অনলাইন ডেস্ক :
স্কটল্যান্ডের কাছে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ৩১ রানে হেরে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব থেকে ছিটকে গেল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে আরব আমিরাতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল দলটিকে।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে স্কটল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন লিস্ক। এ ছাড়া ক্রস ৩৮, ম্যাকমালেন ৩৪, জর্জ মানজি ৩১ এবং ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ২৮ রান করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে উইলিয়ামস তিনটি এবং চাতারা নিয়েছেন দুটি উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে ১৮তম ওভারের মধ্যে ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এখান থেকে রায়ান বার্ল ও ওয়েলেসলি মাধেভেরে ৭৪ বলে ৭৩ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে তুলতে পারেননি তারা। ফলে ৪১.১ ওভারেই ২০৩ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে ৩১ রানে পরাজয় বরণ করে জিম্বাবুয়ে।
বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল খেলবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। শ্রীলঙ্কা আগেই চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি ছিল একটি জায়গা। জিম্বাবুয়ে আজ জিতলেই শূন্যস্থানটি পূরণ হতো। কিন্তু হারে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে গেল জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে হেরে নেট রান রেটে চতুর্থস্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে।
স্কটিশরা আবার শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। যার অর্থ ওই ম্যাচে স্কটল্যান্ড হেরে গেলেও দুইয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই জিম্বাবুয়ের।
আগামী পরশু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে স্কটল্যান্ড। এই ম্যাচটা জিতলেই চূড়ান্তপর্বে উঠবে স্কটল্যান্ড। কিন্তু হারলে? নেদারল্যান্ডস যদি অনেক বড় ব্যবধানে জেতে তাহলে ডাচরাই উঠে যাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টারইব্রেকারে ভারতকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম তিনটি শট ঠেকিয়েছেন।
প্রথমার্ধে ভারত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না গোল করে সমতা আনেন। কোনো দল আর গোল করতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ এ। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হলো টাইব্রেকারে।
শুরু থেকেই চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকে ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশ ছিল এলোমেলো। ভুল পাস ও সমন্বয়হীনতায় শুরুর দিকে ছন্নছাড়া ছিল সাইফুল বারী টিটুর দল। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত।
মাঝ মাঠ থেকে উড়ে আসা বল ঠিকঠাকমতো ডিফেন্স করতে পারেননি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বল বের করে নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আনুসকা কুমারী। তিনি বাম দিকে ঢুকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে।
বিরতির বাঁশির দুই মিনিট আগে বাংলাদেশ সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। সাথীর কর্নার রুখে দেন ভারতের গোলরক্ষক মুন্নী । তবে ৭০ মিনিটে বদলি অনন্য মুরমু বিথীর কর্নার থেকে গোল করেন বাংলাদেশের মরিয়ম বিনতে আন্না।
ইয়ারজান বেগম, অর্পিতা বিশ্বাস, শিউলি রায়, আরিফা আক্তার, সাথী মুনদো, আলপি আক্তার, ক্রানুচিং মারমা (অনন্যা মুরমু বিথি), ফাতেমা আক্তার (মমিতা) ও সুরভী আকন্দ প্রীতি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়েছেন। রয়ে যাওয়া রাজধানীবাসীর অনেকেই আষাঢ়ের প্রথম দিন মেতে উঠেছিলেন বর্ষা বন্দনায়। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শপথে আজ ১৫ জুন শনিবার ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ষা উৎসব। আয়োজনে ছিল বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদ। বাংলার পঞ্চকবির গান, কবিতার পাশাপাশি সম্মিলিত নৃত্যে সাজানো হয় এ উৎসব। সকাল সাড়ে ৭টায় বকুলতলার মঞ্চে মো. হাসান আলীর বাঁশির লোকজ সুরে শুরু হয় উৎসব।
উৎসবে শিল্পী সাজেদ আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত ‘বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এলো’; সালমা আকবর পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি শোনান নজরুলগীতি ‘বরষা ওই এল বরষা’। অনিমা রায় শোনান রবীন্দ্রসংগীত ‘নীল অম্বর ঘন কুঞ্জ ছায়ায়’। নবনীতা জাইদ চৌধুরী শোনান আধুনিক গান ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’। এদিন একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আবিদা রহমান সেতু, শ্রাবণী গুহ রায়, স্নিগ্ধা অধিকারী, রত্না সরকার, ফেরদৌসী কাকলী।
দলীয় সংগীত পর্বে বৃষ্টি নামার গানের সঙ্গে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘গাঙ্গে যাইতাছে দেখো ভাই’। বহ্নিশিখা পরিবেশন করে নজরুল সংগীত ‘রুমুঝুম রুমুঝুম কে বাজায়’। সুরবিহার পরিবেশন করে লোকসংগীত ‘এসো শ্যামল সুন্দর’। এদিন পঞ্চভাস্বর, সীমান্ত খেলাঘর আসর, সুরনন্দনের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে বর্ষার গান শোনান।
আবৃত্তি পর্বে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথের ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’। ত্রপা মজুমদার পাঠ করেন ইন্দ্রানী সমাদ্দারের কবিতা ‘বৃষ্টি’। তিনি শোনান প্রদীপ বালার কবিতা ‘যে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে’। নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি শোনান জয় গোস্বামীর কবিতা ‘মেঘ বালিকা’। সম্মিলিত নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, স্পন্দন, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস, কথক নৃত্য সম্প্রদায়।
কথন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য চিত্রশিল্পী আবুল বারক আলভী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নগরে বসন্ত উৎসব, শরৎ উৎসব, নবান্ন উৎসব আর বর্ষা উৎসব পালন করি আমরা। আমাদের শস্য, গাছপালা আর ফলন যেটির কথা বলি না কেন, তার সবটাই বর্ষার ওপর নির্ভরশীল।
বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিগার চৌধুরী নগরে বৃক্ষায়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন, যারা বাড়িঘর বানাতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলেছেন তারা আরও বেশি করে গাছ লাগান। আমরা প্রকৃতির বন্ধু হতে চাই।
পরে এ উৎসবের রীতি অনুযায়ী শিশুদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা বিতরণ করেন অতিথিরা।
প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করা যাবে না-উদীচী : প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্প বা স্থাপনা গড়ে তোলা চলবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করতে হবে। শহরে-বন্দরে সৌন্দর্য বর্ধনের নামে গাছ কাটা, পশু-পাখির আবাসস্থল ধ্বংস করা চলবে না। অবিলম্বে দেশের বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হোক। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর বর্ষা উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান বক্তারা। বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানাতে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ ‘প্রাণপ্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বিশ্ব বিবেক’ এ স্লোগানে আয়োজন করে বর্ষা উৎসবের। সকাল ৭টায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।
ঢাকা মহানগর উদীচীর সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে বর্ষা কথনপর্বে আলোচক ছিলেন কৃষি ও কৃষকবন্ধু রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা।
আলোচক ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ও বর্ষা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। উপস্থাপনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কবি রহমান মুফিজ।
সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।
অনলাইন ডেস্ক :
মৃত্যুর ২৫ বছর পর নিলামে উঠছে প্রিন্সেস ডায়ানার একটি টপ। এটি সেই বিখ্যাত টপ যেটি ১৯৮১ সালে ডায়ানা তার বাগদানে পরেছিলেন। নিলামে এর দাম ১ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।
গোলাপি ক্রেপ কাপড়ের একটি টপ (স্কার্টের উপরের ব্লাউজ সদৃশ), যার সামনের দিকে রফের মতো কলার এবং আলগা প্লিট রয়েছে। কলারের নিচে একটি সার্টিন ফিতা রয়েছে। এর ডিজাইন করেছিলেন এলিজাবেথ ও ডেভিড ইমানুয়েল, যারা ডায়ানার বিয়ের পোশাকের ডিজাইন করেন।
ডায়ানা লর্ড স্নোডনের তোলা একটি প্রতিকৃতির জন্য পোজ দেওয়ার সময় ব্লাউজটি পরেছিলেন যেটি তখনকার প্রিন্স চার্লসের (পরবর্তীতে রাজা চার্লস তৃতীয়) সঙ্গে তার বাগদানের ঘোষণার সময় ভোগসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা এবং সংবাদপত্র ব্যবহার করেছিল।
বেভারলি হিলসে অবস্থিত জুলিয়ানের নিলামঘর অনুসারে, এলিজাবেথ ইমানুয়েল তার বই ‘এ ড্রেস ফর ডায়ানা’তে লিখেছেন- ওই টপসের ফ্যাব্রিকস এমন একটি পোশাক থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যখন একজন ক্লায়েন্ট এটি পরার সময় স্কার্টে মাস্কারা ফেলে দিয়েছিলেন।
ইমানুয়েল স্মরণ করে বলেন, যখন (ডায়ানা) র্যাকে আমাদের টপটি দেখেছিলেন তখন তিনি এটির প্রেমে পড়েছিলেন, জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এটি কে তৈরি করেছে।
ডায়ানা ব্লাউজটি পরার পর, ডিজাইনার ২০১০ সালে এটি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত আর দোকানে রাখেননি। এটি রাজকুমারীর পোশাকের একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কেনসিংটন প্যালেসে প্রদর্শিত হয়েছিল।
একই সঙ্গে ডায়ানার আরেকটি পোশাক, যেটি পরে তিনি দুবার জনসমক্ষে এসেছিলেন, একই নিলামে সেটির দাম ২ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
১৯৮০ সালে ডায়ানা এই নীল স্কার্টটি পরে স্টাইল আইকন হয়ে ওঠেন। নিলামের অন্যান্য আইটেমগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে হলিউডের সবচেয়ে বড় তারকাদের দ্বারা ব্যবহৃত বা পরিধান করা স্মৃতিচিহ্ন। ১৯৬৩ সালের ‘চ্যারাডে’ সিনেমায় অড্রে হেপবার্নের পরিধান করা একটি হলুদ উলের গিভেঞ্চি কোট ৪০ হাজার ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে মেরিলিন মনরোর মালিকানাধীন একটি ঘড়ির দাম উঠতে পারে ৪ হাজার ডলার। বেভারলি হিলস এবং অনলাইনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জিনিসগুলো বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, আমারই ফল্ট (ভুল) ছিল। কারো ষড়যন্ত্রের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দেন।
ডলি সায়ন্তনী বলেন, আমার ছোট একটা ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলা ছিল, যেটা আমার নলেজে ছিল না। বাচ্চা বাইরে পড়াশুনা করে সেই জন্য দেশের বাইরে যাওয়া আসা করতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের অ্যামাউন্ট পরিশোধ করে ইসিতে এসেছি।
কতো টাকা বকেয়া ছিল-এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব কম টাকা, বলার মতো না। যে অভিযোগটা এসেছে এটা আসলেই আমার ফল্ট ছিল। কারোর ষড়যন্ত্র দেখছি না। এটি আমি খেয়াল করি নাই। তবে আশা করছি আমার মনোনয়নপত্রের বৈধতা পাবো।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রবিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট ২০২৩-২৪ এর ফাইনাল খেলা নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার অপারেশন ম্যানেজার মোঃ আতিকুল ইসলাম খান।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আবু কাউছার খান, আহমেদ হোসেন বুলবুল, আইডিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাজিব রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচচ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সামন্নুহার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সার্বিক পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোঃ রুহুল কুদ্দুছ (শামীম)।
খেলায় টসে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ জয়লাভ করে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৪৪.৫ ওভারে ১৬৯ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক তপু দত্ত ৫৫ ও আব্দুর ২০ রান করে। সম্মান ৩টি উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ২১.৪ ওভারে ৪১ রান করে অল আউট হয়। অধিনায়ক মেহেদী হাসান সর্বোচচ ১০ রান করে। আইডিয়ালের আরমান হোসেন তারেক ৫টি ও তপু দত্ত ২টি উইকেট পায়।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের তপু দত্ত।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মোঃ আজিম ও আব্দুল্লাহ আল গাফ্ফার রিমন। স্কোরার আল মামুন ও রাহিম খান।