অনলাইন ডেস্ক :
লাল-সবুজের পতাকা হাতে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন নাজমুন নাহার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি ১৬৭টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন। সর্বশেষ ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ সেন্ট লুসিয়া ভ্রমণের মাধ্যমে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন নাজমুন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ জোসেফ পিয়ের এক বিশেষ সাক্ষাতে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ‘সুপার ব্রেভ গার্ল’ আখ্যা দেন।
ভ্রমণের নতুন রেকর্ড গড়ার পর নাজমুন নাহারকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেন্ট লুসিয়ার অন্যতম প্রধান পত্রিকা ‘দ্য ভয়েস’। খ্যাতনামা সাংবাদিক মার্বেলা অ্যান্থনির লেখায় তাঁর স্বপ্ন, সংগ্রাম ও বিশ্ব অভিযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে। নাজমুন নাহার দেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে এভাবেই গৌরবের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীর কাছে।
২০০০ সালে ভারতের ভূপালের পাঁচমারিতে ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের সূচনা হয়। এর পর থেকে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন দেশ। এই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১ জুন ১০০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের সীমান্তের ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের ওপর। ১৫০তম দেশ ভ্রমণের মাইলফলক সৃষ্টি করেন আফ্রিকার দেশ সাওতমে অ্যান্ড প্রিন্সিপ। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে তিনি এবার অভিযাত্রা শুরু করেছেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম ও গায়ানা থেকে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, গ্রেনাডা, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইন, বার্বাডোস ও সেন্ট লুসিয়া পর্যন্ত।
২২ বছর ধরে এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিভিন্ন জনপদের মাঝে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরছেন নাজমুন নাহার। এ ছাড়া তিনি পরিবেশ রক্ষা ও বাল্যবিয়ে বন্ধের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করেন। নাজমুন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু ও তরুণদের উৎসাহিত করেন।
বেশিরভাগ দেশ সড়ক পথে ভ্রমণ করেছেন নাজমুন। ২২ বছরের বিশ্ব অভিযাত্রার মাঝে তিনি বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন। মৃত্যুমুখে পড়েছেন বহুবার। তবুও একের পর এক দেশ ভ্রমণ করছেন লাল-সবুজ পতাকা হাতে। শিরোনাম হয়েছেন বিশ্ব গণমাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদরে জন্ম নেওয়ায় নাজমুন নাহার সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এশিয়ান স্টাডিজ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এশিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। নাজমুন নাহারের আশা, বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের সব দেশে যাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া ড. ইউনূসের বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, তার (এমরান আহম্মদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ডিএজি (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল)। তিনি যদি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন, তাহলে তাকে হয় পদত্যাগ করে কথা বলা উচিত, অথবা অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি সেটি করেননি। তিনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
তাহলে এখন কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আমি দেখব।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে ১৭৫ জন বিদেশি ব্যক্তি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাকে বিবৃতিতে সই করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে সই করব না।
এ বক্তব্যের জেরে এরই মধ্যে তাকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রী নিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাচ্ছিলেন চালক কালু প্রামানিক (৬০)। পথিমধ্যে মৌমাছির ঝাঁক এসে কামড়ে দেয়া চালকসহ যাত্রীদের। এতে মারা যান ভ্যানচালক কালু প্রামানিক।
আজ ০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার রতনপুর ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কালু উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বরুরিয়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের লাউতিয়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (২৪), ধরইল গ্রামের মৃত খোদাবক্স প্রামানিকের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৫), ধুলাউরি গ্রামের ফকির উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৫০)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভ্যানচালক কালু প্রামানিক চাটমোহর থেকে তিনজন যাত্রী ভাড়া নিয়ে উপজেলার রেল বজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ একদল মৌমাছি উড়ে এসে তাদের কামড়ানো শুরু করে।
চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালু প্রামানিককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলমাস আহমেদ আবির বলেন, মৌমাছি কামড়ানোর পর তাদেের হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। তাদের মধ্যে কালু প্রামানিক মৃত পাওয়া যায়। তাকে হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মুলগ্রাম ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। চারজনকে মৌমাছি কামড়িয়েছিল। পরে শুনি হাসপাতালে নেয়ার পর ভ্যানচালক মারা গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
১৯ ডিসেম্বর রেলভবনে ‘সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক কারণে ট্রেনে নাশকতা সৃষ্টি’ বিষয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কেউ যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে নিরাপত্তা দেওয়া তো রেলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাসের বদলে ট্রেনকেই এখন প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে।
পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।
রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী সুজন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে মনে করছে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে তো এটা হতো না।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে এখন তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এর পেছনে ‘ডেমোনেস্ট্রেশন অভ ওয়েলথ’ বা বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর মতো মনস্তাত্ত্বিক বিষয় যেমন আমার এতো সুন্দর বাড়ি, এতো সুন্দর গাড়ি -সেটিকে ‘ডেমোনেস্ট্রেট’ করা, এটি সমাজকে কলুষিত করছে, অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করছে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) প্রতিষ্ঠার ৪ দশক উপলক্ষে আজ ২৩ জুলাই রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্র্যাবের ৪ দশক উদযাপন উপলক্ষে দ্বিতীয় অধিবেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অপরের উপর আক্রমণ করা, এগুলো রাজনৈতিক অপরাধ। এসব অপরাধের বিরুদ্ধে লেখা প্রয়োজন। তাহলে ক্রাইম রিপোর্টারদের ভুমিকা আরও শাণিত হবে এবং দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় রাজনৈতিক অপরাধ ও বিত্ত-বৈভব প্রদর্শনীর কলুষতা থেকে সমাজ রক্ষায় কাজ করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, নানাভাবে অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে, অন্যায্যভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে, মুনাফা লুটছে; যা পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রকে কলুষিত করছে।
এসব রাষ্ট্রের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি যেন না হয় সেজন্য এর বিরুদ্ধে আপনারা সাংবাদিকরা লিখবেন।
সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অপরাধও বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো, মানুষের সহায়-সম্পত্তিতে আগুন দেওয়া পৃথিবীর কোথাও ঘটেছে কি-না আমি জানি না। কোনো জায়গায় কমিটি নিয়ে বিরোধ হলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কি সমীচীন! কমিটি পছন্দ হলো না বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দিলো, এটি কি সমীচীন! এগুলো কোনভাবে সমীচীন নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও আপনাদের পাশে ছিলাম। যখন মন্ত্রী থাকবো না তখনও আপনাদের পাশে থাকবো এবং আমি কখনও কোনো সাংবাদিক বা কোনো সাংবাদিক সংগঠনকে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখি না।
ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে সংগঠনটির সহসভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল, মিজান মালিক ও আবুল হোসেন, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এবং ক্র্যাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে কেক কাটায় অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুকুরে পানিতে ডুবে চাচাত ভাই-বোন দুই শিশু মারা গেছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের মবফারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুই শিশু হলো ওই এলাকার ওবায়দুল হকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে রহিমা বেগম এবং আবু তালেবের দুই বছর বয়সী ছেলে সাইদ মিয়া। তারা দুজন সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির বাইরে ওই দুই শিশু খেলছিল। একপর্যায়ে সবার অগোচরে পুকুরে পড়ে যায় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুরে পুকুর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন স্বজনরা।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।