চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণকে সাথে নিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিহত করা হবে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে এবং স্থিতিশীল জীবন যাপন করছি। এটা বিএনপি-জামাতের সহ্য হচ্ছে না। তারা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আজ ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে ‘কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি বিএনপির দূর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ আর দেশ থাকবে না।’ এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে জনগণের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। এসময় আখাউড়া সড়ক বাজারে জনগণের চলাচলের অসুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় খড়মপুর হযরত শাহ সৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (র:) প্রকাশ্যে কেল্লা শাহ মাজারের ওরশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপরাধসহ অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মাজার একটি পবিত্র স্থান। তাই এখানে কোন প্রকার অসামাজিক কাজ করা যাবেনা। আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। মাজারের পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৪ আগষ্ট সোমবার দুপুরে মাজার সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক ওরশ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ফয়সল উদ্দিন, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম, সদস্য মো: শরিফ খাদেম, তাকদির খাদেম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ আগষ্ট আখাউড়া খড়মপুর হযরত শাহ সৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (র:) এর মাজারে সপ্তাহ ব্যাপী বার্ষিক ওরশ শুরু হবে। এই ওরশে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ ভক্ত আশেকানরা ভীড় জমান মাজার প্রাঙ্গনে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৩৪ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি অটোরিক্সা জব্দ করা হয়েছে।
আজ ১৩ মার্চ বুধবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম। এর আগে একই দিনে সকাল ৭টার দিকে পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে আখাউড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া এলাকার বাইপাস পাকা সড়কের উপর থেকে ৩৪কেজি গাঁজাসহ মাদক বহন কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়। এসময় পুলিশের সংকেত পেয়ে সিএনজি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় চালক ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, পুলিশ চেকপোষ্টে থামানোর সংকেত দিলে সিএনজি চালক সিএনজি ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সিএনজি তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ৩৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। মাদক বিরোধী এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরাত, হামদ, নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থী গজল পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় ট্যাব পুরস্কার পেয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আখাউড়া পৌর এলাকার বড়বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাই করা ৪২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত থাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কেরাত প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান রাফি প্রথম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করে। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ প্রথম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। প্রথম স্থান অধিকারীকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক ও হাফেজ এমদাদ উল্লাহ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতিবছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুব সমাজকে মাদকের ছোঁবল থেকে দূরে রাখা এবং তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনার লক্ষ্যে আখাউড়ায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ কমিউনিটি গোল্ডকাপ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট শুরু হয়েছে।
টুর্ণামেন্টের আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মোশাররফ হোসেন নির্জন।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোশাররফ হোসেন নির্জন, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূইয়া, মোঃ মনির হোসেন, ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিক আহমেদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, সাবেক ক্রিকেটার নয়ন ঘোষ প্রমুখ।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেন নির্জন বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমার বিশ্বাস এই উদ্যোগ সফল হলে আখাউড়া থেকে অনেক তরুন ক্রিকেটার জাতীয় পর্যায়ের খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। তিনি আরো বলেন, টুর্ণামেন্ট চলাকলে মাদক বিরোধী প্রচারণাও চলবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, খেলাধুলায় বাড়ে বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল। মুক্তিযুদ্ধের উজ্জল স্মৃতিময় স্থান হলো আখাউড়া। আমাদের পূর্বজনেরা যে আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তার প্রতিফলন হিসেবে আমাদের মাদক গ্রহণ করা উচিত না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের একটি আন্দোলন করে তুলতে হবে। খেলাধুলাই হবে তার একটি দৃষ্টান্ত।
আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা থেকে মোট ৮টি দল দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে। বিজয়ী দলকে গোল্ডকাপ ট্রফি এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টুর্ণামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ শরীফুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম বিতরণ করেছেন বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতিনিধিরা। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। দুইটি বিদ্যালয়ের মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এসব খাতা কলম দেওয়া হয়। বিডি অ্যানিমেল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী ইনামুল হক এ কাজে সহায়তা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। পরে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাতা-কলম দেওয়া হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর শিপন হায়দার, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, যায়যায়দিনের সাংবাদিক কাজী হান্নান খাদেম, নয়াদিগন্তের মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, আনন্দ বাজারের কাজী মফিকুল ইসলাম, খবরের কাগজের জুটন বনিক, সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন, প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু এই আয়োজনের সমন্বয় করেন।
এ সময় জানানো হয়, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগটি অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী অতিথি ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কাজের প্রশংসা করে বলেন, বন্যার সময় শিক্ষার্থীদের বই খাতা পানিতে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ক্ষতির কথা কারোর মাথায় ছিল না। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই ধরনের চিন্তাটা খুবই সৃজনশীল। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপকার হলো। আব্দুল্লাহপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শাহীন ও সুলতানা তাহমিনা এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রশংসা করেছেন রহিমপুরের প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করায় তারা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।