অনলাইন ডেস্ক :
এ এক অভূতপূর্ব দৃশ। নিজের পাপের বোঝার কথা স্মরণ করে লাখ লাখ মুসল্লির অবিরল অশ্রুধারায় ভিজেছে ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দান। তাঁদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আরাফাত ময়দান প্রকম্পিত হয়েছে।
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার এ ময়দানে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজ পালন করেছেন হজযাত্রীরা। এসময় হাজিদের কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্তির আকুল বাসনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর কাছে অঝোরে কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন। নামাজ আদায় করার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থেকেছেন।
মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় সার্বক্ষণিক জিকির করেছেন। প্রায় সারাক্ষণ তালবিয়া পড়েছেন। আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য প্রকাশ করছেন।
এর আগে, পবিত্র হজ পালনের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে সৌদি আরবে আসা বিশ্বের ২৫ লাখ মুসল্লি হজের দ্বিতীয় রুকন আদায়ের জন্য সোমবার সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই ময়দানেই অবস্থান করেন তাঁরা। আরাফাতের দিনকে মনে করা হয় বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। এদিন মহান আল্লাহ বান্দাদের পাপ মাফ করে দেন।
করোনা মহামারি পেছনে ফেলে এবার হজ আবার আগের রূপে ফিরে এসেছে। বলা হচ্ছে, এবারের হজে সবচেয়ে বেশি মুসল্লি এসেছেন। এই সংখ্যা ২৬ লাখেরও বেশি।
ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানের তিন দিকে জাবাল বা পাহাড়। এই পাহাড়ের নাম রহমতের পাহাড় (জাবালে রহমত)। দোয়া কবুলের স্থান হওয়ায় কোনো কোনো হজযাত্রী জাবালে রহমত পাহাড়ে উঠেও ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। কোনো কোনো হজযাত্রী আরাফাত ময়দানে যাঁর যাঁর মতো সুবিধাজনক জায়গা বেছে ইবাদত বন্দেগী করেছেন। আরাফাত ময়দানে একটি উঁচু পিলার রয়েছে। এই পিলারটিও দোয়া কবুলের স্থান। আদি পিতা হজরত আদম (আ.) এবং আদি মা হাওয়া (আ.) আরাফাতের ময়দানে এসে পুনর্মিলনের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ জন্য তাঁরা এই ময়দানেই মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছিলেন।
পাকিস্তানের ২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী উসমান আরশাদ ৬ মাস হেঁটে এবার পবিত্র হজে এসেছেন। আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে পেরে বাকরুদ্ধ তিনি। আর মিশরীয় ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া আল ঘানামের আবেগ যেন হৃদয় ছোঁয়া। তিনি চোখের পানি সংবরণ করতে পারছেন না কিছুতেই। বললেন, পবিত্র হজে এসে গত ১৫ দিনে আমি দৈনিক এক ঘণ্টার বেশি ঘুমাইনি।
আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরা থেকে জোহরের নামাজের আগে মিম্বরে দাঁড়িয়ে আরবি ভাষায় হজের খুতবা পাঠ করা হয়। এবার খুতবা দিয়েছেন শায়খ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ। তিনি নামাজেও ইমামতি করেছেন। হজের খুতবা বাংলাসহ প্রায় ১৪টি ভাষায় অনুবাদ করে শুনানো হয়েছে।
খুতবার পর মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসলমানরা এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আছরের নামাজ এক সঙ্গে জামাতে আদায় করেন। মসজিদে নামিরা থেকে দূরে অবস্থান করা হজযাত্রীরা জোহর এবং আছরের নামাজ আলাদাভাবে আদায় করেন নিজেদের তাঁবুতে।
তাঁরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের পর কিছু সময় পর্যন্ত অবস্থান করেন আরাফাতের ময়দানে। সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু সময় পরে মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাত ময়দান থেকে হজযাত্রীরা প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। মুজদালিফায় গিয়ে এশার নামাজের সময় এক সঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন। পরে সেখানেই খোলা আকাশের নীচে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে রাত যাপন করেন তাঁরা। রাতে প্রতীকী শয়তানের উদ্দেশে নিক্ষেপের জন্য সংগ্রহ করেন ৭০টি পাথর।
আরাফাত ময়দানে আসার আগে হজযাত্রীরা গত ৮ জিলহজ পবিত্র হজ পালনের প্রথম আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে দু’দিকে পাহাড় পরিবেষ্টিত এলাকা মিনায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে অবস্থান করেন। হজযাত্রীদের মধ্যে পুরুষরা হজের প্রথম রুকন ইহরাম (শরীরের নিচের অংশে আড়াই হাত বহরের আড়াই গজের এক টুকরা কাপড় আর গায়ে জড়িয়ে নেওয়ার জন্য একই বহরের তিন গজের এক টুকরা সাদা রংয়ের সেলাইবিহীন কাপড়) পরিধান অবস্থায় রয়েছেন। নারীরা আছেন পর্দায় আচ্ছাদিত। তাঁরা আগামী ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনা ও মক্কায় অবস্থান করবেন।
বুধবার ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্যোদয়ের আগে কিছু সময় অবশ্যই মুজদালিফায় অবস্থান করবেন হাজিরা। এরপর তাঁরা যাবেন মিনায়। সেখানে মিনার জামারায় (শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছোঁড়ার স্থান) বড় শয়তানের উদ্দেশে প্রতীকী সাতটি পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি এবং রাসুলুল্লাহর (সা.) আদর্শ অনুসরণে পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে গোসল করবেন। নারীরা চুলের অগ্রভাগ থেকে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটবেন। এরপর হাজীরা সেলাইবিহীন ইহরাম খুলে ফেলবেন এবং পশু কোরবানি দেবেন। পরে তাঁরা হজের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ রুকন আদায়ের জন্য মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবহে সাদিকের পর থেকে কাবা শরীফ তাওয়াফ করবেন।
কাবা শরীফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার ‘সাঈ’ (দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার ফিরে যাবেন মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে। হজযাত্রীরা ১১ জিলহজ আবার মিনার জামারায় গিয়ে জোহরের নামাজের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। একইভাবে ১২ জিলহজ আবারও ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে তাঁরা মিনা ত্যাগ করবেন। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে সৌদি আরবের হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে কাবা শরীফকে ফরজ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে।
অনলাইন ডেস্ক :
সম্প্রতি বাংলাদেশের বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ কয়েদি পালিয়ে যায়। তারা চারজন ছিলেন ফাঁসির আসামি। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য তাদের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালানোর কয়েক ঘণ্টা মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এবার পাকিস্তানের একটি কারাগারের টয়লেট ভেঙে বিচারাধীন তিনজন কয়েদি পালিয়ে গেছেন। ২ জুলাই মঙ্গলবার কোয়েটা থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের বেলুচিস্তানের কেন্দ্রীয় শহর দুকির একটি সাবজেল থেকে এই তিনজন আসামি পালিয়ে যান। এ নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো জেল পালানোর ঘটনা ঘটলো। খবর দ্য ডনের।
দুকি থানার এসএইচও জলিল আহমেদ মারি জানান, ডাকাতি ও খুনসহ গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত তিনজন কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুকি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। এই কারাগারে রাখা ১৩ জন বিচারাধীন কয়েদিকে সকালে টয়লেট ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়। তখন ওই তিনজন পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, জেল পালানো কয়েদিরা হলেন, আসমাতুল্লাহ, আবদুল কবির ও মুহাম্মদ সাদিক। তাদের ধরতে ইতোমধ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় কয়েদিদের নজরদারির কাজে নিয়োজিত কারা ওয়ার্ডেন ও দুই পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনজন পুলিশ সদস্য হলেন- ওয়ার্ডেন গুল খান, হেড কনস্টেবল আব্দুল গনি ও কনস্টেবল ইসমাইল মারি। তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বেলুচিস্তানের কারা মহাপরিদর্শক এ ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ জুন রবিবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনসহ ১৯ কয়েদি আজাদ কাশ্মিরের রাওয়ালাকোটের একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মধ্যে একজন কয়েদি আহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ ২১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় দুই জন নারীসহ ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা মারা গেছে। তবে বিমান থেকে পাইলট বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
আজ ৮ মে সোমবার ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের হনুমানগড় জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট একটি প্যারাসুট ব্যবহার করে সময়মতো বিমান থেকে লাফ দিয়েছিলেন। আর এ কারণে তিনি নিরাপদ আছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী বলেছে, দুর্ঘটনায় পাইলট সামান্য আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির বিমান বাহিনী বলেছে, আইএএফের একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান আজ সকালে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় সুরতগড়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। পাইলট নিরাপদে বের হয়ে যেতে পেরেছেন, তবে সামান্য আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পাইলট নিরাপদে আছেন এবং উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সুরতগড় থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। একপর্যায়ে হনুমানগড়ের ডাবলি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসারাম বোস বলেছেন, অন্তত দুইজন বেসামরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছিল। তাতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিধ্বস্ত হলো বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান।
এর আগে গতবছর জুলাই মাসে রাজস্থানের বারমেড়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আরেকটি মিগ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় দুই পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুনের গুজবে প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়া যাত্রীদের পিষে গেছে অন্য একটি ট্রেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রায় ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের পাচোরো এলাকায় মর্মান্তিক এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, জলগাঁও অতিক্রমকারী একটি ট্রেনের কামরায় আগুনের গুজবে অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনের নিচে পড়ে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
দেশটির লখনউ থেকে মুম্বাই চলাচলকারী সুপারফাস্ট এক্সেপ্রেস ট্রেন পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন ধরেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের যাত্রীরা রেললাইনে লাফিয়ে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ১২ জন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। মুম্বাই থেকে ৪০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে পাচোরোর পারধাদে রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, জলগাঁওয়ের পাচোরার পারধাদে স্টেশনের কাছে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ট্রেনে আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কোনও যাত্রী ট্রেনের চেইন টানলে সেটি থেমে যায়। পরে ট্রেনের আতঙ্কিত যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন।
রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পুষ্পক এক্সপ্রেস লখনউ থেকে মুম্বাই যাচ্ছিল। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরা চেইন টেনে ট্রেনটি থামায়। লোকজন ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তখন কর্ণাটক এক্সপ্রেস তাদের পিষে যায়। আগুন নাকি অন্য কোনও গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। তবে, প্রাথমিকভাবে ট্রেনে আগুন লাগার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গুলাবরাও পাতিল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বলে রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সূত্র: পিটিআই, এনডিটিভি
অনলাইন ডেস্ক :
থাইল্যান্ডে প্যারাসুট প্রশিক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের সময় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ছয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। নিহত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন- তিনজন পাইলট, একজন প্রকৌশলী এবং দুজন মেকানিক। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, ব্যাংকক থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি উপকূলীয় রিসোর্ট এলাকা চা-আম জেলায় শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ছোট বিমানটিকে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হতে দেখা গেছে।
রয়্যাল থাই পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, পাঁচজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই মারা যান, ষষ্ঠজন পরে হাসপাতালে মারা যান। দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ে বিমানের ব্ল্যাক বক্স ডেটা রেকর্ডার পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ। প্রাণ হারানো সাহসী অফিসারদের প্রতি গভীর সমবেদনাও প্রকাশ করেছে থাই পুলিশ।
অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ প্রধান কিট্রাট ফানফেট বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে বিমানটি বাড়ির দিকে যাচ্ছিল কিন্তু এর পাইলটরা প্রাণহানি এড়াতে কৌশলে এটিকে সমুদ্রের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, বিমানটি উপকূল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে পানির মধ্যে আছড়ে পড়েছিল। যখন অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য সমুদ্রের মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে মানুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহ ভূমিধস দেখা দিয়েছে ব্রাজিলে। এতে দুই শতাধিক মানুষ আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাজোনাস রাজ্যের মানাকাপুরুর একটি বন্দর এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার এ ঘটনা ঘটে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রিও ডি জেনেরিওর ফায়ার সার্ভিস জানায়, আমাজনের পাড়ে টেরা প্রেটা বন্দর এরালায় আকস্মিক ভূমিধস দেখা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে এর কোনো কারণ জানা যায়নি।
জানা গেছে, ব্রাজিলের এ বন্দরটি নির্মাণাধীন ছিল। এ ছাড়া এটিকে পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো। দুর্ঘটনার সময় বন্দরে ২০০ জনের বেশি মানুষ পণ্য ওঠানামার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভূমিধসের ফলে নদীতে নৌকা, পাইপ, বাড়ি এবং যানবাহনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। নদীর তীরের ক্ষয়ের কারণে এ ভূমিধস হয়ে থাকতে পারে।
এক বিবৃতিতে মানাকাপুরুর কাউন্সিল জানিয়েছে, আটকেপড়া নাগরিকদের উদ্ধারে বেসামরিক বাহিনী, সামরিক উদ্ধারকর্মীসহ অন্যরা কাজ করছেন।