চলারপথে রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সাঁতার প্রতিযোগীতা।
স্থানীয় ভূইয়া মানবকল্যাণ পরিষদ এই সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় মোট ১০টি ইভেন্টে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া সাতারু মোস্তাক মিয়া বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।
ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ভূঁইয়া বলেন, সাঁতার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করি। তিনি বলেন, সরকারিভাবে সহযোগীতা পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করব। তিনি বলেন, মূলক ঈদের আনন্দ উদযাপন করতেই আমরা এই আয়োজন করি।
এ ব্যাপারে ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বছরও সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছিলাম। এ বছরও করেছি। তিনি বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা যুব সমাজকে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে সহায়ক। সেজন্যই আমরা এই আয়োজন করি।
প্রতিযোগীতা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শামীম আহমেদ সহ অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। এদিকে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সাঁতার প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পিকআপ ভ্যানের চাপায় জয়নাল মিয়া (২৬) নামে এক সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার সকালে উপজেলার শশই নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল উপজেলার আনন্দ গ্রামের মাহতাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আরো এক যাত্রী আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাসড়কের শশই নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে জয়নাল মিয়া নিহত হয় এবং আরেক জন আহত হয়।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোল্লা সালাউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক পিকআপ ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর সীমান্তে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৩৪০কেজি ইলিশ জব্দ করে মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্প। এ সময় মাছ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কামালমুড়া সীমান্ত থেকে মাছের চালানটি জব্দ হয়।
সরাইল বিজিবি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ বলেন, বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছিল। এ সময় মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের দেখে মাছ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। জব্দ করা হয় ৩৪০ কেজি ইলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ২২ কেজি গাঁজাসহ মোজাম্মেল হোসেন (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ভাটিকালিসীমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোজাম্মেল হোসেন বিজয়নগর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে চান্দুরা ইউনিয়নের ভাটিকালিসীমা গ্রামের জিলানী ব্রিক ফিল্ডের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে অটোরিকসাসহ মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে কাগজপত্রবিহীন অবৈধ গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে জেলা ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ। এ সময় মোটর সাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চালকদের রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ১৫টি মামলা ও ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৩ এপ্রিল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালকদের গতিরোধ করে তাদের কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই করেন। এসময় যাদের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া যায়নি সেই গুলোকে করে এ আর্থিক জরিমানা ও মামলা করা হয়।
উপজেলার বাহির থেকে অবৈধ মোটর সাইকেল নিয়ে অনেকেই এসে মাদক ও অপরাধের সাথে জরিত হওয়ায় এই অভিযান চালানো হয় বলে জানান বিজয়নগর থানা পুলিশের ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ আরো বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে সড়ক পথে অবৈধ গাড়ি ও মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় প্রায় ৩০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে ও আজ ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের আমিন মেম্বার ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। রোববার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গিয়াস উদ্দিন ও আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এরই জের ধরে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এক পর্যায়ে গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় ১২/১৫টি বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন, আমসু মিয়া (২৪), আকবর মিয়া (৫০), বকুল মিয়া (২৮), মোনায়েম খাঁ (৩৭), রঙ্গু মিয়া (৩৮), মনির হোসেন (৩৫), তোফাজ্জল মিয়া (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), মরম ইসলাম (৩৫), জাকির হোসেন (৩৩), লিটন মিয়া (৩৩), আতিক মিয়া (২৫), রহিছ মিয়া (৫৫), মহরম আলীর স্ত্রীর(২৮)।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মেম্বার ও শফিক রায়হন শ্রাবনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।