চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসায় কোন রোগীর মৃত্যু হলে সেটি “ভুল চিকিৎসা নয়, এটি দুর্ঘটনা এবং এটি অপরাধ হিসেবে গন্য করা যাবেনা উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা করেছেন জেলা বিএমএর নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এফ. জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ।
লিখিত বক্তব্যে ডাঃ আবু সাঈদ বলেন, চিকিৎসকরা রোগীদের সম্মতি নিয়ে অস্ত্রোপচার করে থাকেন। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ অনুসারে চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক এক্ষেত্রে রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার পরও রোগীর মৃত্যু হলে সেটা কোনোভাবেই হত্যা মামলা হতে পারে না। তিনি বলেন, এই আইনে চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সততার সাথে নিঃসংকোচ চিত্তে কর্তব্য পালন করার নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং হত্যা মামলার মতো ফৌজদারি মামলা হতে ‘দায়মুক্তি’ প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ ও ৮৯ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৮৮ অনুসারে ভাল উদ্দেশ্যে বা রোগ উপশমের উদ্দেশ্যে সম্মতিসহ কোনো রোগীর অস্ত্রোপচার করার সময় বা পরবর্তীতে যদি ‘মৃত্যু’ ঘটে তবে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। আর দণ্ডবিধির ধারা ৮৯ অনুসারে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা মানসিক প্রতিবন্ধী কোনো ব্যক্তি সম্মতি দিতে অসমর্থ হলে এবং তাকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে কোনো অস্ত্রোপচার করা হলে এবং সেটি করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটলে তা কোনো অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।
তিনি বলেন, তারপরও সম্প্রতি চিকিৎসা দুর্ঘটনায় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে চিকিৎসকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। অথচ চিকিৎসা সঠিক নাকি ভুল সেই মতামত দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার বিএমডিসির।
তিনি বলেন, তদন্তে চিকিৎসকের ভুল বা অপরাধ প্রমাণিত হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে বিচার হবে। চিকিৎসা দুর্ঘটনা কোনো অপরাধ নয়। তবে রোগীর স্বজনরা জানে না চিকিৎসা নিয়ে কোনো সন্দেহ হলে বিচারের জন্য বিএমডিসির কাছে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। এই সুযোগে কতিপয় অতিউৎসাহী মিডিয়া জনগণকে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়। বিচার প্রক্রিয়া যেমন আদালতে বিচারকের কাছে গোপনীয়, তেমনি চিকিৎসকের কার্যক্রম ও তার নিজের পেশাগত গোপনীয়তা বিএমডিসির আইন দ্বারা নির্ধারিত এবং সংরক্ষিত। রোগীর শরীর অস্ত্রোপচারে আকস্মাৎ দুর্ঘটনা ঘটে যায় যেমন জ্ঞান না ফেরা, হার্ট ব্লক হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ জখম হওয়া যা চিকিৎসকের কাছে অনাকাঙ্খিত। এ কারণেই বাংলাদেশ পেনালকোড-এ সার্জনকে দায়মুক্তি দেয়া আছে।
তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪, ৩০৪ এর উপধারা ক ও খ প্রয়োগ করে যদি কোনো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মতামত লাগবে। এবং উপযুক্ত মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলেই কেবল এই ধারাটি প্রযোজ্য হবে। রোগীর মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে নথিভূক্ত করা অনাকাঙ্খিত। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি চিকিৎসক আবু সাঈদের অনুরোধ, তারা যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেন এবং সঠিক কারণ অনুসন্ধ্যানে বিএমডিসি, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করেন। সেই সাথে চিকিৎসায় কোনো রোগী মারা গেলে তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্বাবধায়ক ডাঃ মো. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রানা নূর সামস্, ডাঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ আজহারুর রহমান তুহিন, খোকন দেবনাথ, মাহফিদা আলম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন চিকিৎসক নেতারা। কিভাবে মিডিয়া ক্রাইম হলো? একজন চিকিৎসক অধিক হাসপাতালে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং তার মান কতুটুকু? বেসরকারি হাসপাতালে রাতে কেন কোনো চিকিৎসক থাকেন না? সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের দূর্ব্যবহারসহ সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক।
মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮ মে বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত হয়েছে। আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে রেড ক্রিসেন্ট ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্টের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিতে রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে সরোদ মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে ও যুব ইউনিট প্রধান-১ ফাহিম মুনতাসিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান আলী আজম, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট লেভেল অফিসার ইমরান হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট এ্যাডহক কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন বেলাল, ডা. কাজী শান্তুনু সায়হাম অর্নব, আশরাফুল ইসলাম বাবু, মো. তানভীর রুবেল, শাহআলম পালোয়ান।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে জিন হেনরি ডুনান্টের প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। পরে রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে একটি ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকালে শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি মো.হেলাল উদ্দিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো.মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, মহসিন মিয়া, হাজি ফারুক আহমেদ, জায়েদুল হক, সেলিম রেজা হাবিব, সৈয়দ মো. আসলাম, খোকন আচার্য, মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্রনাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
দোয়া পরিচালনা করেন মাও.ক্বারী আনিসুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বর্বর ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার বাদ আছর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে কুমারশীল মোড় হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মাহমূদুল হাসান হিফয্।
ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদুল্লাহথর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আল আমিন হোসাইনীর সঞ্চালনায় এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য ও সাবেক জিএস আরমান উদ্দীন পলাশ, জেলা নাগরিক জোটের সভাপতি এড. অধ্যাপক শেখ জাহাঙ্গীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আলী মাউন পিয়াস, আইএবির অর্থ সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ আহমদ ছাতিয়ানী, যুব আন্দোলনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এম আবু হানিফ নোমান, দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, নবীনগর উপজেলা সভাপতি মুনির হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক রাজু, সদর উপজেলা সভাপতি হুমায়ুন কবির, সরাইল দক্ষিণ আহবায়ক রাসেল মিয়া, বিজয়নগর উপজেলার সভাপতি বিলাল হোসেন, কসবা উপজেলা সহ-সভাপতি ইয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দীন ইয়াকুবী, সরাইল উত্তর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রশিদ প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইল বিরোধী স্লোগানে স্লোগানে শহর প্রকম্পিত হয়। মিছিল শেষে সমাবেশে ইসরাইলি পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে চলতি অর্থ বছরে ক্যান্সার-কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সাতশত রোগীর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ২৫ জুন রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৫৬জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ’র সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া কঠিন দূরারোগ্য ব্যাধি। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে এসব রোগীদেরকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৫৬জন রোগীর হাতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন। বাকী রোগীদেরকে স্ব-স্ব উপজেলায় অনুদানের চেক দেয়া হয়েছে।