চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার আদর্শ সদর এবং সদর দক্ষিণ উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যম বিজয়পুর ষাটকলোনি এলাকায় বাড়ির পাশে জলাশয়ে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। তারা হলো- ষাটকলোনি এলাকার রওশন আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন (৮) ও মনির হোসেনের ছেলে সায়েম (৭)।
রওশন আলী জানান, দুপুরে তাঁর সঙ্গে ওই জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল ছেলে আরাফাত এবং একই বাড়ির সায়েম। অসাবধানতায় দুই শিশু পানিতে ডুবে যায়। পরে লোকজন নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের লাশ পাওয়া যায়।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু দুটির মরদেহ দাফন করেছে পরিবার।
এদিকে নগরীর উজিরদীঘিতে ডুবে মো. আরাবী নামে ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটির মামা কাজী অনিক ইসলাম জানান, তাঁর বোন ও ভাগনি আরাবী গত সোমবার কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সকালে খেলতে গিয়ে দিঘিতে ডুবে ভাগনির মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, পরিবার আবেদন করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের একটি গ্রুপ হত্যার জন্য মাঠে নেমেছে। নিজ নির্বাচনী এলাকার থানার ওসির মারফত বিষয়টি জানতে পেরে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ ৩০ জুন রবিবার সকালে তিনি বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে জানান, সিরিয়াল কিলারের একটি গ্রুপ বর্তমানে সক্রিয়। তারা আমাকে হত্যা করতে চান। আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদে থাকাকালীন আমার এলাকার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন, তিনি আমাকে কল করে জানান, গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। তাই বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে যেন আমি একটু বসি।
পরে শুক্রবার বাড়ি যাওয়ার পর দুপুরে আমার সঙ্গে বসেছিলেন ওসি। তখন ওসি আমাকে একটি ম্যাসেজ দেখালেন। সেখানে ওসিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২-৩ দিন কল করেছেন। কিন্তু কলটি আমলে না নেয়ায় ওই ব্যক্তি ওসিকে একটি ম্যাসেজ করে জানান, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেতে চান। এছাড়া ম্যাসেজে দেখা গেছে, একটি কন্ট্রাক্ট কিলার গ্রুপ হায়ার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে অ্যাক্টিভ।
তিনি আরও বলেন, ওসির ফোন দিয়ে আমি পরে অজ্ঞাত সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলি। তখন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি জানায়, তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চান না। এছাড়া তিনি নিজেও ওই কিলার গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন। যখন আমাকে হত্যার জন্য তার কাছে নাম আসে এবং সেই কাজ তাকে করতে হবে এমন নির্দেশনা আসে, তখন তিনি ওই কাজে অস্বীকৃতি জানান। কারণ, তার বাড়িও সিলেটে। তিনি আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সব জানেন, তাই তিনি রাজি হননি বলেও আমাকে জানিয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফোনকলে ওই ব্যক্তি জানান, আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই। কিন্তু এর আগেও আমি মৌখিকভাবে এবং পিএসের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমলে নেইনি। তবে এবার যখন ওসির মাধ্যমে এসেছে, তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এবার সিরিয়াসভাবে আমলে নিতে হবে।
তিনি জানান, ওই ঘটনার পর আমি শনিবার ঢাকায় চলে আসি। এরমধ্যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। পরে আমি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য। যখন আমার এলাকার ওসি কোনো এক মাধ্যমে জেনেছেন আমার লাইফ রিস্কে আছে, তখনই কিন্তু তার এসপি বা ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা কি সত্যই হুমকি নাকি ভুয়া সেটি আমার কাছে আসার আগেই তাদের তদন্ত করে দেখা উচিত ছিল। আমাকে কেন জিডি করতে হলো?
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হলো- আমার থ্রেট তো আমি জানি না, আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেয়ার কথা ছিল। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে, ওই থ্রেটটা (হুমকি) রিয়েল নাকি ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো। এখন তো আমার জীবনের নিরাপত্তা নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি বুঝি না, এই রাষ্ট্রযন্ত্র আসলেই কি আমাকে বাঁচায় রাখতে চায় কি না। কারণ, আমি যেখানে জিডি করেছি বা পুলিশ বিভাগকে জানিয়েছি, তারাই তো আমার আগে এ ঘটনা জেনেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ। তারা অপবাদ দিয়েছিল তার প্রতিবাদ করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সেই শক্তিটা কিন্তু আপনারাই যুগিয়েছেন।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ ১ জুলাই শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটালীপাড়াবাসী আপনারা আমার সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার নির্বাচন, আমার সবকিছুই আপনারাই দেখেন। টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়ার মানুষই হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।
দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কোটালীপাড়ায় নৌকায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন- শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। জাতিসংঘের প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারি দেশে আসছেন। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। আমরা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের কিছু লোক তো আছেই, যারা বাংলাদেশের কোনো ভালোই চোখে দেখে না। চোখ থাকতে যারা অন্ধ, তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। কাজেই এসব কিছু এখন আর বলার নেই। কিন্তু এটাই বলব, তারা দেখে না, কিন্তু ভোগ করে।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন। অনলাইনে সবাই সারাদিন কথা বলে। এতগুলো টেলিভিশন দিয়ে দিয়েছি। তারপরও তারা বলে তাদের কথা বলার অধিকার নেই!
প্রধানমন্ত্রী কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের ফসল আমাদের ফলাতে হবে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা আমরা পূরণ করব। যা উদ্বৃত্ত থাকবে তা অন্যকে দিতে পারব। আমরা খাদ্য সংরক্ষণের ও ব্যবস্থা করছি। এলাকায় এলাকায় সে ব্যবস্থা নেব। শুধু এটুকুই বলব, কোথাও যেন কোনো অনাবাদী জমি না থাকে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টির মধ্যে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এটা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। সবাইকে আহ্বান করেছি, অন্তত ৩টি করে গাছ লাগান। এরমধ্যে একটি ফলদ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। এগুলো করেই আমরা লাভবান হব। এক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা দেব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তারই স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া আমাদের লক্ষ্য। দেশে হতদরিদ্র মাত্র ৫%। সেটাও যেন না থাকে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটাও হৃতদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেকের একটি ঘর, একটু জমি ও জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ইনশাআল্লাহ করতে পারব। আর আমরা সেটাই চাই।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি, স্কুলগুলোকে নতুনভাবে তৈরি করে দিচ্ছি, পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছি ও বৃত্তি দিচ্ছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের আমরা বৃত্তি দেই। এভাবে আমরা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে এমনকি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আল্লাহর কাছে এটাই শুধু দোয়া করবেন। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাই যার যার ধর্মীয় রীতিতে সৃষ্টিকর্তার কাছে কামনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে এ বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমরা চাই। জাতির পিতার স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব, সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেনসহ কোটালীপাড়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গনসংগঠনের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বক্তব্য মনযোগ দিয়ে শোনেন। প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন ও ভবনের সামনে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন।
পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সড়কপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান তিনি।
কোটালীপাড়ায় পৌঁছানোর পর নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও বিভিন্ন শ্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছে। এ অর্থ শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যাবে। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে সুন্দরবন রক্ষা প্রকল্প। এ-সংক্রান্ত প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এসব নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং একনেক বৈঠকের অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। ১০০ কোটি ডলার পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সম্পর্কিত ‘উচিত প্রকল্প’ করে তাদের বুঝিয়ে অর্থ আনতে হবে। এ অর্থ পেতে কোনো নির্ধারিত সময়সীমা নেই। তবে দুই-তিন বছরের মধ্যে যখন যা লাগে, তারা দেবে। ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে মিল রেখে প্রকল্প নিতে হবে, যাতে একই ধরনের একাধিক প্রকল্প না থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা সম্পর্কে এম এ মান্নান জানান, বন্যার ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পয়েন্টে আরও বেশি কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে পানির চাপ বেশি, সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে আর সড়ক ভাঙবে না। সেতু নির্মাণে উচ্চতার বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছেন তিনি। সেতুর নকশার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন, যাতে প্রকল্পের মাঝপথে সেতু ভাঙতে না হয়। এ ছাড়া বাণিজ্য-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ডিম-মুরগির কারণে
আগস্টে খাদ্যপণ্যে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগস্টে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির কারণ ছিল ডিম ও মুরগি। এ দুটি পণ্যের দর বৃদ্ধির প্রভাবে এত বেশি মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে স্বাভাবিক মূল্যস্ফীতিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতির চক্রে পড়েছি আমরা।’ প্রতি বছরই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। নভেম্বর থেকে আবার কমে আসে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষার কারণেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানো, কৃষিতে ভর্তুকি, সুদের হার বাড়ানোসহ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি।’
১৯ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে বিভিন্ন খাতের ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর ৪৫০ কোটি এবং বাকি ১২ হাজার ৬০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১২টি নতুন এবং সাতটি সংশোধিত। এ ছাড়া নতুন করে ব্যয় না বাড়িয়ে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একটি প্রকল্পের। সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে। এ অর্থের ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন সরকার। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শুরু এবং ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।
অনলাইন ডেস্ক :
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল মিয়াকে বিভাগীয় মামলায় জড়ানো হয়। ৩ বছরের জন্য তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের ১১ দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুয়েল মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
২০১৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই তিনি বান্দরবান পুলিশে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
জুয়েল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সাঈদি সাহেব একজন আলেম ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আমার বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করিয়েছেন। ৩ বছরের জন্য আমার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তদন্ত করেছিলেন।
একজন আলেম মারা গেছেন, আমি দোয়া চেয়ে কি এমন দোষ করেছি? আমার কি দোষ ছিল? আমি গরিব পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে চাকরিটি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ১১ দাবিতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে তারা ‘আমার ভাই কবরে, আইজি কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে কমিশনার কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে বিসিএস কেন বাইরে, বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সারা দেশে পুলিশ হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী। ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ১১ দাবি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে পুলিশ বাহিনী রাখে নাই। পুলিশ বাহিনীর পোশাক শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের গোলাম বানিয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ছিল না। পুলিশকে, পুলিশ লীগে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণসহ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ৬টি থানাসহ কোনো কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষালয় স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া পরিদর্শন করেছেন। শহরের উত্তর পৈরতলাস্থ প্রশান্তি ভবনে শিক্ষালয়ে পৌছলে প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা আল আমীন শাহীন, মোর্শেদা মতিন মিলি, পরিচালক স্বর্ণালী আক্তার সহ শিক্ষাথীরা ফুলেল অভ্যর্থনা জানায়।
এ সময় মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান শিশুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর নেন এবং আন্তরিকভাবে কিছু সময় কাটান।
তিনি মতবিনিময়কালে বলেন, সম অধিকারে সকল শিশুর বেড়ে উঠা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকলের। শিশুদের জন্য সুন্দর দেশ পৃথিবী এবং সুখের বাস গড়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে সকলকে আন্তরিক ভূমিকা রাখার আহবান জানান। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মীর আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শতাধিক হতদরিদ্র শিশুকে পাঠদান করা হয়। শিশুদের মানসিক বিকাশে সংস্কৃতি চর্চা সহ নানামূখী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।