চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে একটি মিলে অভিযান চালিয়ে ভেজাল মসলা তৈরির মালামাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সাতবর্গ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে কৃত্রিম রং, ধানের কুঁড়া ও কেমিক্যাল জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
এ সময় ভেজাল মসলা তৈরির অপরাধে মো. আনোয়ার হোসেন (৪১) নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদ পাওয়া যায় যে, ওই মিলটিতে মাদক রয়েছে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দলসহ মিলটিতে আমরা অভিযান চালাই। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মিলের সামনে মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার মসলা সাজানো রয়েছে। মিলের ভেতরে ঢুকে দেখা যায় কৃত্রিম রং, ধানের কুঁড়া ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে মরিচ, ধনিয়া, হলুদের ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় একজনকে আটক করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শাহজাহান মাষ্টার ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ থাকায় গ্রামের পুরুষদের আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে পাঁকা ধান কাটা হচ্ছিল না।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যদের আশ্বাস ও উপস্থিতিতে পাঁকা ধান কাটা হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী এই ধান কাটা ও এলাকায় যেন নতুন করে দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সেই জন্য বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের উপস্থিতিতে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এসময় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হোসেনপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন, ফরিদ মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেনদের জমির ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, ঝগড়াঝাটির জন্য পাঁকা ধান কাটা বন্ধ ছিল। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নতুন করে যেন কোন দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ধান কাটার সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। পাশাপাশি বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫বিজিবি) এর একটি টহলদল বিপুল পরিমান ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার উন্নত মানের শাড়ি আটক করেছে।
এসময় ভারতীয় চোরাই শাড়ি বহন কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়। যার সিজারমূল্য ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার পাঁচশত টাকা।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে বিজিবি পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা রাস্তায় বেরিকেড গিয়ে গাড়ি তল্লাশি চালায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এর সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) একটি টহল দল।
এসময় সিলেট থেকে আসা ঢাকাগামী একটি বালু বোঝাই ট্রাকে বিশেষ ভাবে লুকায়িত ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের শাড়ী ৫ হাজার ২৩৬ পিস এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত ট্রাকটি আটক করে।
আটককৃত চোরাচালানী মালামাল এবং ট্রাকটি বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে যা আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে বিজিবি সূত্র জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অফিসে ২০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৫ জুলাই শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল জলিল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাসুমসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বড় সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য দপ্তরের অনুকূলে ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশন সবসময়ই সামাজিক কাজ করে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় প্রায় ৩০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গতকাল রবিবার রাতে ও আজ ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের আমিন মেম্বার ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। রোববার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গিয়াস উদ্দিন ও আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এরই জের ধরে আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। এক পর্যায়ে গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ সময় ১২/১৫টি বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন, আমসু মিয়া (২৪), আকবর মিয়া (৫০), বকুল মিয়া (২৮), মোনায়েম খাঁ (৩৭), রঙ্গু মিয়া (৩৮), মনির হোসেন (৩৫), তোফাজ্জল মিয়া (৩৫), সাইফুল ইসলাম (২৫), মরম ইসলাম (৩৫), জাকির হোসেন (৩৩), লিটন মিয়া (৩৩), আতিক মিয়া (২৫), রহিছ মিয়া (৫৫), মহরম আলীর স্ত্রীর(২৮)।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মেম্বার ও শফিক রায়হন শ্রাবনের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ৫ এপ্রিল শনিবার ছাতিয়ান ঈদগাহ মাঠে বিকাল ৫ টায় ঈদ পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক জননেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তা ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট সফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান মজ্জু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম মমিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তরিকুল ইসলাম খান রুমা, জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলী আজম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির সাবেক ছাএ বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল হোসেন চপল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এ,কে,এম, নুরুল হাসান আলম, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ কবীর আকন্দ,পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান বিল্পব,পৌরমৎজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক আক্তার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন,সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খন্দকার নাছির উদ্দিন, মজলিস পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মুন্সি,তালশহর পূর্ব ইউপির সভাপতি মোঃ আইনুল হক,ইঞ্জিনিয়ার আমীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, বুধল ইউপি সহ-সভাপতি দুলাল আহামেদ।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, আগামী দিনে বিএনপি সরকার গঠন করিলে বুধল ইউনিয়ন গ্যাসসংযোগ প্রদান করা হবে, হাসিনা হটাৎ আন্দোলনে এই ইউনিয়ন চার জন শহীদ হয়েছেন তাদের হত্যাকারীদের আগামীদিনে বিচাররে আওতায় আনা হবে। সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। সকল আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
সভা সঞ্চালনায় ছিলেন, সাবেক আহ্বায়ক আক্তার হোসেন ও বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ।