চলারপথে রিপোর্ট :
ভোরে ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাটতে গেলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এসময় জুয়েল (২৪) নামের এক কালোবাজারিকে হাতেনাতে ধরেন তারা। একই সঙ্গে ফখরুল (৫০) নামের এক কাউন্টার ম্যানকেও আটক করা হয়।
আজ ৯ জুলাই রবিবার ভোর ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন ছদ্মবেশে ভোরে রেলস্টেশনে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে জুয়েল নামে এক যুবকের কাছে অনেক টিকিট রয়েছে। তারা জুয়েলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে টিকিট কিনতে চান। এ সময় জুয়েল ফোনে জানান যতগুলো লাগবে সব টিকিট ম্যানেজ করতে পারবে কিন্তু প্রতি টিকিটের মূল্য ২৫০ টাকা দিতে হবে।
দরকষাকষির এক পর্যায়ে জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে বলেন। এমন সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন জুয়েল। এসময় হাতে লিখে ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ের সময় ফখরুল নামের এক কাউন্টারম্যানকে আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আটক টিকিট কালোবাজারি জুয়েলকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিকিট কাউন্টার ম্যান ফখরুলকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে মাদকের বিষয়টি। আওয়ামীলীগে ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাদক বিরোধী পোষ্ট ও স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সিঙ্গারবিল বাজারে এক পথ সভায়ও মাদকের বিষয়টি তুললেন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাজারে দুধ ও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা কিনবেন। তবে আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।
পথসভায় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আমলে বিজয়নগরে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি গত ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট দেয়ার সময় আপনারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীকে না বলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এ সময় র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভ‚ইয়া, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসেস নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সিঙ্গারবিল বাজারের পথ সভার পর মোকতাদির চৌধুরী এমপি সিংগারবিল বাজার থেকে বিষ্ণুপুরে যান।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগ, স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব ছিলেন। গত ১৩ বছরে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠনের একদিন পর তা বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছে দলের নেতাকর্মীরা। আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে জেলা বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ.বি. এম মোমিনুল হক, ভিপি জহিরুল হক চৌধুরী লিটন, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. নজির উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উল্লাহ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় যখন বারবার ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, তখন একজন শিক্ষকও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়নি।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মীসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছর ছাত্রদল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, জেলা ও উপজেলায় প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছে। এসব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ছাত্রদলের সাড়ে পাঁচশ নেতাকর্মীকে খুন, গুম ও পঙ্গু করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শিক্ষাজীবন বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস, জেলা ও বিভিন্ন ইউনিটে আমাদের ওপর যত অত্যাচার ও স্টিমরোলার চালানো হয়েছে, কোনো ছাত্রসংগঠনকে এত নির্যাতন করা হয়নি।
এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সহ-সভাপতি হাসান বিন সোহাগ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, সদস্য সচিব মোল্লা সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহীন, সদস্যসচিব সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।