চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে সুনামধন্য কিছু কোম্পানির নামের মোড়ক ব্যবহার করে খাবার স্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, বিড়ি, গুলসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর বাজারে ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে এসব ভেজাল পণ্য জব্দ করা হয়। পরে স্থানীয়দের সামনে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং তার দোকানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী আলামিন শেখ বাবুকে একই অপরাধে এর আগেও একবার জরিমানা করা হয়েছিল।
অভিযানে র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদারসহ পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে বিভিন্ন নকল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির সংবাদ পেয়ে আলামিন শেখ বাবুর দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দোকান ও গোডাউন মালিক বাবু পালিয়ে যায়। পরে দোকানে থাকা দুই কর্মচারীর তথ্য অনুযায়ী গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নকল পণ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ওরস্যালাইন, শিশুদের খাবার, জুস, মশলা, চানাচুর, বিড়ি, গুলসহ অন্তত ৫০ প্রকারের খাবার ছিল। আমরা খাবারগুলোকে ধ্বংস করেছি। পলাতক মালিক আলামিন শেখ বাবুকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, ভেজাল ও নকল খাদ্যের বিরুদ্ধে র্যাবের এই ধরনের অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের সব মুসলিম দেশ একসঙ্গে কাজ করলে, ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবসহ মুসলিমদের জন্য আরও ভালো অবস্থানে পৌঁছানো সহজ হতো। আজকে যদি আমাদের সকল মুসলিম দেশগুলো এক হয়ে একযোগে কাজ করতে পারতো, তাহলে আমরা এ বিষয়ে আরও অগ্রগামী হতে পারতাম।
আজ ৮ মে বুধবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আশকোনা হজক্যাম্পে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হজ কার্যক্রম ২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মধ্যে তিনি নিজেকে একমাত্র বোন (সরকারপ্রধান) হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার এখানে একটাই কথা- সবাই এক হন এবং এ ধরনের অন্যায় অবিচার যেন আমাদের ওপর না হয়, সেজন্য সবাইবে লক্ষ্য রাখবেন।’
আন্তর্জাতিক যে ফোরামে কথা বলেছেন সেখানেই ফিলিস্তিনিদের জন্য তার কণ্ঠ সোচ্চার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। কারণ ফিলিস্তিনিরা আরব ভূ-খণ্ডে তাদের জায়গা পাবে, এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। কাজেই সেই অধিকার তাদের দিতে হবে।
১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতার ভাষণেরও এখানে উদ্ধৃতি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আরব ভাইদের ওপর যে নিদারুণ অবিচার হয়েছে অবশ্যই তার অবসান ঘটাতে হবে। অন্যায়ভাবে দখলকৃত আরব ভূমি অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। জেরুজালেমের ওপর আমাদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই জেরুজালেমে মুসলমানদের যে অধিকার, এটা প্রতিষ্ঠা করার কথাও জাতির পিতাই তার বক্তব্যে বলেন। আপনারা দেখছেন ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। সেখানে নারী ও ছোট ছোট শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। কাজেই তাদের জন্য, বাংলাদেশের জন্য ও সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য আপনারা (হজযাত্রী) দোয়া করবেন।
প্রধানমন্ত্রী হজযাত্রীদের কাছে দেশ ও জাতির জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, তার সরকার হাজিদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধাসহ হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে, সেটা ধরে রেখে যেন এটাকে আরও উন্নত করতে পারে, সে দোয়াটা আপনারা করবেন। দেশের মানুষের জন্য দোয়া করবেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের মানুষের জন্য গোলা ভরা ধান দেন, পুকুর ভরা মাছ দেন, সুন্দর-উন্নত জীবন দেন, সেই দোয়া করবেন।
এ সময় তার সরকার হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান বক্তৃতা করেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারও বক্তৃতা করেন। দুজন হজযাত্রী অনুষ্ঠানে নিজস্ব অভিব্যক্তিও প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০২৪ সালের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা প্রদর্শিত হয় এবং শেষে দেশ-জাতি ও হজযাত্রীদের সার্বিক মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ বছর মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট (বিজি-৩৩০১) ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
‘হজ কার্যক্রম ২০২৪’ উদ্বোধন করার সময় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটুকু বলবো যে আজকে আমরা হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করেছি, প্রতিবারই যারা যাচ্ছেন, যেকোনও সমস্যা হচ্ছে সেটাকে আরও উন্নত করার পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর এক্ষেত্রে সৌদি সরকার সবসময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি সৌদি বাদশাহ এবং ক্রাউন প্রিন্সকে এ জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সার্বিক বিমান পরিবহনের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সে যেমন, তেমনি নিজস্ব বিমানেও আমরা এখন হজযাত্রী আনা-নেওয়া করতে পারি। আজ আমরা ই-হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছি। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এরপর আর কোনও কষ্ট করতে হবে না, আপনারা ঘরে বসেই সব ব্যবস্থা পাবেন। সোজা প্লেনে উঠবেন, চলে যাবেন। সেই ধরনের ব্যবস্থা আমরা করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে মালপত্র নেওয়া বা ওখান থেকে মালপত্র নিয়ে আসা বা জমজমের পানি নিয়ে আসার সব ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। মক্কা-মদিনায় হজ অফিস স্থাপন করাসহ জেদ্দায় আলাদাভাবে টার্মিনালে জায়গা ভাড়া নিয়ে আমাদের হাজিরা যাতে সেখানে গিয়ে অবস্থান করতে পারেন সেই ব্যবস্থাটাও করেছি। আমরা যখন সরকারে এসেছি তখন থেকেই এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি এবং প্রতি বছর টার্মিনালে এই ব্যবস্থাটা আমরা রাখি। কারণ আগে যাত্রীদের এখানে সেখানে ফুটপাতে বসে থাকতে হতো।
তিনি ১৯৮৪ সালে প্রথম ওমরাহ এবং ১৯৮৫ সালে হজ পালনে যাওয়ার পর থেকেই দেখেছেন হজযাত্রীরা ফুটপাত বা এখানে সেখানে অবস্থান করছেন। তাদের অবস্থানের কোনও জায়গা ছিল না। তখন সরকারে না থাকলেও সৌদি প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে তিনি এসব অব্যবস্থাপনা দূর করার প্রচেষ্টা নেন এবং এতে সৌদি প্রশাসন সাড়া দেয়। তিনি বলেন, পরবর্তীতে সরকারে এসে আধুনিক হজ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে তিনি পদক্ষেপ নেন। সূত্র: বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বিডিএস জরিপ এলাকার মধ্যে থাকা জমির মালিকদের চলমান জরিপ সম্পর্কে পর্যাপ্তভাবে অবহিত করা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর ভূমি ভবনে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের (বিডিএস) কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্প (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের তিনি এই নির্দেশ দেন। এ সময় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ, ইডিএলএমএস প্রকল্পের পরিচালক মো. জহুরুল হকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ও ইডিএলএমএস প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া হতে আগত প্রকল্পের সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী জরিপ প্রক্রিয়া চলাকালীন জমির মালিকদের অজ্ঞাত থাকার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রায়শই দেখা যায় যখন জরিপ করার সময় প্রকৃত মালিক অনুপস্থিত থাকেন। তাদের অজান্তে জরিপ কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।’
অতীতের বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জমির মালিকরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি বিক্রির সময় আবিষ্কার করেন যে ভুলভাবে জরিপ করা হয়ে গিয়েছে এবং অন্য কারো নামে জমির খতিয়ান গেজেট হয়ে গিয়েছে। ফলস্বরূপ, বৈধ মালিকদের তাদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধারের বছরের পর বছর আইনি ও অর্থনৈতিক ঝামেলায় পড়তে হয়।’
মন্ত্রী বিডিএস জরিপ কর্মকর্তাদের স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে জরিপের বিষয়ে প্রচারের নির্দেশ দেন, যাতে এলাকার ও এলাকার বাইরে বসবাসকারী মানুষ জানতে পারেন তাঁদের এলাকায় জরিপ হচ্ছে। মূল্যবান সম্পদ তথা নিজ জমির বিষয়েও নিয়মিত খোঁজখবরও রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ছয়টি এলাকায় চলমান জরিপের প্রথম পর্যায়ের বিডিএস কার্যক্রম শেষ হবে। প্রথম পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা বাংলাদেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সভায় বিডিএস কর্মকর্তারা ভূমি মন্ত্রীকে জানান, উল্লিখিত এলাকায় গ্রাউন্ড কন্ট্রোল পয়েন্ট স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগির-ই বিমান, ড্রোনসহ অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ শুরু হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ দুই হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ হার নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ইসলামি শরিয়াহ্ মতে, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা দেওয়া যায়।
এবার ৭০ টাকা দরে গম বা আটার মাধ্যমে আদায় করলে অর্ধ সা বা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে।
১২১ টাকা দরে যব দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, ৭৫০ টাকা দরে মধ্যম মানেন খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা দিতে হবে।
৬৫০ টাকা দরে কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা, ৯০০ টাকা দরে পানির দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি তিনশ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৯৭০ টাকা দিতে হবে।
এসব পণ্যের স্থানীয় বাজারমূল্যে তারতম্য রয়েছে। সেদিক থেকে স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
আগের বছর (২০২৩ সাল) ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আওয়ামী লীগে বিচ্ছিন্নবাদের কোনো স্থান নেই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠ।
তিনি বিষপান করেও হজম করতে পারেন। যারা আওয়ামী লীগে বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করতে চান তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, আমাদের পিছনে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই।
আজ ৯ মার্চ শনিবার বিকেলে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গণে শিল্পমন্ত্রীকে দেওয়া এক বিশাল গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, অতীতে যারা আওয়ামী লীগে থেকেও বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে ভুল করেছেন, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে মূলস্রোতে ফিরে আসুন। আওয়ামী লীগ সত্য ও আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ডামি প্রার্থীর সুযোগ নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করেছেন। ভবিষ্যতের জন্য আপনারা সাবধান হয়ে যান। নরসিংদীতে আমরা আওয়ামী লীগের আমলে মেঘনা নদীতে সেতু, ঘোড়াশালে সারকারখানা, বিসিকসহ অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে নরসিংদী শহরকে মেগাসিটি করারও পরিকল্পনা আমাদের হাতে আছে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী সদর-১ আসনের সাংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো বীরপ্রতীক, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার ড. মাসুদা সিদ্দিক রোজী, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভূইয়া, মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া, এসএম কাইয়ুম, দীপক কুমার সাহা, আসাদুজ্জামান খোকন ও রঞ্জন কুমার সাহা।
শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানায়।
চলারপথে ডেস্ক :
হাওর অঞ্চলের প্রত্যেকটি সড়ক উড়াল সড়ক হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হাওর অঞ্চলের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য উড়াল সড়ক করা হবে। হাওরে উড়াল সড়কের প্রকল্প ইতোমধ্যেই একনেকে অনুমোদন দিয়েছি।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাওরের পানি নিষ্কাশনের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করেছি।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামেই শহরের সকল সুযোগ সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘আমার গ্রাম হবে আমার শহর’ এই স্লোগানে আমরা কাজ করছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে ঘর, জমির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারির সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। একজন কৃষক এখন মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।
এর আগে দুপুর ১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে হাওর উপজেলা মিঠামইনে পৌঁছান সরকারপ্রধান। সেখানে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইনের কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে যান। সেখানে দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের পর তিনি বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন।