অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে সাইবার ইউনিটগুলো কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ ৯ জুলাই রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর। মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডি সেবা আমাদের অধীনে আসেনি, আমরা এখনো কার্যক্রম শুরু করিনি। এখনো এ কার্যক্রমটা নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে। যে ঘোষণাটা (এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত) দেওয়া হয়েছে, আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে শীঘ্রই এটা আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসবে। তখন থেকে আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যে বিষয়গুলো (তথ্য ফাঁস) বলছেন সেটা আমরাও শুনছি। এ বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানতে হবে, জেনে আপনাদেরকে উত্তর দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিস্তারিত নেই। আপনারা যেভাবে শুনেছেন আমরাও ঠিক সেরকমভাবে শুনছি। না জেনে উত্তর দেওয়ার মতো তথ্য আমার কাছে নেই।’
‘কী ঘটেছে, কতখানি কী ফাঁস হয়েছে- সেটা আমাদের দেখতে হবে। দেখে যদি দেখি কেউ এর সঙ্গে যুক্ত আছে, কেউ এতে সহযোগিতা করেছে- সেক্ষেত্রে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা আমরা নেব। এক্ষেত্রে আমরা কাউকে ছাড় দেই না। সেটা আপনারা দেখেছেন। পুরো বিষয়টি আমরা জেনে নিয়ে তদন্ত করে এটার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুরু করার মতো কোনো উপাদান এখন আমাদের হাতে আসেনি। আমরা প্রস্তুত হয়েছি জানার জন্য। আমাদের সাইবার ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে আরও তথ্য জানার জন্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কী ফাঁস হয়েছে, আমাদের প্রোটেকশনের কী আছে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্পণ হতে যাচ্ছে। আমরা সেই ব্যবস্থা নেব। কোনো ফাঁক-ফোকর থাকবে না। প্রোটেকশনের ব্যবস্থা আমরা নেব।’
বিএনপি আগস্টে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে- সেই বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিগোষ্ঠী, স্বাধীনতাবিরোধীরা কিংবা যারা চক্রান্ত করে তারা আগস্ট মাসকে বেছে নেয়। আমরা ১৫ আগস্ট দেখেছি। ২১ আগস্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বোমায় বোমায় উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সারাদেশে ৬৩ জেলায় ১৭ আগস্ট বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা তারা করেছিল। কাজেই আগস্ট মাস তাদের খুব প্রিয় মাস। তারা আগস্টকেই বেছে নেয়। আমার মনে হয় সেই ধরনের একটা ইঙ্গিত তারা (বিএনপি) দিচ্ছে কি না তারাই জানেন।’
তিনি বলেন, ‘তারা যে রকমভাবে আন্দোলনের কথা বলছে, আমাদের জনগণ ইতোমধ্যে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের কোনো আন্দোলনে জনগণ সমর্থন ও সহযোগিতা করছে না। তারা আন্দোলনের কথা বলছে, বছরের পর বছর বলছে ওমুক দিন করবে, তমুক দিন করবে- এটা আমরা শুনেই আসছি। আন্দোলনে যদি জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকে, আন্দোলনে যদি জনগণ যুক্ত না হয়, সেটা কোনো আন্দোলনই হয় না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা আন্দোলনের কথা বলেছে। তারা যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়, মানুষ হত্যার কোনো পরিকল্পনা থাকে, সেগুলোর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী দেখবে এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হরে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ। ইতিমধ্যেই উদ্বোধনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন রেলওয়ের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ ইয়াছিন।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবললাইন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ সুবক্তগীনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের প্রারম্ভিক স্টেশন আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্যাক কারে করে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন হবে। কিছু কাজ যেগুলো বাকি আছে- তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে। রেলপথটি দিয়ে প্রথমে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করবে। এর মাধ্যমে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরো বাড়বে।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রেলপথটির ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।
দেড় বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসে। এই রেলপথটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সরাসরি যুক্ত করবে বাংলাদেশকে।
ইতিমধ্যেই প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের রেলপথে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। এছাড়াও প্রকল্পের ১৬টি সেতু ও কালভার্টের সবকটিরই কাজ শেষ হয়েছে। আর ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৯৫ ভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাপ্তাই লেকে পানির পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। গত ৫ আগস্ট রবিবার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ৫টি ইউনিটে উৎপাদন ছিল ১৩৫ মেগাওয়াট।
গত ২৪ ঘন্টায় আজ ১২ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত) সর্বোচ্চ ২০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে কেন্দ্রে। যা চলতি বছর সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, সপ্তাহ ধরে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনও বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটে উৎপাদন হয়েছে ২০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, ‘গত দেড় মাস আগেও কাপ্তাই লেকে পানি সংকটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দৈনিক মাত্র ২৫ মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। এখন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে। বিষয়টি আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। যদি লেকে পানি বাড়তে থাকে তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের ৫ টি ইইনিটে উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, বছরের এই সময় কাপ্তাই লেকে রুলকার্ভ অনুযায়ী পানি থাকার কথা ৯২ দশমিক ৭২ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু ১২ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানি রয়েছে ১০১ দশমিক ৪৬ ফুট এমএসএল। যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেল। লেকে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান রোগীর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ হাসপাতালকে সুন্দর, আধুনিক ও বড় হাসপাতালে পরিণত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছি। যাতে একই সময় ৪০০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন। আশা করি, শিগগিরই এর কাজ শুরু করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী আজ ১০ জুলাই সোমবার তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। অ্যালামনাই ট্রাস্ট কলেজের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান সামনের দিনগুলোতে বিকাশ লাভ করবে। তাই বাংলাদেশকেও একই গতি বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার সংখ্যা আমাদের দেশে কম। মুষ্টিমেয় সংখ্যক ব্যক্তি এ বিষয়ে গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। কাজেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার প্রতি আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ বর্তমান যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর পর্যাপ্ত গবেষণা খুবই প্রয়োজনীয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালাতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় “বাঘাবাড়ী গাওয়া ঘি” নাম দিয়ে ভেজাল ঘি উৎপাদন করায় কারখানার মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় জব্দকৃত প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের ভেজাল ঘি নষ্ট ধ্বংস করে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার কলেজ পাড়া নামক স্থানে আসাদ মিয়ার ভাড়া দেওয়া বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ দিদার হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমসহ আনসার সদস্যরা।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক গত কয়েক বছর ধরেই শ্রীপুরের বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে ভেজাল ঘি উৎপাদন করে আসছিলেন। সবশেষ শ্রীপুরের কলেজ পাড়া এলাকায় কারখানা গড়ে তোলে সে। মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে ওই ভাড়া বাড়িতে ভেজাল ঘি তৈরি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের জব্দকৃত ভেজাল ঘি ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ দিদার হোসেন জানান, সয়াবিন, পাম অয়েল, পশুর চর্বি, ভেজিটেবল ফ্যাট, আলুর পেস্ট, রাসায়নিক দ্রব্য, রং ও ফ্লেভার মিশিয়ে ওই কারখানায় ভেজাল ঘি তৈরি হতো। প্রতিবছরই রোজা বা ঈদকে সামনে রেখে এ ভেজাল ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠে। তাই ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে এমন অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে শপথ নিয়ে আমরা সংসদে যাবো।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর সেনপাড়ার বাসায় রংপুর বিভাগের এমপি প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি, তাই এ মুহূর্তে শপথ না নিয়ে পিছু হবো না। জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমরা সংসদে যাবো।’
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘এ নির্বাচন সরকার যেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে, সেখানে সুষ্ঠু করেছে। আর যেখানে চেয়েছে তাদের লোকজনকে জেতাতে, সেখানে জোর করে সিল মেরে আমাদের লোকজনকে হারিয়ে দিয়েছে।’
‘রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির হেরে যাওয়া প্রার্থীদের অনেকেই হতাশায় ভুগছিলেন’ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এজন্য সবার সঙ্গে বসে সমস্যা শুনলাম এবং লিখিত স্টেটমেন্ট নিলাম। এ তথ্যগুলো পরবর্তী ফলোআপে কাজে লাগবে আমাদের।
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।