চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মারা গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীসহ অনেক গুনগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
তিনি সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ সৈনিক ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরে ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপির ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত নেতা ছিলেন। মরিচাকান্দি ডিটি একাডেমির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে ৩ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ বাঞ্ছারামপুর আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিল বলেই বাংলা আজ সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব দরবারে হয়েছে সমাদৃত। জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছে এই দেশকে। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। জঙ্গিবাদ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, হরতাল ও সন্ত্রাস প্রতিহত করায় দেশবাসী আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার প্রদান করে।
তিনি বলেন, অপরদিকে নালিশ পার্টিগুলি দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচন আসলে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার লোভে ঘুরে ভেড়ায়। জনগণের কাছে এসে ভোট চাওয়ার কোনো সাহস তাদের নেই। সেজন্য বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জলি আক্তার, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, বাঞ্ছারামপুর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় গৃহবধূ রহিমা বেগম (২৮) হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামী মো. আল আমিন মিয়া (৩২) কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মুন্সিবাড়ির জাকির হোসেন এর কন্যা রহিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা নতুনপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। আল আমিন পেশায় অটোরিক্সা চালক ছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (৬) নামে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে রহিমা ও আমিনের পরিবারে অভাব-অনটনসহ পরিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর মধ্যে হত্যার ঘটনার ৩ মাস আগে রহিমার স্বামী আল আমিন মিয়া রহিমার অজান্তে খাল্লা গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরে এই ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্যে রহিমার উপর চাপ দেয় স্বামী আল আমিন। ধারের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। পরে এ নিয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত অনুমানিক ২টার দিকে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে লোহার রড দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রহিমা প্রাণ হারায়। পরে রহিমা নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দেওয়ার জন্যে তার স্বামী আল আমিন বাড়িতে চোর এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছোঁটে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন রহিমাকে তার স্বামীই হত্যা করেছে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বামী আল আমিনকে ধরে ওই রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে নিহত রহিমার পিতা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন। পরে মামলটি অধিকতর তদন্ত করে থানা পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামিও ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিতিতে আল আমিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার রায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটর এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, মামলটি সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গকুলনগর গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২) সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
এলাকাবাসী ও সৌদী আরবের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায় ৪ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সৌদি আরবে বাইসাইকেল চালিয়ে মার্কেটে যাওয়ার সময় ঝড়ো গতিতে ছুটে আসা এক প্রাইভেট কার পিছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক জখম হয় সাইদুল। অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পথচারীগণ পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে সাইদুলকে হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করান। ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৯তারিখ রাত আটটায় না ফেরার দেশে চলে যায় সাইদুল। নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পুত্রের মৃত্যু শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা-মা।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই মুকুল মিয়া বলেন ভাগ্যের অন্বেষণে ২০১৯ সালে সৌদি আরব যায় সাইদুল, বাড়ীতে আসবে বলে কেনাকাঁটার জন্য পাশের মার্কেটে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি প্রাভেট কার ধাক্কা দিলে সাইদুল ছিটকে দুরে পড়ে যায়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছির উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, নিহতের মরদেহ বাংলাদেশে আনতে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা আমি করব।
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাস জমি থেকে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওড়াটুলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থান ও ঈদগাহ-সংলগ্ন ৩ দশমিক ৪৬ একর একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়টির পাশে শতাধিক কড়ই, পাহাড়ি নিমগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিল। ফরদাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া ফসলি জমির মাটি কবরস্থানের পাশে সোনিয়া ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় সরবরাহ করছেন। মাটি নিয়ে ইটভাটায় ট্রাক্টর আসা-যাওয়ার জন্য জলাশয়ের তীরের শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাওড়াটুলী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউপি সদস্য মানিকের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে হয়রানি ও হামলার শিকার হতে হয়। তিনি কাউকে না বলে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা বন কর্মকর্তা গাছ কেটে বিক্রির বিষয়টি দেখে গেছেন। এ ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোনিয়া ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার রমজান আলী জানান, ইউপি সদস্য মানিক তাঁদের ভাটায় এক মাস ধরে মাটি দিচ্ছেন। গাছ কাটার বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন না।
ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া জানান, গাছগুলো জলাশয়ের পাড়ে গ্রামবাসী লাগিয়েছেন। গাছগুলো হেলে পড়ে যাওয়ায় বিক্রি করে মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে দিয়েছেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তা এসেছিলেন। এসি ল্যান্ডের কাছে গ্রামের লোকজন গিয়েছিল। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।
ছলিমাবাদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইদ্রিছ আলী জানান, মানিক মেম্বার গাওড়াটুলী জলাশয়ের পাড়ের ৭৮টি ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। জলাশয়টি ইজারাভুক্ত। গাওড়াটুলী মাদ্রাসা এ বছর ইজারা নিয়েছে। ইউএনও তাঁকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
সদ্য সাবেক উপজেলা বন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এসি ল্যান্ড তাঁকে বলার পর তিনি গাছের গুঁড়িগুলোর মাপ নিয়ে আসেন। ৭২টি গাছ কাটা হয়েছে। ইউপি সদস্য মানিক মিয়াসহ এলাকার লোকজন বলেছেন, এসি ল্যান্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁরা সমঝোতায় আসবেন, তাই তিনি প্রতিবেদন দেননি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ছিলেন। তাঁকে বলেছিলেন ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা করতে।
ইউএনও একিমিত্র চাকমা জানান, এ বিষয়ে তিনি সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জসিম মিয়া (২২) নামক এক যুবককে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশ্রাফবাদ মাদরাসা মাঠে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম শিরন মিয়া।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের আশ্রাফবাদ মাদ্রাসা মাঠে আশ্রাফবাদ গ্রামের শিরন মিয়ার ছেলে জসিম একই গ্রামের রওশন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়াসহ কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিল। এসময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমন মিয়া তার হাতে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে এলোপাথাড়ি পেটায়। এসময় জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জসিমের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন পর সে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
নিহত জসিমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী জানান, ক্রিকেট খেলার সময় হঠাৎ করে ইমন আমার ভাইকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পেটাতে থাকে। সে গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার বলেছে আমার ভাই মারা গেছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
নিহত জসিমের ভাতিজা রিপন মিয়া বলেন, আমরা ক্রিকেট খেলার সময় আমার চাচার ওপর কোনো কারণ ছাড়া ব্যাট দিয়ে পেটায়। চাচাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চাচা মারা যান।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহমত উল্লাহ পাভেল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জসিমকে পেটায় ইমন। হাসপাতালে আনার পর জসিম মারা যায়। ইমনকে গ্রেফতার করতে অভিযানে আছি।