অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে গ্রেফতার দেশটির প্রখ্যাত নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী মতিউল্লাহ ওয়েসাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সম্প্রতি এক টুইটে অ্যামনেস্টি বলেছে, ওয়েসার আটক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ওয়েসা দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে মোবাইল স্কুল পরিচালনা করে আসছিলেন। সেই সঙ্গে মোবাইল লাইব্রেরি সেবাও দিয়েছিলেন তিনি। তাকে গত ২৭ মার্চ গ্রেফতার করা হয়।
ওয়েসার পরিবার জানিয়েছে, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা উদ্বেগজনক এবং গ্রেফতারের পর থেকে তারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।
গত মে মাসের শুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তালেবান কর্তৃপক্ষকে মতিউল্লাহ ওয়েসা ও আরও কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীকে মুক্তি দিতে বলেছিল। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছুই করা হয়নি বলে জানিয়েছে খামা প্রেস।
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টের (নোম্যান্সল্যান্ড) শূন্য রেখায় সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডারদ্বয়।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার মো. জাবেদ সশীলের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন আখাউড়া চেকপোস্ট ৬০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম। এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডাররা কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম বলেন, সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আসছে বিজিবি ও বিএসএফ। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানকে তার নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচনী বৈঠক করার অনুমতি দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব এক রায়ে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে দেশটিতে। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাবাস এবং পাঁচ বছরের নির্বাচন নিষেধাজ্ঞার দণ্ডপ্রাপ্ত ইমরান খান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না তা এখনো অনিশ্চিত। তার আইনজীবীরা অবশ্য নিম্ন আদালতের এই রায় স্থগিতের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন। তবে সেই আপিলের ওপর এখনো শুনানি শুরু হয়নি সর্বোচ্চ আদালতে। বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান।
এদিকে, সম্প্রতি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। সেই পিটিশনে তারা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দলের নীতি নির্ধারণ ও কৌশল ঠিক করতে ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তারা। শুক্রবার আইএইচসির এজলাসে শুনানির জন্য পিটিআইয়ের পিটিশনটি ওঠে। এ সময় পিটিআইয়ের আইনজীবী দল, আদিয়ালা কারাগারের সুপারিন্টেডেন্ট এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে দুই পক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা যদি মনে করেন যে, নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করার জন্য দলের শীর্ষ নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চান, তাহলে তা তারা করতে পারেন এবং সেজন্য পিটিআইয়ের প্রতিনিধি দল আদিয়ালা কারাগারেও যেতে পারেন। এক্ষেত্রে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই। তবে দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গওহর খানের নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারাই কেবল এই বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। সংবাদসূত্র : ডন
অনলাইন ডেস্ক:
বিভিন্ন অভিযোগ ও সমালোচনায় জর্জরিত টিউলিপ সিদ্দিককে এবার বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। মূলত বাংলাদেশে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তে যুক্তরাজ্যের এই মন্ত্রী ব্যাপক চাপে রয়েছেন। এমনকি দুর্নীতির দায়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়তেও ক্রমবর্ধমান চাপ রয়েছে টিউলিপের ওপর। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেছেন, “কিয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে।”তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।”ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার (সাবেক) সরকারের সাথে তার (টিউলিপের) যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ এই মন্তব্য করেন। ড. ইউনূস সম্প্রতি সানডে টাইমসকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, “টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন। যদি তিনি তা না করেন তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না।”
টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য কোনও ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেন, “আমি কোনও ভুল করিনি।” এমন অবস্থায় সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এ লক্ষ্যে টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের শর্টলিস্টও করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস দিন দুয়েক আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এমন প্রার্থীদের নাম প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের জ্যেষ্ঠ সহযোগীরা বিবেচনা করছেন। সংবাদমাধ্যমটি ওই প্রতিবেদনে আরও জানায়, যদিও প্রদানমন্ত্রী স্টারমার বলেছেন- তিনি টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন এবং ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্রও টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরির বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ অসত্য” বলে দাবি করেছেন, কিন্তু তারপরও টাইমসকে বলা হয়েছে— টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কে তার উত্তরসূরি হতে পারেন তা প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ অন্তত অনানুষ্ঠানিকভাবেই বিবেচনা করছেন। সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যাংকক সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের আন্তরিকতাপূর্ণ একান্ত বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গতকাল ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবিস্তারে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ দিন গভর্ণমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারে থাই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকদিন ধরে চলা নানান জল্পনার অবসান হলো আজ ২০ এপ্রিল বৃস্পতিবার। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। কিন্তু এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার চাঁদা দেখা যায়নি। তাই আগামীকাল ২১ এপ্রিল শুক্রবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে অন্য দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা শুরু করলেও মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ উদযাপিত হবে শনিবার। মানে সৌদি আরবে রোজা হয়েছে ২৯ টি আর মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার রোজ হলো ৩০ টি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে এ বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাল ২১ এপ্রিল শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। ২০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত চাঁদ দেখার সংবাদ জানিয়েছে। খালিজ টাইমসের খবর।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, জাপান ও ফিলিপাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ২২ এপ্রিল শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে বলে ঘোষণা দেয়। কারণ, এসব দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
ধারাবাহিকভাবে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সেই হিসেবে আগামীকাল ২২ এপ্রিল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে। তবে কাল শুক্রবার চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
উল্লেখ্য, ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী নবম মাস হলো রমজান। আর ১০তম মাস শাওয়াল, যার প্রথম দিন সারা বিশ্বেই ঈদুল ফিতর হিসেবে উদযাপিত হয়। আরবি শব্দ শাওয়ালের ভাষান্তর দাঁড়ায়, ‘রোজা ভাঙার উৎসব।’
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের আনাচে-কানাচে বসবাসরত মুসলিমরা এই দিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে উৎসবটি উদযাপন করেন।
মালয়েশিয়ায় চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ শনিবার
এতিকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে, দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী শনিবার (২২ এপ্রিল) উদযাপিত হবে। খবর মালয় মেইলের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার ‘কিপার অব দ্য রুলারস সিল’ সৈয়দ দানিয়াল সৈয়দ আহমদ বলেছেন, ইয়াং ডিপারতুয়ান আগাং (প্যারামাউন্ট রুলার প্রধান) আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ মালয়েশীয় শাসকদের সঙ্গে আলোচনার পরে ঈদের তারিখ ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছেন।
‘কিপার অব দ্য রুলারস সিল’র ভাষণটি স্থানীয় টেলিভিশনগুলোতে সম্প্রচার করা হয়।
শনিবার ঈদ হওয়ায় এ বছর একদিন বেশি ছুটি পাচ্ছেন দেশটির বাসিন্দারা। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, শনিবার ঈদ হলেও শুক্রবার থেকেই শুরু হবে সরকারি ছুটি। আর ঈদের দ্বিতীয় দিনের ছুটি রোববারে পড়ায় সেটি পাওয়া যাবে সোমবার।
এদিকে, মালয়েশিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি আরব দেশের ২৫ জন জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ যৌথভাবে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার চাঁদ না দেখতে পাওয়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আইএসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, চাঁদ দেখার বিষয়টি আমাদের সম্মানিত পণ্ডিতদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং আমাদের মুসলিম পূর্বপুরুষরা ব্যবহারিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অর্ধচন্দ্র দেখার জন্য বেশ কয়েকটি মানদণ্ড স্থাপন করেছিলেন। এই মানগুলো আজও কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় এবং সেগুলো খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নির্ধারণে নির্ভুলতার জন্য সুপরিচিত।
প্রকৃতপক্ষে, পুরোনো এবং নতুন সব মানদণ্ড বলছে, আরব বিশ্ব থেকে বৃহস্পতিবার খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। এই প্রত্যাশা কোনো ব্যক্তি বা দলের মতামত নয়, বরং এটি বিশেষজ্ঞদের ঐকমত্য।
সব বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উল্লেখ করতে চাই, বৃহস্পতিবার আরব বা ইসলামিক বিশ্বে খালি চোখে অর্ধচন্দ্র দেখা সম্ভব নয়, এমনকি টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও সম্ভব নয়।
আমিরাতভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, যেসব দেশে খালি চোখেই চাঁদ দেখা যায় বা এশিয়ার দেশগুলো, যারা টেলিস্কোপ দিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে; ধারণা করা হচ্ছে, সেসব জায়গায় রমজান মাস ৩০ দিন হবে এবং ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে শনিবার (২২ এপ্রিল)।
তবে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ বছর এই দুই দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে রোজ শুরু করে।