চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটর সাইকেলের লাইসেন্স না থাকা ও হেলমেট না পড়ায় ১৭ মোটর আরোহীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ৯জন মোটর সাইকেল আরোহীকে আরোহীকে ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা ও বিজয়নগরে ৮জন মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
আজ ৫ জুলাই বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন শহরের থানা ব্রীজের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ৯ মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন।
অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ মোটর সাইকেল আরোহীকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সবার আগে নিজের নিরাপত্তা। হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো অপরাধ ও ঝুঁকিপূর্ন। রাস্তায় চলাচলের সময় বেশিরভাগ সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হেলমেট না থাকায় মাথায় আঘাত পায়। এই দুর্ঘটনা থেকে নিরাপত্তার জন্য হেলমেটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, দুপুরে থানা ব্রীজের পাশে অভিযান পরিচালনা করে হেলমেটবিহীন মোটর সাইকেল চালানো ও মোটর সাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ধারায় ৯ মামলায় ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অপর দিকে বিজয়নগর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, সড়কে নিরাপত্তা আনয়নের লক্ষ্যে, দুর্ঘটনা এড়াতে এবং মোটর সাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আইনের ধারা মতে হেলমেট ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে মঙ্গলবার ৮জনকে ১৩ হাজার ১০০টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পৌর এলাকায় এক যুবক ৭ জনকে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় আরজুদা বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার বেলা ১১টায় পৌর ভাদুঘর এলাকার সাবর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরজুদা বেগম ভাদুঘর এলাকার সবুজ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় ঘাতক সিহাব মিয়াকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- সাজু মিয়া (৫০) নয়ন মণি (১৪) মুখলেস মিয়া (৪৫) ওমর আলী (৮০) খালেদা বেগম (৪৪) ও রাবেয়া বেগম (৫০)। আহত ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত নয়ন মণি বলেন, আমরা বাড়ি থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে যাওয়ার সময় সিহাব আমাকে দাঁ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজনকেও এলোপাতাড়ি আঘাত করে দাঁ দিয়ে। পরে এলাকাবাসী আমাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়।
নয়ন মণীর ভাই জুনায়েদ বলেন, সিহাব গত ১ মাস আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। প্রায়ই মানুষদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, ঘাতক সিহাব নারী বিদ্বেষী ছিলেন। তিনি প্রতিনিয়ত নারীদের রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো বলে এলাকাবাসী জানান। ঘাতক সিহাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুমোদনবিহীনভাবে বহুতল বিশিষ্ট ইমারত নির্মাণের দায়ে দুই ইমারত মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ২৪ জুলাই সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কালাইশ্রীপাড়া ও লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকেরপাড়) এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পৌরসভা থেকে ৬তলা ভবন নির্মানের অনুমতি নিয়ে কালাইশ্রীপাড়ার এক বাসিন্দা ৭ তলার ভবন নির্মান করায় এবং পৌর সভার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়ে লোকনাথ উদ্যানের (ট্যাংকেরপাড়) পশ্চিমপাড় এলাকায় ৫তলা ভবন নির্মাণ করায় ইমারত নির্মান বিধিমালা আইনের বিভিন্ন ধারায় দুই ভবন মালিককে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মোঃ জুলহাস (২৫) ও আরমান হোসেন (১৭) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ফেন্সিডিল বহনকারী একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর জিলানী ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুলহাস বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও আরমান হোসেন একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৯৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রসহ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সুমন মিয়া প্রকাশ সুমন কে গ্রেফতার করছে যৌথ বাহিনী। ১৮ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সুমন মিয়া পৌর শহরের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়ার ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ছিলেন।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে রাতে পৌর শহরের মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসত ঘর তল্লাসী করে অবৈধ ১টি পিস্তল, ১টি খালি কার্টুস ও ৩ রাউন্ড এ্যামোঃ উদ্ধার করা হয়। পরে রাতেই তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহরের একটি বহুতল ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের বনিকপাড়া স্টেশন রোড এলাকায়। নগদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।
ওই ভবনের চার নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন মঈন জানান, তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালায়। পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। গত এক সপ্তাহ তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আজ বিকেলে ফোন পান তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এসে দেখেন সব এলোমেলো।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আলমারি ভেঙে নগদ আড়াই লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, একটি ট্যাব, মোবাইলফোন, দুটি ইন্টারনেট রাউডার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
দ্বিতীয়তলা ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হুমায়ুন খালেদ বলেন, ‘আমি পেশায় ঠিকাদার। দুপুরে দাওয়াত খেতে রুমে তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। এসে দেখি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।’
ষষ্ঠতলার এক প্রবাসীর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রসাধনী নিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মনিটরিং করা হচ্ছে।