কোন ভাবে সরকারি ভাতা ভোগ করেন তারা এই সর্বজনীন পেনশন স্কীম করতে পারবেন না। তবে যারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ভাতাভোগী তারা যদি নিজেদের ভাতা সরকারের কাছে সারেন্ডার করলে তাহলে ওইসব ব্যক্তি পেনশন স্কীমের অর্ন্তভুক্ত হতে পারবেন।
তিনি বলেন ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনা সম্ভব হলে তারা একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবেন। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ধীরে ধীরে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানে শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদাদাতা স্কীমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতে প্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে। প্রবাসী স্কীমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
অবহিতকরণ সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, রাজনীতিবিদ, জেলার ৯টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগণ, ৯টি উপজেলার ইউএনওগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ সেশনের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাব্বি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাব্বির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার উলচাপাড়া গ্রামে।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের বরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল রোববার রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান রাব্বি। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্তও রাব্বি ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে পরিবারের লোকজনের মনে। সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ায় খুব কাছ থেকে চিনতাম। সে খুব অমায়িক ছিল। আমি যতটুকু জানি তার প্রেমঘটিত বা অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিল না। একবছর আগে তার বাবা মারা যান। এজন্য তার মন খারাপ ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি রাব্বির খোঁজ রাখতে। কিন্তু মাঝে সে আর যোগাযোগ করেনি। তার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
এদিকে রাব্বির এমন মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিজ বিভাগ ও জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে। সদর উপজেলার উলচাপাড়া মসজিদে রাব্বির জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা আজ ৩১ মে বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন, আলামিনুল হক পাবেল, সদর উপজেলা ইউসিসি লিমিটেডের (বিআরডিবি) সভাপতি মোঃ আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাতি কাজী জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, আবদুর রশীদ ভূঁইয়া, ওমর ফারুক, মোঃ শাহআলম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট গুলোতে কেউ যেন জাল টাকা ছড়াতে না পারে, পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হন এবং কেউ যাতে অসুস্থ ও রোগা পশু বিক্রি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়।
সভায় সম্প্রতি সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় অবৈধভাবে রেলওয়ের জলাশয় ভরাটের পর অবৈধ দখলদারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও অবৈধ বালু জলাশয় থেকে অপসারণ করার জন্য সদর উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় শহরের যানজট নিরসনে শহরের মসজিদ রোড ও কোর্টরোডকে স্থায়ীভাবে ওয়ানওয়ে করার জন্য দাবি করা হয়। সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের মতো আসন্ন ঈদ-উল আজহাতে যেন মহাসড়কে কোন ধরনের যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভায় রিক্সা চালকদের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পৌরসভার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে রিক্সা চালকরা যাতে বেশী ভাড়া না নিতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়।