চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার সকাল থেকে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে ছুটির সময় বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ছয় দিনের ছুটি ঘোষণা করে। ছুটি শেষে আজ ৩ জুলাই সোমবার থেকে যথারীতি পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে রপ্তানি হয়। রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, রড, সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, তুলা ও বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ইত্যাদি।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্কে গত চার বছরে অপরিশোধিত টোলের কারণে এমটিএ ৫.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিউইয়র্কবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সৎ চালকেরা তাদের কষ্টের টাকা দিলেও অনেকে অন্যায় করেও পাড় পেয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এনওয়াইসি লেবার কাউন্সিল এবং স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তিন লাখ সদস্যের চেয়ারম্যান হ্যারি নেসপোলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা এমনকি তাদের অপরিশোধিত টোল পর্যন্ত আদায় করতে পারছে না। ফলে তারা আমাদের ওপর কনজেশন প্রাইসিং চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের উচিত টোল লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে টোল সংগ্রহ করা। তিনি কনজেশন প্রাইসিং বাতিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানান। বর্তমানে আইন মান্যকারী শ্রমজীবী লোকজন অন্যায়কারীদের ঘাটতি পূরণ করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালেই টোল লঙ্ঘনকারীদের মোট অসংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ছিল ১.৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের সময়কালে তা ৩.৭ বিলিয়ন ডলার।
কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বার্ষিক অপরিশোধিত টোলের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ৯ বিলিয়ন ডলারের কনজেশনাল টোলের সামগ্রিক হিসাব টানা হলে। ওই ফি ২০২৮ সালে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩১ সালে ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে।
অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় পাওয়ায় ম্যানহাটনের লি বলেন, অনেক কষ্টের পয়সা টোল হিসেবে দিয়ে থাকেন তিনি। অথচ অনেক লোক অবৈধভাবে কিংবা ভুতুরে প্লেট লাগিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে আখাউড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। এখন জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে আর সঠিকভাবে পরিচর্যার কারণে এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রামে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কৃষকরা বছরের পর বছর বাদম চাষ করে আসছেন। স্থানীয় বাজারে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফসল চাষের প্রতি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদিত বাদাম স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে বাদাম কিনে নিয়ে যান।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির কর্মমঠ, হারকোট, মিনারকোট, ধর্মসগর, ঘাঘুটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানকার বেশিরভাগ এলাকা উঁচু হওয়ায় জমিতে সবজি চাষ করা হতো। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখন চাষিরা বাদাম চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাদাম আবাদ করতে প্রতি এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ মণ বাদাম। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ সরকার বলেন, এ গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করি। হালচাষ, বীজ রোপণসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রতি বিঘা প্রায় ৭ হাজার টাকা। তবে বাদাম চাষে কোনো কীটনাশক দেওয়া হয় না। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মণ। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। বাদাম বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কুমিল্লা, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা এসে বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ মৌসুমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হবে।
কৃষক মো. মামুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আবাদ করছি। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে আবাদ করা হয়। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর থেকে এবার তুলনামূলক ফলন ভালো হয়েছে। গ্রামের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদাম তোলার পর কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পরবর্তীতে চাষাবাদ করা হবে। বাদাম বপন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত তিন মাস সময় লাগে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সময় অনেক কম লাগছে। কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউপি সদস্য মো. হামদু মিয়া বলেন, এ বছর প্রায় ২বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করা হয়েছে। বাদাম মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, জায়গা উঁচু হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভালো হয় না। আমাদের গ্রামটি বাদামের গ্রাম হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বাদাম চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা- আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বারের মত দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে গণভবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সন্ধ্যায় আখাউড়া পৌর শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে সড়ক বাজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে আবার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড আব্দুল্লা ভুঁইয়া বাদল,সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়নসহ বহু নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়।
মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।আতশবাজির মুহুর্মুহ শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে উপজেলার প্রতিটি এলাকা।
অনলাইন ডেস্ক :
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় অ্যাম্বুলেন্স, প্যারামেডিক এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ ৫ মার্চ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত ২৭ নভেম্বরের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধসহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত থামিয়ে দেয়। সর্বাত্মক যুদ্ধের সময় ইসরায়েল স্থল সেনা পাঠিয়েছিল।
এ সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যোদ্ধা ও অস্ত্র পরিবহনের জন্য হিজবুল্লাহ-অনুমোদিত ইসলামিক স্বাস্থ্য কমিটির অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার অভিযোগ করে। তবে গোষ্ঠীটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
অ্যামনেস্টির মতে, লেবাননে যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা, অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বারবার বেআইনি হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিৎ।
লেবাননের সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে লেবাননের ভূখণ্ডে সংঘটিত রোম সংবিধির অধীনে অপরাধ তদন্ত ও বিচারের এখতিয়ার প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকারের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত ডিসেম্বরে লেবাননের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, যুদ্ধের সময়, হাসপাতালগুলোতে ৬৭টি হামলা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৪০টি হাসপাতাল সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল’, যার ফলে ১৬ জন নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, জরুরি সাড়াদান সংস্থাগুলোর ওপর ২৩৮টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এবং ২০৬ জন নিহত হয়েছে, অগ্নিনির্বাপক ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স সহ ২৫৬টি জরুরি যানবাহনকেও ’লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়েছিল হামলায়।
অ্যামনেস্টি জানায়, তারা গত বছরের ৩ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈরুত এবং দক্ষিণ লেবাননে স্বাস্থ্যসেবা এবং যানবাহনের ওপর চারটি ইসরায়েলি হামলার তদন্ত করেছে। ওই হামলায় ১৯ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত, ১১ জন আহত এবং একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এবং দু’টি চিকিৎসা সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করা হয়েছে’।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে হামলার সময় স্থাপনা বা যানবাহন সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা নভেম্বরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে তাদের অনুসন্ধানের তথ্য লিখেছিল কিন্তু প্রকাশের সময় পর্যন্ত তারা এর কোনো উত্তর পাননি।
লেবাননের কর্তৃপক্ষের মতে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় দক্ষিণ ও পূর্বের কিছু অংশ এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পুনর্গঠন ব্যয় ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সূত্র : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগষ্টের নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যকান্ডের বিচার হয়েছে। এই হত্যাকান্ড করে এখনও যে খুনীরা বেঁচে আছে তাদেরকে ধৃত করে বাংলাদেশের মাটিতে এনে আদালতের রায় কার্য করবো।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়ার বাইরে নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর ছায়া এত বিশাল তা বাংলাদেশকে ঢেকে রেখেছে। আমরা কেউ-ই সেই ছায়ার বাইরে নয়। সকলে মিলে আল্লাহর কাছে আমাদের নেতা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চাইব। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া চাইব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শোক দিবস পালন করবো। ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে তাকে সহযোগিতা করব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।