চলারপথে রিপোর্ট :
পদ্মা সেতুতে এক দিনে রেকর্ড ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময় যানবাহন পারাপার হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩৭টি। সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু সাইড অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, মাওয়াপ্রান্তে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা ও জাজিরাপ্রান্তে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে।
আমিরুল ইসলাম আরো জানান, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ৮০৯ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ২৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার সেখানে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে। সার্জারির আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ভর্তি হন রাষ্ট্রপতি।
বুধবার সকালে কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরোসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপ্রধানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি তার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীসহ সবার দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, সোমবার সিঙ্গাপুরে যান রাষ্ট্রপতি।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশের সবচেয়ে বড় একক ইউনিট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য এ ইউনিটে কর্মরত। ৫০টি থানা নিয়ে ডিএমপি।
এর মধ্যে ৩৩ থানার ওসি পদে রদবদল আসছে। একযোগে রাজধানীতে এতো সংখ্যক থানায় ওসি পদে নতুন মুখ আসার ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটেনি। যাদের বদলি করা হচ্ছে, তারা সবাই ছয় মাসের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৩৩ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল আসছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএমপির ৩৩ থানার ওসি বদলি করা হবে। দু-একদিনের বদলির আদেশ হতে পারে।
বদলির ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানাম হাফিজ আক্তার।
এদিকে আজ রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে ভেবে নির্বাচন কমিশন ওসিদের রদবদলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনে করেছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছেন, তারা হয়তো কারও প্রতি প্রভাবিত হতে পারেন। এটা নির্বাচন কমিশনের বিবেচনা। আমার কিন্তু নয়, তাদের কথা। সেজন্যই তারা ওসিদের বদলির কথা বলেছেন।’
এর আগে ছয় মাসের বেশি এক থানায় দায়িত্ব পালন করা ওসিদের বদলি করতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমন নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে নৌকা ডুবে সাবিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার দুপুরে অষ্টগ্রামের ভাতশালা গ্রামের পাশে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের কাকুরিয়া গ্রাম থেকে একটি গরু নিয়ে পাঁচ নারী-পুরুষ ও দুই শিশু ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে বাজিতপুর উপজেলার হাছানপুর গ্রাম যাচ্ছিলেন। অষ্টগ্রামের কাস্তুল ইউনিয়নের ভাতশালা এলাকায় পৌঁছলে তীব্র স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়।
এ সময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কে (অলওয়েদার সড়ক) ঘুরতে আসা সাবিকুল ইসলাম তাদের উদ্ধার করতে পানিতে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি এক শিশু ও এক নারীকে পানি থেকে উদ্ধার করেন। পরে উঠতে গিয়ে নিজেই হাওরের পানিতে তলিয়ে যান সাবিকুল।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাবিকুলের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত সাবিকুুল ইসলাম অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বরাগীরকান্দি গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের অধিনায়ক সাব অফিসার কবির আহমেদ ভূইয়া জানান, দুপুর দেড়টায় নৌদুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। পরে বাজিতপুর থেকে ডুবুরিরা এলে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের ৫২তম বছরের আর এক দিন। এর পরই বাঙালি মেতে উঠবে বাঁধভাঙা উল্লাসে। কিন্তু এই উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে এক রক্তের ইতিহাস।
মৃত্যু, সম্ভ্রমহানি, নির্যাতন, কান্না, ক্ষুধা, ঘরবাড়ি হারানো, শস্যের পোড়া খেত-মুষড়ে পড়া একটা কালের স্মৃতি। ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিকালের একটি ক্ষত বুকের গহিনে আজও হানা দিয়ে যায়।
বিজয়ের ঠিক মাহেন্দ্রক্ষণের আগে জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আজ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের মানুষের বেদনাবিধুর দিন।
১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
এ মাটির প্রিয় সেসব সন্তানের লাশের গন্ধ যেন আজও বাতাসে ভাসে। সন্তানহারা মা, স্বামীহারা স্ত্রী, পিতৃহারা সন্তানের করুণ হৃদয়ের কান্না আর রক্তক্ষরণ কেনোদিনও থামার নয়।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষের ওপর পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নির্বিচারে বাঙালি হত্যা, মাইলের পর মাইল ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, ভৌত অবকাঠামো ধ্বংস করা, নারীদের সম্ভ্রমহানি-সবকিছুই করেছে তারা। কিন্তু বাঙালির রণকৌশলের কাছে তারা টিকতে পারছিল না।
তাই বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসের সদস্যরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে।
রাতের অন্ধকারে বাসা অথবা কর্মস্থল থেকে শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে তারা হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা।
দেশের নানা জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চললেও মূল হত্যাযজ্ঞ চলে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখা হয়।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরপরই বুদ্ধিজীবীদের নিকটাত্মীয়রা বধ্যভূমিতে অনেকের লাশ খুঁজে পান। তাদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা।
কারও কারও শরীরে একাধিক গুলিও ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে অনেককে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকের লাশ তাদের প্রিয়জনরা শনাক্তও করতে পারেননি।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমদ, খোন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, কবি মেহেরুন্নেসা, গিয়াস উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
চলারপথে ডেস্ক :
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানটি হবে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে।
ওই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকাল ১১টায় বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সমমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও মহামারি করোনার কারণে তিন বছর ধরে এ আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
করোনার আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে ঈদুল আজহার দিন গণভবনে সরাসরি সর্বস্তরের জনগণ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে সেই সময় থেকে সরাসরি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়নি সরকারপ্রধানের।