চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়ায় ট্রেন যাত্রীদের সেবা প্রদান করেছে স্কাউট ও রোভাররা। আজ ৫ জুলাই বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমনকারী যাত্রীদেরকে ট্রেনে আরোহন, মালামাল উঠানো-নামানোসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে স্কাউট সদস্যরা।
আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট দুই দিনব্যাপী ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। ট্রেনে উঠা-নামায় সহযোগিতা, যাত্রীদের সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা এবং ষ্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্কাউটস সদস্যরা। সেবামূলক এ কাজে ৬টি স্কাউট গ্রুপের ৩০/৩৫ জন সদস্য অংশ নিচ্ছে।
জেলা স্কাউট সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার ছুটি শেষে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন হয়ে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রী বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে।
এসময় ষ্টেশনে প্রচুর ভীড় হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট ট্রেন এবং ট্রেনের বগি খোঁজে পাওয়া এবং নারী-শিশুদের নিয়ে ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
এ অবস্থায় যাত্রীদের সুবিধার্থে আখাউড়া রেলওয়ে জেলা স্কাউট ২ দিন ঈদ যাত্রী সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমে অগ্নিবীণা, গোধুলী, সূর্য সৈনিক, হলি চাইল্ড, দিগন্ত এবং প্রত্যাশী রেলওয়ে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের স্কাউট ও রোভার এবং কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছে। এসময় যাত্রী সেবার পাশাপাশি অনলাইন টিকেটের রেজিষ্ট্রেশন করে দেওয়া হয়।
সেবা কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে জেলা স্কাউট সম্পাদক এস.কে. খাদেম সেলিম, সাবেক সম্পাদক আহসান কবির লিটন, সহকারী কমিশনার কাজী হান্নান খাদেম, সহকারী কমিশনার তোফাজ্জল আলী উজ্জল, হলি চাইল্ড সম্পাদক আকতারুজ্জামান রান, জেলা রোভার প্রতিনিধি মোঃ সাকিবুল হাসান, সূর্য সৈনিক যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, রোভার রাব্বি চৌধুরী, গার্ল ইন রোভার সাদিয়া সুলতানা, স্কাউট নাসিবা হক, লামিয়া ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক বিনা আক্তার।
অনলাইন ডেস্ক :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার এবং শাশুড়ি কারিমা খাতুন এর বিরুদ্ধে পিরোজপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সমন্বিত জেলা কার্যালয় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জ্ঞাত আয় বহির্ভ‚তভাবে ১৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সম্পদ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করে দুদক এর সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ বর্তমানে ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ক্রাইম শাখায় কর্মরত আছেন। ১৯৯১ সালে উপ-পরিদর্শক পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর ২০০৭ সালে পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান আব্দুল্লাহ। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ও চোরাকারবারিদের সাথে সখ্যতা, মিথ্যা মামলা রেকর্ড ও অনৈতিকভাবে বিপুল পরিমান সম্পদের অর্জনের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের জন্য ২০২০ সালে দুদক এর বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর পিরোজপুরে দুদকের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটি পিরোজপুর কার্যালয় তদন্ত শুরু করে।
মামলার বাদী মোস্তাফিজ জানান, আব্দুল্লাহ এর নিজ নামে ঢাকায় দুইটি প্লট, স্ত্রী ফারহানার মামে দুইটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং স্ত্রী ফারহানা এর ব্যাংক হিসাব হতে অর্থ পরিশোধ করে শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে একটি আবাসিক ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে যেগুলোর মূল্য ১৫ কোটি ৭ লক্ষ টাকার অধিক। এছাড়া ফারহানার নামে থাকা দুইটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে এক কোটি টাকা ম‚ল্যমানের সঞ্চয়পত্র কেনা হয়েছে। ফারহানা আরও একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদনও করেছে। অভিযুক্ত এ ৩ ব্যক্তির নামে স্থাবর এবং অস্থাবর মিলিয়ে ১৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। যার মধ্যে স্ত্রী ফারহানার নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত ৩১ লক্ষ টাকা ম‚ল্যমানের একটি গাড়িও রয়েছে। এর মধ্য থেকে ১৮ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করেছে দুদক। এছাড়া ফারহানার বিভিন্ন ব্যাংক হিসেব থেকে ২৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দুটি ধারায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ ১ জানুয়ারি সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা তাঁর এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে একই আদালত আজ বিকেল ৩টার দিকে ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাঁদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রায়ের ব্যাপারে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পাননি। এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ রায়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া যুবলীগের আহ্বায়কসহ তিনজনকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সই করা পত্রে এ নির্দেশ দেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়ে, যুবলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা প্রত্যেক নেতাকর্মীর নৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব। আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, যুগ্ম-আহ্বায়ক এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম ও মো. আব্দুল মমিন বাবুলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩০ এপ্রিল উপজেলার অন্তর্গত আখাউড়া পৌরসভা, আখাউড়া উত্তর, আখাউড়া দক্ষিণ, মনিয়ন্দ, মোগড়া ও ধরখার ইউনিয়নের কমিটি গঠনের অভিযোগ আছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুদ্র ও বিনষ্ট হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জেলা যুবলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর যথাযথ কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, তারা আখাউড়া পৌর যুবলীগসহ সব ইউনিয়নের কমিটি ভেঙে সেদিনই পুনরায় কমিটি দিয়েছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবলীগের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আখাউড়া যুবলীগের তিন নেতাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কথা স্বীকার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অবৈধভাবে হাওড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওড়া নদী থেকে অবৈধভাবে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী মঙ্গলবার দুপুরে ছয়ঘরিয়া এলাকায় গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আবু কাউছার ভূঁইয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে আবু কাউছার ভূঁইয়া ১ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে কেউ মাটি বা বালু উত্তোলন করে করতে পারবেনা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল চারটার দিকে সময় গুইমারা উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার নজমহন ত্রিপুরার মেয়ে অপুবিশ্বা ত্রিপুরা (০৭) এবং ছেলে চনেরন্ত্র ত্রিপুরা (০৫)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অংক্যজাই মারমা জানান, ঝিরির পানিতে গোসল করতে এসে দুই ভাই বোন খেলা করছিলো। খেলা করতে করতে একটু বেশি পানিতে গেলে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি তারা।তাদের পিতা-মাতা জুমে কাজ শেষে বাড়িতে এসে ছেলে, মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে। পরে ঝিরির পানিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৭টার সময় মাটিরাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি রাজিব কর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে গুইমারা থানার পুলিশ মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।