চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার শেরপুরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন নুরজাহান বেগমকে (৫২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ ১০ জুলাই সোমবার সকালে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে নিহতের লাশ থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই ঘাতক আব্দুল মজিদকে (৪২) আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিগত দুইবছর আগে মহিপুর বাজার এলাকায় আসেন নুরজহান বেগম। এমনকি সেখানে ভাসমান অবস্থায় থাকতেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। আর স্থানীয় বাসিন্দা ঘাতক আব্দুল মজিদও ভবঘুরে জীবন যাপন করতেন। তিনিও একই বাজারে থাকতেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাধিকবার তাকে কু-প্রস্তাব দেয় মজিদ। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া দেননি ওই নারী। বরং বিষয়টি এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে জানান তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঘাতক মজিদ। এরই জেরে সোমবার সকালে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ঘাতক মজিদ কাঠের বাটাম দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে বেধড়ক পেটায়। এতে তার মাথা ফেটে রক্তপাত শুরু হয়। এছাড়া শরীরের একাধিক স্থানেও মারাত্মক জখম হয়। পরে ওই নারীর চিৎকারে আশাপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে ঘাতক মজিদকে আটক করে রাখেন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে নুরজাহান কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, এই ঘটনায় আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেও ভবঘুরে জীবন-যাপন করতো। ঘটনার পর থেকে কোনো কথা বলছে না। তাই কী-কারণে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সংস্কার থেকে কোন রকম বাধা দেয়া হচ্ছে না কিংবা কোন রকম বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
আজ ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার আরও বলেন, সব দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হউক, সেই সুপারিশ করবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে অযোগ্য না হলে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। সংস্কার কমিশন চায় সব দলের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হউক, এমন প্রত্যাশাই করেন তারা।
এসময় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলা-মহানগর সুজনের সভাপতি, বিভাগীয় সমন্বয়কসহ সুজনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি ও সময়সীমা বাড়াচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। এজন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা’ পদে ছয়জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত (২৪ ঘণ্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে। ফলে বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে যে কেউ, যে কোনো সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোনো চার্জ বা মাশুল বা ফি কাটা যাবে না।
গতকাল বুধবার এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরো সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জানা গেছে, এখন জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদের নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে-
ক) সারা দেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা; খ) আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা; গ) লিগ্যাল কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেওয়া; ঘ) আইনি পরামর্শ প্রদান করা; ঙ) আদালতে মামলা করা সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা; চ) সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোনো অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজরের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা; ছ) গৃহীত ফোন কলের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা; জ) অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা এবং ঝ) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা কর্তৃক অর্পিত অন্য যে কোনো দায়িত্ব পালন করা।
আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে এলএলবি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি’ এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেছে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ সময় শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ বাজারের বিভিন্ন দোকানে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বাজারে আলু প্রকারভেদে পাইকারি ৩৭-৩৮ টাকা এবং খুচরা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। সেট অভিযানের আগে খুচরা ও পাইকারি বাজারে ৫-৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতো।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, গত ১ সপ্তাহের তুলনায় আলু পাইকারি পর্যায়ে ৪ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অভিযানের সময় পাকা ক্রয়-বিক্রয় মূল্যে তালিকার হাল নাগাদ রশিদ না পাওয়ায় এবং দাম বেশি নেওয়ার জন্য মেসার্স সিকদার ট্রেডার্সকে ১ হাজার টাকা, মেসার্স মিতা বাণিজ্যালয়কে ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স হাবিব স্টোরকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের বিশেষভাবে সচেতন হতে বলেন তিনি।
অভিযানের সময় সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জেলা পুলিশের ১টি টিম এবং বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাঙামাটি রিজিয়নের অধীন কাপ্তাই ১০ আর ব্যাটলিয়ানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাপ্তাই উপজেলাধীন বরাদম শৌরবালাসৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি প্রেষণামূলক শিক্ষা কার্যক্রমের উপর ভিক্তি করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ক্লাস পরিচালনা করা হয়।
আজ ৩১ মে বুধবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষে ‘ দালাল চক্রের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনীতে লোক ভর্তি নির্মূলকরণ এবং ছাত্র ছাত্রীদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান উদ্বুদ্ধকরণ’ বিষয় ভিত্তিক ক্লাস টি পরিচালনা করেন, ১০ আরই ব্যাটলিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর সাবিহা শারমিন ও এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন মোঃ সাদমান সাকিব।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশব্যাপী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুর জন্য ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু আজ ১৫ মার্চ শনিবার। শৈশবকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং শিশুমৃত্যুর হার কমাতে ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মোট এক লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে ২ বার ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে কমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে।
এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখা হয়েছে।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা সবটুকু তরল শিশুকে খাওয়াবেন। শিশুদের কান্নার সময় অথবা তাদের জোর করে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।