হামলা থেকে বাঁচতে নদীতে নেমে পড়লেন ছাত্রদল নেতা

বিজয়নগর, 8 July 2023, 1110 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও তার সহযোগীর ওপর হামলা করেছেন সদ্য সাবেক কমিটির নেতারা।

banner

৭ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান তিতাস নদীতে নেমে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে সঙ্গে থাকা বিশাল (২৮) নামের এক কর্মী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন দিবাগত মধ্যরাতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। তাদের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি জেলা ছাত্রদলের বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী ও সদস্য সচিব মহসিন মিয়াসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এরই জেরে তারা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক, যুগ্ম-সম্পাদক ও নবগঠিত ছাত্রদলের আহ্বায়কের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শহরের লোকনাথ দীঘির পাড়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয় উভয় পক্ষ। পরে নবগঠিত কমিটির নেতারা শহরতলীর বিরাসারে কর্মসূচি করতে চাইলে সেখানে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগরের নবনির্মিত শেখ হাসিনা সড়কের শিমরাইলকান্দি তিতাস নদী এলাকায় নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান ও আরও কয়েকজন ঘুরতে যান। খবর পেয়ে সেখানে যান সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মহসিন মিয়া। সেখানে তাদের হাতাহাতি হয়। এরই মধ্যে সেখানে দলবল নিয়ে উপস্থিত হন সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ফুজায়েল চৌধুরী।

এসময় আহ্বায়ক শাহিনের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করলে তিনি তিতাস নদীতে নেমে আত্মরক্ষা করেন। তবে তার সঙ্গে থাকা বিশালকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা উদ্ধার করে নিয়ে যান। এদের মধ্যে বিশালকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মহসিন মিয়া বলেন, বিকেলে আমরা ঘুরতে যাই। সেখানে আহ্বায়ক শাহিন আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করেন। পরে আমরা আত্মরক্ষা করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

বিজয়নগরের লালি গুড় দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে

বিজয়নগর, 15 January 2024, 858 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের উৎপাদিত আখের রসের লালি দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে। কৃষি নির্ভর বিজয়নগর উপজেলায় গত কয়েকযুগ ধরে উৎপাদিত হচ্ছে আখের রসের লালি। মূলত শীতকালেই এই লালি উৎপাদিত হয়। এই লালি পিঠা-পুলির সাথে খেতে পছন্দ করেন ভোজন রসিকরা। আবার অনেকে মুড়ির সাথেও খান এই লালি।

banner

চলতি বছর প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার লালি বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টতা।

কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, কসবা উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলার কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করা হয়। এসব আখের রস থেকে লালি উৎপাদন করেন চাষীরা।

চলতি বছর বিজয়নগর উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়। এই আখ থেকে অন্তত ১শ টনেরও বেশি লালি উৎপাদন হবে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুর ও বক্তারমুড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বংশ পরস্পরায় বাণিজিক্যভাবে লালি উৎপাদন করে আসছে। প্রতিবছর শীতের শুরুতে শুরু হয় লালি তৈরির কাজ। মূলত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে লালি তৈরি ও কেনা-বেচা। প্রতি কেজি লালি বা তরল গুড় খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশ এলাকা থেকে মানুষ লালি তৈরী দেখতে যায় বিজয়নগরে। অনেকে ফিরে যাওয়ার সময় লালি নিয়ে যাওয়া সহ আখের রস খেয়ে যান। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পযন্ত চলে লালি তৈরির কাজ।

প্রথমেই চলে আখ মাড়াই। পরে মহিষের ঘানি দিয়ে আখ মাড়াই করে আখের রস সংগ্রহ করা হয়। পরে রস ছাকনি দিয়ে ছেকে রাখা হয় বড় কড়াইয়ে। পরবর্তীতে এই রস দুই থেকে তিন ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়। জ্বাল দিয়ে রস লাল রং ধারণ করলে নামানো হয় কড়াই থেকে। এভাবেই তৈরি হয় মুখরোচক লালি বা তরল গুড়।

লালি নিতে আসা বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের শারমিন আক্তার জানান, প্রতি বছরই শীত মৌসুমে তিনি দুলালপুর থেকে লালি কিনে নিয়ে যান। তার শ্বশুরবাড়ির সবাই এই লালি খুবই পছন্দ করেন। তিনি জানান, পিঠার সাথে লালি খেতে খুবই ভালো লাগে।

দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও লালি উৎপাদনকারী মোহাম্মদ আলী ও রাকিব মিয়া জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আখ চাষ করতো। বর্তমানে কমে যাচ্ছে আখ চাষীর সংখ্যা। আবার আখ কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। ঘানি টানানোর জন্য লাখ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দিয়ে মহিষ কিনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে লালি তৈরিতে যে খরচ পড়ছে, সে অনুযায়ি দাম পাওয়া যায় না।

একই গ্রামের আরেকজন লালি চাষী সহিদ মিয়া জানান, বংশ পরস্পরায় তিনি লালি তৈরি করে আসছেন। তবে ভালো লাভ না হওয়ায় বিগত সময়ের চেয়ে এবার কম জমিতে আখ চাষ করেছেন।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাব্বির আহমেদ জানান, লালিগুড় তৈরিতে কোন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হয় না। ক্ষতিকর কোন উপাদান ব্যবহার না করায় সারাদেশেই লালির জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, লালি গুড় উৎপাদনের সংশ্লিষ্টদের উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

বিজয়নগরে সাড়ে ৮৪ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

বিজয়নগর, 22 June 2024, 585 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার ভারত সীমান্ত এলাকা হতে প্রায় সাড়ে ৮৪ লাখ টাকার বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে সরাইল ২৫ বিজিবির সদস্যরা।

banner

আজ ২২ জুন শনিবার সকাল ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ইকরতলী এলাকা থেকে মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ মালামালের মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন প্রকার ২ হাজার ১৭১টি শাড়ি, ২৪ হাজার ৩০০টি পাওয়ার চশমা, ১ হাজার ৪৫৮টি মোবাইল ডিসপ্লে এবং একটি পিকআপ (টাটা) গাড়ি।

ইকরতলীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৮৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার ভারতীয় পণ্য আটক করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলনে অনীহা কর্মকর্তার

জাতীয়, বিজয়নগর, 22 September 2024, 737 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। েেবশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এটা একটি সরকারি অফিস। সকালে খুলে বিকাল বন্ধ হয়। কিন্তু সব সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখানে চিত্র ভিন্ন। এ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।

banner

আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ভূমি অফিসে বেশ কিছু লোকের সমাগম রয়েছে। অফিসের সামনে জাতীয় পতার টানানোর জন্য একটি স্টীল খুঁটি রয়েছে। তবে তাতে জাতীয় পতাকা ছিল না।

হরষপুর ভূমি অফিসে জনবল রয়েছে তিন জন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাবের এবং অফিস সহায়ক মো: বাচ্চু মিয়া। প্রয়োজনীয় জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় দেওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে অফিস খোলার সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হতো। আর পতাকা উড়তে দেখে আমরা দূর থেকে বুঝতাম কাচারি ঘর (ভুমি অফিস) খোলা।

হরষপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় দিবসে আমরা পতাকা উত্তোলন করি। দিবসগুলোতে আমাদের বলে দেয়, নির্দেশনা পেলে আমরা উত্তোলন করি। গত সোমবার নির্দেশনা ছিল উত্তোলনের। এছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হয় না।

বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাহেরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাসপাতালের ট্রলির ওপর লাশ রেখে পালিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

বিজয়নগর, 18 January 2024, 789 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাবিলা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

banner

আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে শ্বাশড়ি সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।

নাবিলা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বুধল ইউনিয়ন বেতবাড়িয়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে৷

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৬ বছর আগে নাবিলাকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বড়পুকুর পাড় গ্রামের সৌদি প্রবাসী সুজন মিয়ার কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর নাবিলার বাবা বাবুল মিয়া নিজের টাকা দিয়ে সুজনকে সৌদি আরবে পাঠান। বিদেশ গিয়ে তার বড়ভাই উসমানের কাছ থেকে একটা জায়গা কিনেন সুজন। এরপর থেকে এ জায়গা নিয়ে শ্বাশুড়ি, দেবরদের সাথে ঝগড়া হতো নাবিলার। আজকে একরকম ঘটনা ঘটে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাবিলা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

বিজয়নগরে নারী দিবস পালিত

বিজয়নগর, 8 March 2023, 1439 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
“ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভোবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন” শ্লোগানে এবার বিজয়নগর উপজেলায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩।

banner

আজ ৮ মার্চ বুধবার সকাল ১২ টার সময় বিজয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস এর ব্যবস্থাপনায় শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলায় প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়।

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক আরার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছিমা মুকাই আলী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল রহমান মান্না ও সাবিত্রী রানী, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ পাপিয়া সারোয়ার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে ক্ষুদ্রঋণের চেক বিতরণ করা হয়।