অনলাইন ডেস্ক :
রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হতে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেই কেবল নির্বাচন হবে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আজ ১২ জুলাই বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি নেতারা এ কথা বলেন। বেলা ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, রক্ত দিয়ে হলেও আমরা এবারের নির্বাচন প্রতিহত করব। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। সেই কারণে আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশে মানুষ নেই।
আবদুস সালাম বলেন, গত ১৪-১৫ বছরে শেখ হাসিনা কোনো কথা শুনেননি। তাই উনার এখন কোনো কথা বলারও দরকার নাই। সরকারের কতিপয় কর্মকর্তা এখনো আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেন। তিনি তাদের সতর্ক করেছেন।
সরকারের অধীন কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিনও। সমাবেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে যেতেই হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ দাবি করেছেন, তাদের আজকের সমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে যে- আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ১৭ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বরকতউল্লাহ বলেন, এজন্য আপনাদের বিচার হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি নিজে ঠিক করবেন, নাকি আমরা ঠিক করে দেব; আপনাকে যেতেই হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে লুটপাটের রাজত্ব বানিয়েছে। এ সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।
নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি আদায়ের প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বলেন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ রাজপথে নেমে এসেছেন।
সকাল থেকেই দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে ভরে যায় সমাবেশস্থল। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তৈরি মঞ্চে গান পরিবেশন করা হয়। ফাঁকে ফাঁকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বক্তব্য দেন।
ঢাকা।।
সভাপতি পদে বরাবরের মতোই নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা; সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।সম্মেলনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসেনি।এনিয়ে দশমবার আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা; ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হলেন তৃতীয়বার।আজ শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্ষমতাসীন দলটির ২২তম সম্মেলন উদ্বোধনের পর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসে কাউন্সিল অধিবেশন।কাউন্সিলে নির্বাচনী অধিবেশনে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নামের প্রস্তাবও আসে।নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি পদে শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরের নাম কাউন্সিলরদের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করেন।
সারাদেশ থেকে আসা সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলর সমস্বরে এই প্রস্তাব সমর্থন করেন।এর আগে পায়রা উরিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নবঅনুমোদনকৃত কার্যকরী কমিটির পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়েছে।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় ধানমন্ডী ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নেতৃত্বে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মঈনউদ্দিন মঈন, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এ্যারোমা দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনসারী, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, কাজী হারিসুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম, এমবি কানিজ, মোস্তাক আহমেদ ভূঞা, মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য বাবুল মিয়া, অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাইদুজ্জামান আরিফ, আলামিনুল হক আলামিন।
অনলাইন ডেস্ক :
সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে দলটি। গতকাল সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় দিন আজ ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়েছে। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
তিনি জানান, ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
এর আগে প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে প্রতিন্দ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফসিডিওর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবুল বাশার। বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম সহ-সভাপতি আবু কাউসার খান, মো. মনির হোসেন, শামীমা বাছির স্মৃতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, মহিলা পরিষদ নেত্রী নেলী আক্তার, পৌর কলেজ সহকারি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ভূঞা, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মামুন ও সদস্য আফরিন ফাতিহা জুঁই।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের উদ্যোগে গড়ে উঠা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাপ) সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চাকে ধরে রাখতে ম্যাপ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত করেছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি দল থেকে আসা ম্যাপ এর সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, রাজনীতিতে নারী ও যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সম্প্রতিকে উৎসাহিত করতে ম্যাপ-এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব উদ্যোগে তারা সমাজের সদস্যদেরকেও সম্পৃক্ত করছে।
এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সনে ইউএসইআইডি’র সহযোগিতায় পরিচালিত এসপিএল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে গঅঋ সমাজ পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করছে।