চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আয়ুব আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ ৫ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ সড়কের ধনকুড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়ুব আলী সদর ইউনিয়নের ৮নং ওর্য়াডের মৃত আব্দুল মোমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক একই ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের রোমান মিয়া আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা সদরে আসার জন্য ধনকুড়া এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আয়ুব আলী।
এসময় তিনজন আরোহীসহ একটি মোটর সাইকেল পিছন থেকে ধাক্কা দিলে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান আয়ুব আলী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ধনকুড়া গ্রামের লোকমান মিয়া জানান, আয়ুব আলী বাজারে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বেপরোয়া গতির একটি মোটর সাইকেল পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোটর সাইকেলের ধাক্কা একজন নিহত হয়েছে। আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের ন্যায় নাসিরনগরে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১ ঘন্টা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, কোন কোটা রাখা যাবে না ১০০% উপসচিব ও অন্যান্য পদ পরীক্ষার মাধ্যমে সব ক্যাডার থেকে নিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আজ কলমবিরতি কর্মসূচি পালনের পর আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব অফিসে স্ব স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।
আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশের পর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবেএ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সামিউল বাছির, সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন, মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সাইফুল ইসলাম, ডাঃ সুব্রত চক্রবর্তী, ডাঃ মোহাম্মদ রায়হান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোট :
নাসিরনগরে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে একটি র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম ভূঁইয়া সায়েম, নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী বকুল, তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, আমির হোসেন, জাসুক ভূঁইয়া, রতন শাহাজী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। বিএনপি-জামাত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয় করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করেই ঘরে ফিরবে যুবলীগ।
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
সাবেক ইউপি সদস্য মধু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ ও আমির হোসেন ফারুক ।
বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগ নেতা এম.এ কাশেম, মোহাম্মদ গোলাম আলী, মো: ইলিয়াছ মিয়া, গৌরদাস ভোমিক, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনে মোঃ গোলাম হোসেনকে সভাপতি ও ইউনুস মিয়া ও সোহরাব হোসেনকে সহ-সভাপতি, মোঃ ইলিয়াছ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,শাহেদ মিয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , মোখলেছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ মার্চ সোমবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নিবার্চন পরিচালনা করেন প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়া ।
নিবার্চনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এর মধ্যে অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ৬৪৩ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩২ ভোট পেয়েছেন পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ আশরাফুল আবদাল মোকাল্লিদ। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন আদেশ চন্দ্র দেব(৫৩১) ও মো: নুরুল ইসলাম(৪৭৭)। মোট ১ হাজার ৭‘শ ৮১ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ১৩৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে ১৩টি ভোট বাতিল ঘোষনা করেন।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বি-বার্ষিক অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা, উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হুসাইন, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা ও বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।