চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল থেকে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ছুটির সময় বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে আজ ৩ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে রপ্তানি হয়। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে যাওয়া তুরস্কের একটি উড়োজাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানী খার্তুমের কাছে ওয়াদি সেইদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার পরও সি-১৩০ মডেলের উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সেটির জ্বালানিব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে উড়োজাহাজটিতে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
উড়োজাহাজটিতে হামলার জন্য সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে এ দাবি নাকচ করে এক বিবৃতিতে আরএসএফ বলেছে, ‘মধ্যরাত থেকে আমরা যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছি, তা মেনে চলতে আমাদের বাহিনী কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ওয়াদি সেইদনার আকাশসীমায় আমরা কোনো উড়োজাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছি, এমন খবর সত্য নয়।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে আরো তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আরএসএফ। তবে এই যুদ্ধবিরতি তেমন একটা কার্যকর হয়নি। যুদ্ধবিরতির পরও গতকাল রাতভর খার্তুমে আরএসএফের নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে সুদানের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো। এর আগের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সময় সুদান থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কাজে হাত লাগিয়েছে তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতে দেশটিতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
দুই পক্ষে সশস্ত্র এই লড়াই সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে খার্তুম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। লড়াই শুরুর আগে সেখানে কোটি মানুষের বসবাস ছিল। সংঘাতের মুখে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর এখনো যাঁরা থেকে গেছেন, তাঁরা খাবার, পানি ও জ্বালানির চরম সংকটে রয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম তীরের রামাল্লার ইসরায়েলি বন্দীশালা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী হুসেইন নাসের। তার ঘটনাটা একটু ব্যতিক্রমী। আবেগের বিশাল দরিয়া উতলে ওঠার মতো।
ধরপাকড় আর কারাবরণ ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন কিছু নয় বরং এটাই স্বাভাবিক এবং নিয়তি নির্ধারিত। তারপরও কিছু ঘটনা হৃদয়কে খুব বেশি নাড়া দেয়। কিছু টোকায় ভেঙে যায় আবেগের বাঁধ। তেমন ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন নাসের।
তার দুই মেয়ের সাথে তার দেখা হয়েছে দীর্ঘ ২২ বছর পর। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা মুক্তি আন্দোলনের সময় তাকে আটক করে ইসরায়েল বাহিনী।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হুসেইন নাসের ২২ ও ২১ বছর বয়সী মেয়ে হাদেয়া এবং রাগাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই তাদের নিজস্ব শহর নাবলুসের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন।
দুই তরুণী জানান, ‘বাবাকে ছাড়া তারা যেভাবে বেঁচেছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাবাকে জীবনের প্রথম বার স্পর্শ করতে যাচ্ছি। প্রথমবার তাকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছি।’
দুই তরুণী বলেন, যখন তার মা গর্ভবতী ছিলেন তখন ইসরায়েল বাহিনী তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। একজন বাবা কেমন হয় তা হয়তো এবার আমরা বুঝতে পারব।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কারাগার নারী ও শিশুসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সামান্য অপরাধে অপরাধী ছিলেন। বাকীদের কোনো অপরাধ ছিল না। ইসরায়েল বাহিনী তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানি নারীকে বিয়ের কথা গোপন করার অভিযোগে এক জওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলো ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)। মুনির আহমেদ নামে ওই জওয়ানকে বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিয়ের কথা গোপন করার পাশাপাশি ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও স্ত্রীকে জেনেবুঝে ভারতে থাকতে সাহায্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সিআরপিএফ-এর একটি বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জওয়ানের কাজকর্ম বাহিনীতে কাজের আচরণবিধির পরিপন্থি। এছাড়া দেশের নিরাপত্তার জন্যও তা ক্ষতিকর বলে মনে করছে সিআরপিএফ। সেই কারণে অবিলম্বে তাকে আধাসেনা বাহিনী থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে ভারত। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এবং কূটনৈতিক ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর নয়। স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসা পাকিস্তানিদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাদের মেডিক্যাল ভিসা রয়েছে, তাদের জন্য আরও দু’দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরে কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ান মুনিরের বিবাহ-বিতর্ক প্রকাশ্যে আসে। স্ত্রীকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। মুনিরের স্ত্রী মিনাল খান অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানে ফেরার আগে আদালত থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মেলে। আগামী ১৪ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আদালতে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছে আদালত।
আদালতে যখন মামলার শুনানি চলছিল, ততক্ষণে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে অন্য পাকিস্তানি নাগরিকদের সাথে বাসে উঠে বসেছিলেন মিনাল। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। সীমান্তে যখন পৌঁছালেন, ঠিক তখনই তার কাছে একটা ফোন আসে। আইনজীবীর ওই ফোনেই তিনি জানতে পারেন স্থগিতাদেশের কথা।
ওই বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পরেই জওয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে আধাসেনা বাহিনী। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিআরপিএফের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে আসে, বিয়ের কথা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসায় স্ত্রীর ভারতে থাকার বিষয়টি গোপন করেছিলেন তিনি। এর পরেই ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় আধাসেনা বাহিনী।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, মুনিরের স্ত্রী মিনালের বাবার বাড়ি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সিয়ালকোট শহরে। ২০২৪ সালের মে মাস থেকে জওয়ানের সাথে অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনলাইনেই তাদের বিয়ে (নিকাহ্) হয়। ভিসার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পরে শেষে একটি স্বল্পমেয়াদি ভিসায় এ দেশে আসেন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ ওই স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যায়।
জানা যায়, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে একটি ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়েছিল। সাধারণত কোনও বিদেশির ভিসার মেয়াদ শেষের পর দেশ ছাড়ার সময় কিংবা ভিসার মেয়াদ বর্ধিত করার আবেদন বিবেচনাধীন থাকাকালীন এই ‘এগজিট পারমিট’ দেওয়া হয়। দম্পতির আইনজীবীর বক্তব্য, সেটি এখন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলায় ২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির ওরেগন অঙ্গরাজ্যের ক্লাটসকানি শহরে গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরো তিনজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীও রয়েছে।
কোলাম্বিয়া কাউন্টির শেরিফ কার্যালয় জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইলমারি রোডের একটি বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও ছিল, যে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এ ঘটনায় সবাই একে অপরকে আগের থেকেই চিনতেন। এটি কোনো আত্মহত্যার ঘটনা নয় বলেও জানানো হয়েছে। এই হামলার তদন্ত করছে কোলাম্বিয়া কাউন্টি মেজর ক্রাইমস টিম ও ওরেগন রাজ্য পুলিশ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
অনলাইন ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ ৯জুন রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় শপথগ্রহণ করেন তিনি। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এর মধ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহেরুর পর ভারতে টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী।
রাষ্ট্রপতি মোদী ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যান্য নেতাদেরকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মোদীর পরই শপথ নিয়েছেন রাজনাথ সিং। পাশাপাশি তার মন্ত্রিপরিষদের আরও কয়েকজন সদস্যও শপথ গ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। কেবল বিদেশিই নয়, ভারতের রাজনৈতিক নেতাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি অনুষ্ঠানে যাননি। ওদিকে, চলচ্চিত্র তারকারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
শপথের আগে সকাল সকাল মোদীকে গিয়েছিলেন রাজঘাটে। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধের সামনে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সৌধ ‘সদৈব অটল’-এর কাছেও গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তিনি।
মোদীর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজ সাজ রব ছিল দিল্লিতে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় রাজধানী। তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা নেয় দিল্লি পুলিশ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কারণে দিল্লির আকাশসীমাতেও রোববার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৯২টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ২৩৩টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এনডিএ সরকার গড়লেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে তারা চাপে রয়েছে।
সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপি’কে শরিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এনডিএ শরিকরা মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি শপথ নিলেন। রোববারই সরকার গড়ার কথা রয়েছে এনডিএ’র।
শপথ নেওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর মোদী বলেছিলেন, “সকালে এনডিএ জোটের সব শরিক আমাকে নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতিকে তা জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি এরপর আমাকে ডেকেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। তারপরই আমি সন্ধ্যায় শপথগ্রহণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি।”
এনডিএ-কে জয়যুক্ত করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেন, “এনডিএ-কে তৃতীয়বারের মতো দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাইৃ আমি এও বলতে চাই, গত দুই মেয়াদে দেশ যে গতিতে উন্নতি করেছে এবারও আমরা একই গতিতে একই দিশায় কাজ করে যাব।”