অনলাইন ডেস্ক :
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। সেখানে একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই নিউইয়র্কের রাস্তায় জায়েদ খানকে দেখে তাকে ঘিরে ধরেন বেশ কয়েকজন তরুণী।
এ বিষয়ে নায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান থেকে বের হতেই অনেক মেয়ে আমাকে ঘিরে ধরে। সবাই প্রবাসী বাঙালি। আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। তারা ছবি তুলল। একজন তো ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাকে মেসেজ করেছে। সেখানে আমার সঙ্গে ছবি দিয়ে লেখা, মাই রিয়েল হিরো।’
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে কিছু গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ সম্পর্কে জায়েদ বলেন, ‘এসব একদম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করেছে কিছু উঠতি যুবক। কিন্তু সেটা যে আমাকে দেখে এমনটা নয়, তারা জেমস ভাই, এমনকি কাবিলা পলাশ মঞ্চে উঠতেও একইভাবে চিৎকার করেছে। বরং অনেকের অভিযোগ, আমরা আগে কেন মঞ্চে উঠলাম না।’
‘এখানে আসলে আমাদের পারফর্ম করার কথা ছিল না। তারপরও অনুরোধে আমি গান শুনিয়েছি। নিউইয়র্কের বাংলাদেশিদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন’, বলেন জায়েদ খান।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের ফুটবলে যাত্রা শুরুর পর থেকে নিত্যনতুন ইতিহাস গড়ে চলছে বসুন্ধরা কিংস। আজ ২৬ মে শুক্রবার কিংস অ্যারেনায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৬-৪ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো তারা।
প্রথম ক্লাব হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে (গত ৭৫ বছরে) টানা চারবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির গড়েছে কিংস।
এবার কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই। ১৭ ম্যাচে ১৫ জয়ে ৪৬ পয়েন্ট অস্কার ব্রুজন শিষ্যদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৩৪।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে কিংস। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। রবসনের পাস থেকে দলকে এগিয়ে দেন দোরিয়লতন গোমেজ। তবে ২৬ মিনিটে সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। ৩৮ মিনিটে দীপক রায়ের গোলে এগিয়ে যায় তারা। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৩) গোল করে দলকে সমতায় ফেরান কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। দুই মিনিট পরেই (৪৫+৫) মোরসালিনের গোলে স্বস্তি ফেরে কিংস শিবিরে। ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কিংস।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় কিংস। শেখ রাসেলকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা। ম্যাচের ৫০ এবং ৬৫ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দোরিয়েলতন। ৬৯ মিনিটে কেনেথ ইকেচুকুর গোল ব্যবধান কমায় রাসেল। ৭৬ মিনিটে নিজের চতুর্থ এবং দলের হয়ে ছয় নম্বর গোলটি করেন দোরিয়েলতন। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যাবধান কমান কেনেথ ইকেচুকু।
এবারের প্রিমিয়ার লিগে এটাই সর্বোচ্চ গোলের ম্যাচ। ম্যাচের শেষ দিকে জ্বলে ওঠে কিংস অ্যারেনার ফ্লাডলাইট। উৎসবের আমেজে কোনও কমতি ছিল না কিংসের। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়েন কানায় কানায় পরিপূর্ণ কিংস অ্যারেনার দর্শকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে যুব সমাজের কোন বিকল্প নেই। আমরা মনে করি যুব সমাজ হলো দেশের আইকন। ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হবে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্স ক্রিকেটার এসোসিয়েশন আয়োজিত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে অ্যাডটাচ্ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, খেলাধূলা সুস্বাস্থ্য একটি মুল উৎস। সুস্থ সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার ও সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। খেলাধূলা সমাজ ও এবং রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মোঃ জয়নাল আবেদীন।
বক্তব্য রাখেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আবু কাউছার খানের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আল মামুন, আলী মাসুম, বাবুসহ শত শত ক্রীড়ামোদি দর্শক।
উদ্বোধনী দিনের প্রথম খেলায় শেখ হাবিবুল্লাহ স্মৃতি সংসদ, কাউতলী ৬ উইকেটে ভাদুঘর এলিভেনকে পরাজিত করে। ২য় খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোটির্ং ক্লাব ৬ উইকেটে উবায়দুল মোকতাদির ক্রিকেট একাডেমীকে পরাজিত করে। খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও মোঃ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, স্কোরার মোঃ সুমন ও মেহেদী হাসান শ্রাবন। বুধবার ২টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দুই দলের শুরুটা ছিল সাবধানী। তবে সময় বাড়লে মধ্যমাঠের দখল নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় থাকে ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণে আফিদা-জয়নবরা ছিলেন সতর্ক। প্রথমার্ধ ভারতের মেয়েদের হলে দ্বিতীয়ার্ধ ছিল বাংলাদেশের।
আক্রমণে আধিপত্য দেখিয়ে গোলের আশা জাগাচ্ছিলেন বারবার।
মনে হচ্ছিল এই বুঝি গোল পেয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত গোল এলো যোগ করা সময়ে। আফিদা খন্দকারের বাড়ানো লম্বা বল ভারতের অর্ধে পেয়ে বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান সাগরিকা।
১-০ গোলে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফের ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ।
এই হারের পরও ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে ভারতের সামনে। পরের ম্যাচে হারাতে হবে নেপালকে। সুযোগ থাকছে নেপালেরও।
গতকাল ভুটানকে ১-০ গোলে হারানোয় শেষ রাউন্ডে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকছে তারাও। কমলাপুরে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশই। আফিদার দূরপাল্লার ফ্রি কিক অবশ্য চলে যায় পোস্টের খানিকটা ওপর দিয়ে। একটু পরেই বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। কিন্তু ভারতের মিডফিল্ডার পূজা বলের নাগাল পাওয়ার আগেই স্লাইডে ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক স্বপ্না রানী।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় প্রাণ ফেরায় সাইফুল বারীর শিষ্যরা। সাগরিকা-পূজা দাসরা আক্রমণে মনোযোগী হলে চাপে পড়ে যায় ভারতের মেয়েরা। পর পর তিনটি প্রচেষ্টায় গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। এরপর মুনকি আক্তারের শট এগিয়ে এসে ফেরান ভারতের গোলরক্ষক আনিকা দেবী। তাতে ম্যাচ ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচেই জোড়া গোল করা সাগরিকা এদিন শেষ মুহূর্তে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত গোল।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ সংস্কৃতিকে ভালবাসে, খেলাধূলাকে ভালবাসে তারা সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদকে পছন্দ করেন। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক বড় ঐতিহ্য রয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ১ নভেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনুর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা-অনুর্ধ্ব-১৭ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম আরো বলেন, ফুটবলের উত্তেজনা কমেনি দিন দিন আরো বাড়ছে। আজকে যারা অনুর্ধ্ব-১৭ দলে খেলছেন তাদের মধ্যে ভাল খেলোয়াড় বাছাই করে বিভাগীয় পর্যায় এবং একদিন জাতীয় পর্যায়ে খেলবে। তিনি সকলের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও টুর্ণামেন্ট পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আবুল কাসেম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ ইউসুফ কবির ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ পাল, সদস্য আবেদ, প্রবীর চৌধুরী, বুলবুল প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা বালক/বালিকা বনাম নাসিরনগর উপজেলা বালক/বালিকা। বিপুল দর্শকদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের উত্তেজনামুলক খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোল না করতে পারায় ট্রাইব্রেকারে সদর উপজেলা বালক এবং বালিকা উভয় দল নাসিরনগর বালক এবং বালিকা দলকে পরাজিত করে।
খেলার সময়ে মাঠের ৪ পাশের কানায় কানায় দর্শকে ভরপুর ছিল।
খেলায় ভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান ও মোঃ রিপন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে যে কত মানুষ আর্জেন্টিনার ভক্ত তার কেউ বলতে পারবে না। তবে ৪ বছর পর পর যখন ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয় তখন দেখা মিলে। তখন লাখ লাখ ভক্ত আর্জেন্টিনার সাফল্য কামনায় রাত জেগে খেলা দেখেন। আর সে দলের পক্ষে স্লোগান তুলেন। সেই আর্জেন্টিনা দলের মহা তারকা এলেন বাংলাদেশে। তার সঙ্গে দেখা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা আর্জেন্টিনার ভক্ত তা জানে না কেউ। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে শিরোপার অপেক্ষা দূর হয়েছিল। অপেক্ষা দূর হয়েছিল মাশরাফির।
নিজের প্রিয় দলকে বিশ্বকাপ জিততে দেখবেন এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নিজেও। সেই স্বপ্ন কাতারে পূরণ করেছেন মেসি, ডি মারিয়া, এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। মাশরাফির এবং কোটি ফুটবলপ্রেমির স্বপ্ন পূরণের অন্যতম নায়ক মার্টিনেজ এখন বাংলাদেশে।
১১ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে সোমবার ভোরেই বাংলাদেশে এসেছেন। সকালে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মাশরাফি। মেয়ে হুমায়রা ও ছেলে সাহেলকে নিয়ে মাশরাফি সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।
খুব কাছ থেকে তারা দেখেছেন মার্টিনেজকে। ছবি তুলেছেন। সাদা-নীল জার্সিতে পেয়েছেন অটোগ্রাফ। অল্প কিছুক্ষণের জন্য মার্টিনেজকে কাছে পেয়ে মুগ্ধ মাশরাফি। এত আন্তরিকতা দেখাবেন তা ভাবতেও পারেননি তিনি।
মার্টিনেজের সঙ্গে দেখা করার পর বিমুগ্ধ হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে লিখেছেন মাশরাফি, ‘এমিকে ভালো লাগার শুরু কোপা আমেরিকা থেকেই, যেখানে সে টাইব্রেকারে দুটি গোল আটকে দিয়ে দলকে জয় এনে দিল। কত বছর পর বড় কোনো শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা! লিওনেল মেসিও পেল দেশের হয়ে প্রথম বড় ট্রফির স্বাদ। স্বাভাবিকভাবেই পাখির চোখে তাকিয়ে ছিলাম বিশ্বকাপের দিকে। কিন্তু সৌদি আরবের সাথে হেরে মনে হয়েছিল, আরেকটি বিশ্বকাপও হয়তো শেষ হবে হতাশায়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো এবং পরে বিশ্বকাপ জয় দেখতে পারাটা ছিল অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের মতো।’
‘সেই জয়ের অন্যতম নায়ক এমির সঙ্গে দেখা হলো আমাদের এই ঢাকায়। খুব অল্প সময়ের জন্য দেখা, কিন্তু দারুণ এক অনুভূতি। বিশ্বকাপ জয়ী দলের গোলকিপার চোখের সামনে! সে তো জানে না, আমার এবং আমার মতো আরও কত কোটি মানুষের কত বছরের অপেক্ষা শেষ হলো, যেদিন তার ঐ হাত ধরেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করলো!’
‘আজকে সে সাক্ষাতের মাঝেই একবার ট্রাউজার উঠিয়ে দেখাল, পায়ের ঠিক সেই জায়গায় একটি ট্যাটু করিয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ বাঁশির ১৮ সেকেন্ড আগে কোলো মুয়ানির শটটি আটকিয়ে দিয়েছিল যে জায়গা দিয়ে। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হলো, আসলে বিশ্বকাপটাতো ওখানেই জিতে নিয়েছে।’
‘আজকে আসলে বেশি ভালো লাগছে আমার সন্তানদের জন্য। যখন বললাম, ‘এমি আসছে, তোমাদের কি দেখা করার ইচ্ছা আছে?’ ওরা লাফাচ্ছিল। সবশেষ দুটি দিন ওরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছিল না এমিকে দেখবে বলে। আজকে এমির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর বললাম, ‘বাচ্চারা তোমার অটোগ্রাফ নিতে চায়।’ সে এত আন্তরিকতা দেখাল, এক কথায় অসাধারণ। এমনকি সে ছবিও তুলে দিল ওদের সঙ্গে। এখন তারা মহাখুশি, আর ওদের খুশিতে আমিও এখন মহাখুশি।’
‘এমি, আপনাকে স্বাগত এই বাংলার মাটিতে। এখানে আপনাদের অগণিত ভক্ত আছে, যুগ যুগ ধরে। আশা করি, আপনারও ভালো লাগছে এই মাটিতে পা রেখে।’
‘পাশাপাশি এটাও ভাবি, সত্যি বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ ফুটবলে কোয়ালিফাই করবে আর আমরা আমাদের পতাকা নিয়ে মিছিল করব, ইনশাল্লাহ। অনেকের কাছে এখন এটা অবাস্তব মনে হতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি, কাজটা কঠিন, খুব কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। স্বপ্ন পূরণের সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি, ইনশাল্লাহ।’